Showing posts with label Aporad. Show all posts
Showing posts with label Aporad. Show all posts

Tuesday, August 25, 2015

ছোট ভাইকে বাচাতে গিয়ে তার বড় বোন ও চলে গেলেন পরপারে ......

ক্রাইম নিউজ ২৫ঃ ছোট ভাইয়ের প্রতি বড় বোনের ভালোবাসার কঠিন দৃষ্টান্ত জীবন দিয়ে রেখে গেলো এই দুইটি ছোট্ট শিশু,, যা পৃথিবী যতদিন আছে ঠিক ততদিন পৃথিবীর বুকে ইতিহাস হয়ে থাকবে,
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়,
ছোট ভাইটি যখন পানিতে পড়ে যায় তখন বড় বোনটি তার ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও চলে গেছে পরপারে,
একসঙ্গে দুই সন্তানকে হারিয়ে মা বাবার অবস্থা কেমন হতে পারে সেটাতো বুঝতেছেনই,
সবাই এই দুই শিশুর মা বাবার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো তাদের মা বাবাকে সন্তান হারানো যন্ত্রণা সহ্য করার তৌফিক দান করেন.

Sunday, August 23, 2015

নড়াইলে গুলি করে যুবক হত্যা

নড়াইলে গুলি করে যুবক হত্যা নড়াইলের লোহাগড়া ‍উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের গুলিতে সৈয়দ ইলিয়াস হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকেলে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কুমরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইলিয়াস হোসেন পশ্চিম কুমরি গ্রামের বাসিন্দা। দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পলাশের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কুমরি গ্রামে গুলিতে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।

Friday, August 21, 2015

ফরিদপুরে ৩ শিশুকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ!


ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলায় ঘারুয়া ইউনিয়নের ডাংগার পাড় গ্রামের তিন কন্যা শিশুকে যৌন
হয়রানী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জনৈক শিশুর পিতা বাদী হয়ে মামলা করলে ঘটনাটি সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। তিন কন্যা শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি ফাঁস হলে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার
বিষয়ে যাদের নাম ওঠে এসেছে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানাগেছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে,
ডাংগার পাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিশু ৩ আগষ্ট দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে কাউসার শেখের দুই পুত্র আরিফ শেখ (১৮), শরীফ শেখ (২০) ও
কালিপদ সরকারের ছেলে উত্তম সরকার (২০) তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। পরে জোরপূর্বক কালিপদ সরকারের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে তিন শিশুর উপর যৌন নিপিড়ন চালায়। পরে তিন শিশু তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি জানালে বিষয়টি নিয়ে মাতুব্বরদের দ্বারস্থ হন তারা। কিন্তু বিষয়টি ধামাপাচা দিতে তৎপরতা চালায় প্রভাবশালী একটি মহল। পরবর্তীতে তিন শিশুর পরিবারের
পক্ষ থেকে স্থানীয় মাতুব্বর ও মেম্বারকে চাপ দিলে তারা এর একটা বিহিত করবেন বলে আশ্বাস
প্রদান করেন। কিন্তু কয়েকদিন অতিবাহিত হবার পর প্রভাবশালী মহলের দ্বারা ম্যানেজ হবার কারনে গ্রাম্য মাতুব্বরেরা বিষয়টি নিয়ে আর কোন কথা বলবেন না বলে জানায়। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এক কন্যা শিশুর পিতা ভাংগা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করে। মামলার পর নড়েচড়ে ওঠে পুলিশ। বখাটেদের আটকে অভিযান চালায় বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু ৩ বখাটে আগে থেকেই পালিয়ে
যাওয়ায় তাদে ধরা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিন বখাটের বিরুদ্ধে এলাকায় আরো
অভিযোগ রয়েছে। তাদের নানা কুকর্র্র্র্র্র্মের কারনে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্যা জানান, তিনি বিষয়টি লোকমুখে শুনেছেন। ছেলে তিনটি বখাটে
বলেও তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন। তিনি জানান, যদি সত্যিই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে
তাহলে অভিযুক্তদের কঠিন সাজা হওয়া উচিত। ভাংগা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম
বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের আটকে.......................

কুড়িগ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণের শিকার হয়ে সন্তান প্রসব!


