Saturday, May 30, 2015

কলাবাগানে বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৭ জন দগ্ধ


এরা হলেন- মমতাজ বেগম (৬০), তার ছেলে মো. সুমন (২৮) ও তার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২২), নাতি রাব্বি (১০), মেয়ে রোজী (৩৫) এবং তার ছেলে অয়ন (২০)ও মেয়ে বিথী (১৪)।
কী থেকে এ বিস্ফোরণ সে বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া না গেলেও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্যাসের পাইপ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
শনিবার ভোরে কলাবাগানের ২৯ লেকসার্কাসে এ ঘটনায় আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পাঁচজন হাসপাতালে আসার পর তাদের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এরপর বাকিদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।”
‘কীভাবে আগুন লেগেছে বলতে পারবো না’ বলে অগ্নিদগ্ধরা প্রাথমিকভাবে পুলিশকে বলেছে বলে জানান হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মোজাম্মেল।
সুমন পেশায় গাড়িচালক। ২৯/১ লেকসার্কাসে একটি টিনশেড বাড়ির দুই রুম ভাড়া নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। সকালে হঠাৎ বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ হলে তাদের টিনের ঘর ও পাশের দেয়াল পুড়ে যায়।
প্রতিবেশী মো. জুলফিকার স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক।
ঘটনাস্থল থেকে কলাবাগান থানার এসআই নিজামউদ্দীন বলেন, ভোরে কলাবাগানের এই এলাকায় মাটি খুঁড়ে ওয়াসার কাজ চলছিল।
“হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে পাশের একটি টিনশেড বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আছেন জানিয়ে কলাবাগান থানার ওসি মো. ইকবাল বলেন, “কী থেকে বিস্ফোরণটি ঘটেছে সে বিষয়ে এখনও সুস্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, গ্যাসের কোনো পাইপে লিক ছিল। কেউ হয়তো ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়েছে এবং সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পরিদর্শক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, “গ্যাস পাইপে লিক থাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”





0 comments:

Post a Comment

Welcome