ক্রাইম নিউজ's photo. কুড়িগ্রামের সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী সন্তান প্রসব করেছে। বুধবার শাহিদা খাতুন (১২) নামেরমেয়েটিকে প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। সেখানে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। শাহিদা খাতুন খামার হাসনাবাদ খেফনীটারী গ্রামের শাহ আলমের কন্যা। সে গোবর্দ্ধনকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষক প্রতিবেশি জাকিরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছে মেয়েটির বাবা। পুলিশ আসামী ধরতে না পারলেও আসামী ও তার পরিবার মেয়েটির বাবাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তাই ধর্ষিতা গর্ভবতী মেয়েটিকে নিয়ে দুই মাস ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তার বাবা। হত্যার হুমকীতে হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তায় সন্তানসহ চিকিৎসা  নিচ্ছে মেয়েটি। মেয়েটির পরিবার সুত্র জানায়, প্রতিবেশি প্রভাবশালী মৃত আবুবকর সিদ্দিকের পুত্র জাকিরুল ইসলাম শাহিদা খাতুনকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করলে সে অন্তসত্বা হয়ে পড়ে। এক সময় পেট বাড়তে থাকলে শাহিদার পিতা শাহ আলম মেয়ের পেটে টিউমার হয়েছে ভেবে ডাক্তারের  কাছে নিয়ে যায়। সেখানে  পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর তার পেটে বাচ্চা আছে বলে ডাক্তার জানায়। তখন পরিবারটি শাহিদা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে সে জানায় জাকিরুল তাকে ভয় দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধর্ষন করে আসছিল। বাবা শাহ আলম জানান, আমি ঢাকায় রিক্সা চালাই। মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে গ্রামে এসে প্রতিবেশির সহযোগীতায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।
তখন ডাক্তার জানায়, আমার মেয়ের পেটে বাচ্চা আছে। শাহিদার মা উপজন বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন। এই সুযোগে প্রতিবেশি জাকিরুল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মামলা করার পর থেকে আসামী ও তার পরিবার আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। ভয়ে আমি অন্তস্বত্তা মেয়েকে
নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। হাসপাতালে সন্তান প্রসব হয়েছে শুনে আবারো হুমকি দিচ্ছে। বাচ্চাটিকে মেরে ফেলার জন্য আমাকে ২ লক্ষ টাকা দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে লোক মারফত।
মেয়েটির বড় বোন শাহারী খাতুন জানান, শাহিদার ঋতু¯্রাব শুরু হয়নি বলে তার পেট বাড়তে
থাকা ও হাতে পায়ে পানি জমা দেখেও আমরা গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি অনুমান করতে করিনি।
পেটে টিউমার থাকতে পারে ভেবে গ্রামবাসীর সহায়তায় তাকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়।
সেখান ধরা পড়ে তার পেটে বাচ্চা। মামলা করে আমার পুরো পরিবার এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আসামীপক্ষ বাচ্চাটিকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। এমন অবস্থায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
এব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে যখন নিয়ে আসা হয়েছিল তখন বাচ্চা ও মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। বয়স কম হওয়ায় শারিরিক গঠন সন্তান প্রসবের উপযুক্ত ছিল না। ডাক্তার-নার্সদের দক্ষতায় তাদের বাঁচানো গেছে। মেয়েটির শারিরিক অবস্থা এখনও নাজুক। তাকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। মেয়েটির বাবা বাচ্চাটিকে হত্যার হুমকি পেয়ে নিরাপত্তার আবেদন করলে, স্থানীয় পুলিশকে জানিয়ে হাসপাতালে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) খান মো. শাহ্রিয়ার বলেন, বিষয়টি খুবই অমানবিক। আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা যায়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Monday, August 10, 2015

নোয়াখালীতে কুপিয়ে ও গুলি করে যুবলীগ নেতা মিলনকে হত্যা

ক্রাইম নিউজ ২৫ : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মিলন সরকার নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সোয়া ১ টার দিকে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের দেওটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিলন সরকার স্থানীয় মুহুরীগঞ্জ বাজারে ডেকোরেটরের ব্যবসায়ী  এবং ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। তিনি দেউটি ইউনিয়নের সারেং বাড়ির নাদেরুজ্জামানের ছেলে। রাতে মিলন বাড়ির পাশে মাছ শিকারে বের হলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে ফেলে যায়।

Saturday, June 20, 2015

জয়পুরহাটে এক পরিবারের চার জনকে কুপিয়ে হত্যা

Bagerhat Murder

বাগেরহাটে খুন করে গোসলখানায় পুঁতে রাখার তিনমাস পর একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক হয়েছে নিহতের স্ত্রী। মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমারিয়াজোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ জানায়, শাহজাহান শেখ নামে প্রতিবেশির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আটক ফাতেমার। মাস তিনেক আগে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে স্বামী আল আমিন শেখকে খুন করেন তিনি। এরপর মরদেহটি গোসলখানায় মাটি চাপা দিয়ে রাখেন দুইজনে মিলে। আল আমিনের নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে ফাতেমাকে। আর পুলিশের কাছে স্বামীকে খুন এবং মরদেহ গুমের কথা জানান ফাতেমা।

মিরপুর শেওড়াপাড়ায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ

  1. Rape complaint

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী মিরপুর থানায় অভিযোগ করলে, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের এক বন্ধু মেয়েটিকে তার বাসায় নিয়ে যায়। এবং সেখানেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে তিন জনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের একজন ধর্ষণে জড়িত আর অন্য দুজন ছবি তুলেছে। এ ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি।

Monday, June 1, 2015

খেলতে গিয়ে জীবন নিয়ে টানা হেচড়া করছে এক বাচ্চার


গ্রামের অবুঝ শিশু খেলার ছলে উরন্ত ক্রিকেট বল ক্যচ ধরতে লাফ দিয়ে শুন্যে উঠে, কিন্তু ক্যচ ধরার আনন্দে ভুলে যায়
নিচে থাকা বাঁশের ফালি দিয়ে বানানো স্টাম্পের কথা । ক্যচ ধরার আনন্দে চার দিক সাথিরা হই চই করছে আর মাসুম বাচ্ছাটি বল ধরে মাটিতে পরা মাত্রই সব আনন্দ, হাসি, কান্নায় পরিনিত হল।এখন হাসপাতালে মুত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে। সবাই দোয়া
করুন ছেলেটির জন্য আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে দেয়।

যে সকল নারী কলেজ কিংবা চাকুরীতে যান তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষনা















IMPORTANT ANNOUNCMENT: একা একা যে সকল নারী কলেজ কিংবা চাকুরীতে যান তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষনা । ফাকা রাস্তায় যদি কোন ছোট শিশুকে ঠিকানা লেখা কাগজ হাতে নিয়ে একা দাড়িয়ে কাঁদতে দেখেন তবে শিশুটিকে তার ঐ ঠিকানায় না নিয়ে গিয়ে নিকটস্থ পুলিশ স্টেষনে নিয়ে যান । আজকাল এইটা চোর, ছিনতাইকারী কিংবা ধর্ষকদের নতুন পদ্ধতি মেয়েদের সর্বনাস করার । দয়া করে মেসেজটি সব মেয়েদের কাছে মেসেজ কিংবা শেয়ারের মাধ্যমে পৌছান, ছেলেদের কাছেও পৌছান তাদের বোনটি বেঁচে যেতে পারে । শেয়ার করতে লজ্জা পাবেননা প্লিজ । আপনাদের একটি শেয়ার একটি মেয়ের জীবন বাঁচাইতে পারে । এই মেসেজটি CNN ও NDTV দ্বারা পাবলিশ করা হয়েছে । যে কোন মূল্যে মেসেজটি সবার মাঝে শেয়ার করুন প্লিজ । একবার ভাবুন শেয়ারের মাধ্যমে আপনি হয়ত আপনার বোনকে বাচাইতেছেন, আপনার ভালবাসার মানুষটিকে, আপনার চাচাতো বোনকে, আপনার মা কিংবা বউ.... যে কারো জীবন ।

Saturday, May 30, 2015

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা

নাটোরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় ঘরে দরজা বন্ধ করে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে এক শিক্ষার্থী। মৃত শিক্ষার্থীর নাম শারমিন সুলতানা (১৬)। শারমিন ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর নাটোর সদরের ছাতনী এলাকার এসআই উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শারমিন সুলতানা (১৬) ফেল করায় বিকালে ঘরের দরজা আটকে দিয়ে বিষ পান করে।
পরে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে তার মৃতদেহ দেখতে পায়।
এব্যাপারে নাটোর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ বিষপানে মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চত করেছে।

কলাবাগানে বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৭ জন দগ্ধ


এরা হলেন- মমতাজ বেগম (৬০), তার ছেলে মো. সুমন (২৮) ও তার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২২), নাতি রাব্বি (১০), মেয়ে রোজী (৩৫) এবং তার ছেলে অয়ন (২০)ও মেয়ে বিথী (১৪)।
কী থেকে এ বিস্ফোরণ সে বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া না গেলেও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্যাসের পাইপ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
শনিবার ভোরে কলাবাগানের ২৯ লেকসার্কাসে এ ঘটনায় আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পাঁচজন হাসপাতালে আসার পর তাদের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এরপর বাকিদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।”
‘কীভাবে আগুন লেগেছে বলতে পারবো না’ বলে অগ্নিদগ্ধরা প্রাথমিকভাবে পুলিশকে বলেছে বলে জানান হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মোজাম্মেল।
সুমন পেশায় গাড়িচালক। ২৯/১ লেকসার্কাসে একটি টিনশেড বাড়ির দুই রুম ভাড়া নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। সকালে হঠাৎ বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ হলে তাদের টিনের ঘর ও পাশের দেয়াল পুড়ে যায়।
প্রতিবেশী মো. জুলফিকার স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক।
ঘটনাস্থল থেকে কলাবাগান থানার এসআই নিজামউদ্দীন বলেন, ভোরে কলাবাগানের এই এলাকায় মাটি খুঁড়ে ওয়াসার কাজ চলছিল।
“হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে পাশের একটি টিনশেড বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আছেন জানিয়ে কলাবাগান থানার ওসি মো. ইকবাল বলেন, “কী থেকে বিস্ফোরণটি ঘটেছে সে বিষয়ে এখনও সুস্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, গ্যাসের কোনো পাইপে লিক ছিল। কেউ হয়তো ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়েছে এবং সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পরিদর্শক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, “গ্যাস পাইপে লিক থাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”





Wednesday, May 27, 2015

তরুণীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার দুই যুবকের: র‍্যাব

রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ বুধবার দুপুরে র‍্যাব-১ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া যুবকেরা হলেন আশরাফ ওরফে তুষার (৩৫) ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে লাভলু (২৬)। তাঁরা সিগনেট বায়িং হাউস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়ির চালক।
আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবিটি আজ দুপুরে র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে তোলা। ছবি: আবদুস সালামআদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবিটি আজ দুপুরে র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে তোলা। ছবি: আবদুস সালামমুফতি মাহমুদ খানের ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর গুলশান-১ এলাকা থেকে লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তরুণীকে ধর্ষণের কাজ এ মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করা হয় বলে দাবি র‍্যাবের। ছবিটি বুধবার র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে তোলা। ছবি: আবদুস সালাম
সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, গত ১৭ মে তুষার দুই আফ্রিকান ক্রেতাসহ যমুনা ফিউচার পার্কে টেক্সমার্ট ফ্যাশন হাউসে যান। সেখানে ওই তরুণী কাজ করেন। তুষারের সঙ্গে ওই তরুণীর কথা হয়। একপর্যায়ে তুষার তাঁকে চাকরির প্রলোভন দেখান। এভাবে তিন দিন ওই তরুণীর সঙ্গে কথা হয়। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে তুষার ওই তরুণীকে ফোন করেন। তখন কাজ শেষ হওয়ায় তরুণী বেরিয়ে আসেন। পরে সড়কে মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়িয়ে তুষার ও লাভলু ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে তুষার ওই তরুণীর গন্তব্য জানতে চান। তরুণী উত্তরা যাবেন বলে জানান। তুষার গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে তরুণী রাজি হননি। তখন তাঁরা জোর করে তরুণীকে মাইক্রোবাসে তোলেন।
তুষার ও জাহিদুলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মুফতি মাহমুদ খানের দেওয়া ভাষ্য, তরুণীকে গাড়িতে তুলেই লাভলু গাড়িটি চালাতে শুরু করেন। তখন তুষার প্রথমে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তুষার গাড়ি চালান, লাভলু এসে ধর্ষণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তুষারের ভাষ্য, ১৮ তারিখ তাঁরা ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। এ সময় ফিরোজ নামের আরেক গাড়িচালক তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালকের দাবি, তুষার এ ঘটনার পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁরা দুজনই যুক্ত। ধর্ষণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।

Monday, May 25, 2015

বসে কাজ করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা

বেশি সময় ধরে বসে বসে কাজ করলে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। প্রতিনিয়ত যারা একভাবে বসে কাজ করেন তাদের হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনাগত সমস্যা বেশি দেখা দেয় এবং আশঙ্কা থাকে হার্ট অ্যাটাকেরও।

আমেরিকার একটি গবেষণায় উঠে এসছে এই তথ্য। গবষেণায় দেখা গেছে, প্রত্যেক দিন যোগ ব্যায়াম শরীরের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে। তাই হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ব্যায়াম দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে দেয় এবং শরীরকে ফিট রাখে, এমনটাই মত চিকিৎসকদের।

গবেষণায় দেখা গেছে ২০০০ এরও বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ যারা সারাদিন বসে বসে কাজ করেন তাদের মধ্যে ১৪% মানুষই হৃদরোগে ভোগেন। পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ হার্ট অ্যাটাকের মত মারণাত্মক ব্যাধির আকার নেয়।

ফাঁসির আগে রেহানার হৃদয় কাঁপানো চিঠি

রেহানা জাব্বারিকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীর বুকে ছুরি চালিয়ে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। ২৫ অক্টোবর তার মত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
NTV's photo.
মৃত্যুর আগে মাকে শেষ চিঠি লিখে গেছেন রেহানা। হৃদয় নিংড়ানো সেই চিঠিতে মাকে শোকগ্রস্ত হতে বার বার বারণ করেছেন রেহানা। মৃত্যুকে তিনি অভিহিত করেছেন নিয়তির বিধান হিসেবে, তবে সে জন্য তিলমাত্র অনুতাপ করেননি। বরং ফাঁসির পর তার দেহাংশ দান করার অনুরোধ জানিয়েছেন জন্মদাত্রীকে। রেহানার সেই মর্মস্পর্শী চিঠি গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন ও শান্তিকামী গোষ্ঠীর সদস্যরা।
মাকে লেখা রেহানা জাব্বারির শেষ চিঠি:
প্রিয় শোলেহ,
আজ জানতে পারলাম এবার আমার ‘কিসাস’ (ইরানের আইন ব্যবস্থায় কর্মফল বিষয়ক বিধি)-এর সম্মুখীন হওয়ার সময় হয়েছে। জীবনের শেষ পাতায় যে পৌঁছে গিয়েছি, তা তুমি নিজের মুখে আমায় জানাওনি ভেবে খারাপ লাগছে। তোমার কি মনে হয়নি যে এটা আমার আগেই জানা উচিত ছিল? তুমি দুঃখে ভেঙে পড়েছ জেনে ভীষণ লজ্জা পাচ্ছি। ফাঁসির আদেশ শোনার পর তোমার আর বাবার হাতে চুমু খেতে দাওনি কেন আমায়?
দুনিয়া আমায় ১৯ বছর বাঁচতে দিয়েছিল। কেননা সেই অভিশপ্ত রাতে আমারই তো মরে যাওয়া উচিত ছিল, তাই না? আমার মৃতদেহ ছুড়ে ফেলার কথা ছিল শহরের কোনো অজ্ঞাত কোণে। কয়েকদিন পর মর্গে যা শনাক্ত করার কথা ছিল তোমার। সঙ্গে এটাও জানতে পারতে যে হত্যার আগে আমাকে ধর্ষণও করা হয়েছিল। হত্যাকারীরা অবশ্যই ধরা পড়ত না, কারণ আমাদের না আছে অর্থ, না ক্ষমতা। তারপর বাকি জীবনটা সীমাহীন শোক ও অসহ্য লজ্জায় কাটিয়ে কয়েক বছর পর তোমারও মৃত্যু হত। এটাই যে হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সে রাতের আকস্মিক আঘাত সব কিছু ওলোটপালট করে দিল। শহরের কোনো গলি নয়, আমার শরীরটা প্রথমে ছুড়ে ফেলা হল এভিন জেলের নিঃসঙ্গ কুঠুরিতে, আর সেখান থেকে কবরের মতো এই শাহর-এ রায় কারাগারের সেলে। কিন্তু এ নিয়ে অনুযোগ কর না মা, এটাই নিয়তির বিধান। আর তুমি তো জানো যে মৃত্যুতেই সব শেষ হয়ে যায় না।
মা, তুমিই তো শিখিয়েছ অভিজ্ঞতা লাভ ও শিক্ষা পাওয়ার জন্যই আমাদের জন্ম। তুমি বলেছিলে, প্রত্যেক জন্মে আমাদের কাঁধে এক বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া থাকে। মাঝে মাঝে লড়াই করতে হয়, সে শিক্ষা তো তোমার থেকেই পেয়েছি। সেই গল্পটা মনে পড়ছে, চাবুকের ঝাপ্টা সহ্য করতে করতে একবার প্রতিবাদ জানানোর ফলে আরও নির্মমতার শিকার হয়েছিল এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়। কিন্তু প্রতিবাদ তো সে করেছিল! আমি শিখেছি, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে অধ্যবসায় প্রয়োজন। তার জন্য যদি মৃত্যুও আসে, তাকেই মেনে নিতে হয়।
স্কুলে যাওয়ার সময় তুমি শিখিয়েছিলে, নালিশ ও ঝগড়াঝাটির মাঝেও যেন নিজের নারীসত্তাকে বিসর্জন না দিই। তোমার মনে আছে মা, কত যত্ন করেই না মেয়েদের খুঁটিনাটি সহবত শিখিয়েছিলে আমাদের? কিন্তু তুমি ভুল জানতে মা। এই ঘটনার সময় আমার সে সব তালিম একেবারেই কাজে লাগেনি। আদালতে আমায় এক ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসেবে পেশ করা হয়। কিন্তু আমি চোখের জল ফেলিনি। ভিক্ষাও করিনি। আমি কাঁদিনি কারণ আইনের প্রতি আমার অটুট আস্থা ছিল।
কিন্তু বিচারে বলা হল, খুনের অভিযোগের মুখেও নাকি আমি নিরুত্তাপ। আচ্ছা মা, আমি তো কোনো দিন একটা মশাও মারিনি। আরশোলাদের চটিপেটা না করে শুঁড় ধরে জানলার বাইরে ফেলে দিয়েছি। সেই আমিই নাকি মাথা খাটিয়ে মানুষ খুন করেছি! উল্টে ছোটবেলার ওই কথাগুলো শুনে বিচারপতি বললেন, আমি নাকি মনে মনে পুরুষালি। তিনি একবার চেয়েও দেখলেন না, ঘটনার সময় আমার হাতের লম্বা নখের ওপর কী সুন্দর নেল পালিশের জেল্লা ছিল। হাতের তালু কত নরম তুলতুলে ছিল।
সেই বিচারকের হাত থেকে সুবিচার পাওয়ার আশা অতি বড় আশাবাদীও করতে পারে কি? তাই তো নারীত্বের পুরস্কার হিসেবে মাথা মুড়িয়ে ১১ দিনের নির্জনবাসের হুকুম দেওয়া হল। দেখেছ মা, তোমার ছোট্ট রেহানা এই কদিনেই কতটা বড় হয়ে গিয়েছে?
এবার আমার অন্তিম ইচ্ছেটা বলি শোনো। কেঁদো না মা, এখন শোকের সময় নয়। ওরা আমায় ফাঁসি দেওয়ার পর আমার চোখ, কিডনি, হৃদযন্ত্র, হাড় আর যা যা কিছু দরকার যেন আর কারো জীবন রক্ষা করতে কাজে লাগানো হয়। তবে যিনিই এসব পাবেন, কখনোই যেন আমার নাম না জানেন। আমি চাই না এর জন্য আমার সমাধিতে কেউ ফুলের তোড়া রেখে আসুক। এমনকি তুমিও নয়। আমি চাই না আমার কবরের সামনে বসে কালো পোশাক পরে কান্নায় ভেঙে পড় তুমি। বরং আমার দুঃখের দিনগুলো সব হাওয়ায় ভাসিয়ে দিও।
এই পৃথিবী আমাদের ভালোবাসেনি, মা। চায়নি আমি সুখী হই। এবার মৃত্যুর আলিঙ্গনে তার পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। তবে সৃষ্টিকর্তার এজলাসে সুবিচার আমি পাবই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি অভিযোগের আঙুল তুলব সেই সমস্ত পুলিশ অফিসারের দিকে, বিচারকদের দিকে, আইনজীবীদের দিকে, আর তাদের দিকে যারা আমার অধিকার বুটের নিচে পিষে দিয়েছে, বিচারের নামে মিথ্যা ও অজ্ঞানতার কুয়াশায় সত্যকে আড়াল করেছে। একবারও বোঝার চেষ্টা করেনি, চোখের সামনে যা দেখা যায় সেটাই সর্বদা সত্যি নয়।
আমার নরম মনের শোলেহ, মনে রেখো সেই দুনিয়ায় তুমি আর আমি থাকব অভিযোগকারীর আসনে। আর ওরা দাঁড়াবে আসামির কাঠগড়ায়। দেখিই না, সৃষ্টিকর্তা কী চান! তবে একটাই আর্জি, মৃত্যুর হাত ধরে দীর্ঘ যাত্রা শুরুর প্রাক মুহূর্ত পর্যন্ত তোমায় জড়িয়ে থাকতে চাই, মাগো! তোমায় যে খুব খু-উ-ব ভালোবাসি ।

Sunday, May 24, 2015

প্রেমিক প্রেমিকার জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক বা ধর্ষন

rape
ধর্ষণ – শব্দটি শুনলেই প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে যে দৃশ্যপট সৃষ্টি হয় তা হলো অপরিচিত কোন পুরুষ কিংবা নারীর কোন নির্জন স্থানে বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে জবরদস্তি শাররীক সম্পর্ক স্থাপন করা। অপরিচিত মানুষ দ্বারা জোরপুর্বক শাররীক সম্পর্কই শুধু ধর্ষণ নয় – এর বাহিরেও অনেক প্রকার ধর্ষণ আছে। প্রেমিকাকে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে তার অমতে শাররীক সম্পর্ক স্থাপন সহ পারষ্পরিক সম্মতির বাহিরে স্বামী স্ত্রীর শাররীক মিলনও ধর্ষন হিসেবে পরিগনিত। দুঃখজনক ভাবে সত্য যে – ধর্ষণের শিকার যেকোন নারী/পুরুষের ৫০% (আমাদের দেশে আনুমানিক ৯০%) ধর্ষকের পুর্বপরিচিত বন্ধু কিংবা আত্মীয়।
ধর্ষণ কি?
ধর্ষণ বলতে বুঝায়, “বেআইনী ভাবে কারো মতের বিরুদ্ধে তার শরীরের যৌনঅঙ্গ সমুহের ব্যবহার”। যদিও ধর্ষণের সাথে জোরপুর্বক শাররীক সম্পর্ক যুক্ত, ধর্ষণ মানে প্রচণ্ড আবেগ কিংবা অন্তরঙ্গ শাররীক মিলন নয়। ধর্ষণ হচ্ছে একপ্রকার আগ্রাসন এবং সহিংস অপরাধ।
নারীই কি সবসময় ধর্ষিত হয়?
কিশোরী এবং নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকেন, তবে পুরুষও ধর্ষনের শিকার হয়ে থাকেন তবে সেটা অনেক কম। ধর্ষিত মানুষের মাঝে ৭% থেকে ১০% পুরুষ! তবে জরিপে দেখা গেছে পুরুষ কিংবা নারী যেই ধর্ষিত হোক না কেন, ৯৯% ক্ষেত্রে পুরুষকেই ধর্ষকের ভুমিকায় দেখা যায়।
ধর্ষণঃ কার ভুল?
অনেক মানুষকে বলতে শুনি “ধর্ষিতা তার কাপড়চোপড় কিংবা অঙ্গভঙ্গিতে ধর্ষনকারীকে অপরাধটি করতে উৎসাহী করেছিল”। ধর্ষিতার দোষ বলে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাবার উপায় নেই। সর্বক্ষেত্রেই ধর্ষনকারী অপরাধী এবং ঘটনার জন্য শুধু ধর্ষনকারীই দায়ী থাকবে। দুইজন পুর্বপরিচিত কিংবা প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সময়েও ধর্ষণ একটি অপরাধ। কোন মানুষই অন্যের যৌন সম্পর্ক তার অধিকার মনে করতে পারার কোন অবকাশ নেই – উভয় পক্ষের পুর্ন সম্পর্ক ব্যতিত! (বিবাহিত সম্পর্কে ধর্ষণ – এ বিষয়ে পরে একদিন পোষ্ট করা হবে)। জরিপে দেখা গেছে স্বল্প পোশাক বা ধর্ষিতার অংগ ভংগি ধর্ষনের জন্য দায়ী নয়, বরং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে শালীন পোষাক পরা নারীরাও ধর্ষনের শিকার হয়েছেন।
মদ্যপান, মাদক এবং ধর্ষণঃ
পরিচিত ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণের সাথে মাদক অনেকাংশে জড়িত। রাসায়নিক কারনে মদ নারী এবং পুরুষের শরীরে ভিন্ন প্রভাব ফেলে। মদ্যপান কিংবা অন্যন্য মাদক গ্রহনের কারনে হারানোর সম্ভাবনা থাকে, সাধারন জ্ঞান অকার্যকর হয়ে যায় – অনেক মানুষ নেশার ঘোরে আগ্রসন অথবা সহিংসক হয়ে উঠেন। যার ফলশ্রুতিতে ধর্ষনের মত জঘণ্য বিষয়ও অনায়াসে ঘটিয়ে ফেলে।
অনেক প্রকার মাদক, যেমন রোহিপনল (roofies), গামা-হাইড্রোঅক্সিবু্ট্রেট (GHB) এবং কিটামাইন সমৃদ্ধ মাদক কে “ডেট রেপ” তথা প্রেমিক দ্বারা ধর্ষনের মাদক বলা হয়। বহিঃবিশ্বে এই প্রকার মাদক অনায়াসে খাদ্য কিংবা পানীয় এর সাথে মিশ্রিত করে যেকোন নারীকে অচেতন করে কুকর্ম সারার প্রবনতা পরিলক্ষিত হয়। এই মাদক সেবনকরীরা কিছু সময়ের জন্য পেরালাইজড/অবশ, ঝাপসা দেখা এমনকি স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে স্থায়ীভাবে পেরালাইজড এমনকি মৃত্যু পযন্ত হতে পারে।
ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে কিভাবে রক্ষা করবেন?
– আপনার সঙ্গী আপনাকে কোন নির্জন স্থানে নিতে চাইলে যতক্ষন পর্যন্ত আপনি তাকে সম্পুর্ন বিশ্বাস করতে না পারবেন তার কথায় কোন নির্জন স্থানে যাবেন না। “কোন নির্জন স্থানে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থাকলে শয়তান তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে হাজির হয়” – তাই কোন গোপন স্থানে দেখা করা থেকে বিরত থাকুন, এমনকি পুরুষটি আপনার বিস্বস্ত হলেও।
– এমন কোন ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখবেন না যে চরিত্রহীন এবং সুযোগ সন্ধানী।
– সংযত এবং সচেতন থাকুন – শারীরিক মিলনের প্রশান্তিই জীবনের সবকিছু নয়। ইজ্জত হারালে তা ফেরত পাওয়া যায় না। অন্য কেউ না জানলেও প্রিয়জন দ্বারা ধর্ষিত হবার পর আপনার নিজের প্রতি নিজের ঘৃনাবোধ কাটিয়ে উঠতে পারবেন?
– আপনি কি চান তা অবগত হউন।
– কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বন্ধু বান্ধবের সাথে যান এবং একজন আরেকজনের প্রতি নজর রাখুন।
– আইনী সহায়তা কিংবা লোকলজ্জার ভয়ে নিশ্চুপ থাকবেন না। ধর্ষনের হুমকিতে পড়লে গর্জে উঠুন।
– অত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে কুংফু / কারাতে শিখে রাখুন। সাইড ব্যগে বোতল ভর্তি মরিচের গুড়া কিংবা গুড়া মিশ্রিত পানি রাখুন।
ধর্ষনের শিকার হলে কি পদক্ষেপ নিবেন? 
দুর্ভাগ্যবশত আপনি যদি ধর্ষনের শিকার হন তাহলে নিন্ম লিখিত বিষয় সমুহ আপনার করনীয় হতে পারেঃ
– আপনি যদি শাররীক আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহলে দ্রুত হসপিটালে ইমাজেন্সি সেকশানে যান। অনেক হসপিটালের ইমাজেন্সিতে ধর্ষিতা নারীর বিশেষ সহায়তার জন্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ডাক্তার থাকেন।
– ঘনিষ্ঠ বন্ধু কিংবা পরিবারের অন্য কোন সদস্যের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন যাদেরকে আপনি নিরাপদ মনে করেন এবং আপনার সাথে সংগঠিত বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনা করুন।
– আইনের শরনাপন্ন হতে চাইলে সবার আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করুন। কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন মুছে ফেলবেন না। আমাদের দেশে নারীরা ধর্ষনের পর নিজকে অপবিত্র মনে করতে থাকেন এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতায় বার বার গোসল করেতে থাকেন – ফলে ধর্ষনের অনেক আলামত মুছে যায়। – এ বিষয়টি খেয়াল রাখা পরিবারের অন্য সদস্যের খুবই জরুরী।
– ঘটনার যতটুকু মনে পড়ে তা বিস্তারিত লিখে রাখুন।
– যদি আপনি সীদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন “কি করবেন?” তাহলে নিকটস্থ মানবাধিকার সংগঠনে যোগাযোগ করুন।
পরিশিষ্টঃ
গত দশ বছরে পৃথিবী ৫০০ বছর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের মানসিকতা সেই ৫০-১০০ বছর পিছে পড়ে আছে। এখনো কোন নারী ধর্ষনের শিকার হলে আমরা প্রথমেই ধরে নেই মেয়েটির দোষে এমন ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেও একটি মেয়ের আত্মহত্যার খবর পড়লাম পত্রিকাতে। ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় লজ্জায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।
আমাদের দেশের পুরুষরা যেন সব কলংকের উর্দ্ধে। একজন নারীর একমাত্র অবলম্বন তার ইজ্জত! সেই ইজ্জত নষ্ট করে পুরুষটির মনে বিন্ধুমাত্র অপরাধবোধ দেখা যায়না। অনেক ছেলেকে দেখা যায় শুধু শারীরিক মিলনের উদ্দেশ্যেই কোন মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সব ধর্ষনের খবর হয়তো আমরা শুনি না। কিন্তু যে কাজটি ঘটাচ্ছে এবং যে নারী ধর্ষনের শিকার হচ্ছে তারা কি মানসিক শান্তি পেয়েছে/পাবে?

‘ধর্ষিতাকে’ হাসপাতালে রেখে দু’যুবক উধাও

rape-e1406182859207
ক্রাইম নিউজ 25ঃ   শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে লিপি আক্তার (২৮) নামে এক যুবতীর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে দুই যুবক।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যুবতীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
পরে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানায় জানালে যুবতী সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ওদুদ মোল্যার বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, বেলা আড়াইটার দিকে দুই যুবক অসুস্থ অবস্থায় যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় ডাক্তার পরীক্ষ-নিরীক্ষা করে ওই যুবতীর বিষপাণে মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এসময় যুবতীর সঙ্গে আসা দুই যুবক মর্গে লাশ ফেলে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে পুলিশ ধারণা করছে, ধর্ষণের পরে যুবতীকে জোর করে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হতে পারে।
যুবতীর পরিচয় শনাক্ত করে যুবকদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব।