Tuesday, March 31, 2015

উত্যক্ত করায় মাদ্রাসা ছাত্রের কারাদণ্ড


উত্যক্ত করায় মাদ্রাসা ছাত্রের কারাদণ্ড
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি: অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় মো. শাহেদ আহমদ (২১) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অাটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের আয়েশা কামিল মাদ্রাসা থেকে তাকে অাটক করা হয়।

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত শাহেদ সদর উপজেলার টুমচর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) শ্রেণীর ছাত্র ও পৌরসভার আবিবনগর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।

এ ব্যাপারে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল উদ্দিন জানান, মো. শাহেদ সদর উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের আয়েশা কামিল মাদ্রাসায় গিয়ে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে সোমবার বিকেলে উত্যক্ত করে। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার কর্মচারীরা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করেন। এ সময় অপরাধ প্রমাণিত হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান শাহেদ আহমদকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মাদ্রাসাছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ ও প্রকাশ্যে উত্যক্ত করায় তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, দণ্ডপ্রাপ্তকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাল্যবিয়ের আসরে​ পুলিশ, বরের চম্পট


বাল্যবিয়ের আসরে​ পুলিশ, বরের চম্পট

প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে বিয়ে করতে এসে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুতা, টুপি ফেলে বর জাহাঙ্গীর আলম (২০) দৌড়ে পালিয়েছেন। উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বিয়ের আসর থেকে বরের তিন ভগ্নিপতিকে আটক করেছে। পরে মুচলেকা নিয়ে রাতেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বরের ভগ্নিপতি নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁদের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর গ্রামে। তাঁর শ্যালক জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পার্বতীপুরের কাজীপাড়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ের (১২) বিয়ে ঠিক হয়। সন্ধ্যার পর বরসহ তাঁরা মোট ছয়জন বরযাত্রী মেয়ের বাড়িতে আসেন। কিন্তু কে বা কাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিয়ে পড়ানোর আগ মুহূর্তে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। হঠাৎ পুলিশ দেখে ভড়কে গিয়ে বর দৌড়ে পালান।

পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ দেখে বর, বরের বাবা এবং মেয়ের বাবা পালিয়ে যান। তবে বরের তিন ভগ্নিপতিকে আটক করা হয়। শ্যালকের সঙ্গে কোনো শিশুকন্যার বাল্যবিবাহ হতে দেবেন না মর্মে লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মেয়ের বাড়ির অন্য লোকজনকেও একই আইনি বিধান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

মঙ্গলবার মার্চ ৩১, ২০১৫, ০৫:৫৬ পিএম.

সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায়  ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ার জের ধরে বিপাশা (১১) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বিপাশা লক্ষীপুর গ্রামের ফরিদ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসী জানায়, বিপাশার সঙ্গে একই ক্লাশের ছাত্র বড়াইগ্রাম রেজুর মোড়ের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের ছেলে বাঁধনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২/৩ দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বাঁধনের বাবা ছেলেকে মারপিট করে তার স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।

অন্যদিকে এ ঘটনায় পঞ্চম শেণির প্রেমিকা বিপাশা স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষপান করে। পরে আবার সে স্কুলে গেলে মাঠে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপাশা মারা যায়।  বিপাশার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ইংরেজীতে ‘বি’ লেখা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

মঙ্গলবার মার্চ ৩১, ২০১৫, ০৫:৫৬ পিএম.


"সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ার জের ধরে বিপাশা (১১) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বিপাশা লক্ষীপুর গ্রামের ফরিদ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসী জানায়, বিপাশার সঙ্গে একই ক্লাশের ছাত্র বড়াইগ্রাম রেজুর মোড়ের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের ছেলে বাঁধনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২/৩ দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বাঁধনের বাবা ছেলেকে মারপিট করে তার স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।

অন্যদিকে এ ঘটনায় পঞ্চম শেণির প্রেমিকা বিপাশা স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষপান করে। পরে আবার সে স্কুলে গেলে মাঠে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপাশা মারা যায়।  বিপাশার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ইংরেজীতে ‘বি’ লেখা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
নাটোরের বড়াইগ্রামে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ার বিপাশা (১১) নামের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বিপাশা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের ফরিদ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। নিহতের সহপাঠি ও এলাকাবাসী জানায়, স্কুল ছাত্রী বিপাশার সঙ্গে একই শ্রেণীর ছাত্র বড়াইগ্রাম রেজুর মোড়ের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের ছেলে বাধনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কয়েক দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বাধনের বাবা ছেলেকে মারপিট করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
মঙ্গলবার বিপাশা স্কুলে গিয়ে সহপাঠি প্রেমিক বাধনের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ক্ষোভে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষপান করে। বিষপান করে বিপাশা আবার স্কুলে গেলে স্কুল মাঠেই অচেতন হয়ে পড়ে যায়।
এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মৃত বিপাশার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে বাধনের নামের আদ্যাক্ষর ‘বি’ লেখা রয়েছে। এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, “এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।”
সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায়  ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

ক্রাইম ‍নিউজ প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ার জের ধরে বিপাশা (১১) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বিপাশা লক্ষীপুর গ্রামের ফরিদ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসী জানায়, বিপাশার সঙ্গে একই ক্লাশের ছাত্র বড়াইগ্রাম রেজুর মোড়ের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের ছেলে বাঁধনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২/৩ দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বাঁধনের বাবা ছেলেকে মারপিট করে তার স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় পঞ্চম শেণির প্রেমিকা বিপাশা স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষপান করে। পরে আবার সে স্কুলে গেলে মাঠে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপাশা মারা যায়।  বিপাশার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ইংরেজীতে ‘বি’ লেখা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

Sunday, March 29, 2015

ফেসবুকের নতুন ফিচার ‘অন দিস ডে’

ফেসবুকে নতুন ফিচার আসছেফেসবুকে নতুন ফিচার আসছেঅতীতের স্মরণীয় দিন-ক্ষণ বা সেদিনের স্মৃতি অনেকেই ভুলে যান। এখন থেকে ফেসবুক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে কোন দিন কী ঘটেছিল সেই কথা। স্মৃতি রোমন্থন করার জন্য ‘অন দিস ডে’ নামে বিশেষ একটি ফিচার উন্মুক্ত করছে ফেসবুক। দীর্ঘদিন ধরে এই ফিচারটি নিয়ে পরীক্ষা চালানোর পর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পাঠানো প্রতিক্রিয়া নিয়ে এই ফিচারটি তৈরি করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুকের পণ্য ব্যবস্থাপক জোনাথন ঘেলার এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আজ আমরা অন দিস ডে নামের ফিচার উন্মুক্ত করছি যাতে ফেসবুকে বিগত সময়ে পোস্ট করা, শেয়ার করা বা ট্যাগ করা বিষয় আবার নতুন করে দেখা যাবে। কেবল ব্যবহারকারী এই পেজটি দেখতে পারবেন। নির্দিষ্ট দিনের স্ট্যাটাস আপডেট, ছবি, পোস্ট বা শেয়ার করা বিষয়গুলো দেখা যাবে।

মেয়েরা খেলাধুলায় কম আসে কেন?

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের একটি মুহূর্ত। ছবি: শামসুল হক 
মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরাই জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় অংশ নেন বেশি। স্বপ্ন থাকে খেলার দক্ষতা দিয়ে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করবেন। কিন্তু সবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। আর্থিক অনিশ্চয়তাই খেলাধুলায় নারীদের কম আসার প্রধান কারণ। একটি গবেষণা থেকে এই তথ্যই উঠে এসেছে।
গিনেস বুকে নাম তুলে জোবেরা রহমান লিনু তো ইতিহাসই তৈরি করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে ভালোভাবেই তুলে ধরছেন সালমা খাতুনেরা। নারী ক্রীড়াবিদদের হাত ধরে বাংলাদেশ কম সাফল্য পায়নি। কিন্তু এখনো খেলাধুলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ কম। কেন? সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এর কারণগুলো বেরিয়ে এসেছে।
জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় অংশ নেওয়া নারীদের ৮৩ শতাংশই আসেন মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। তাঁদের স্বপ্ন থাকে, খেলায় দক্ষতা দিয়ে চাকরি পেয়ে পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা। তবে তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন। বাকিরা তেমন চাকরি বা আর্থিক কোনো নিশ্চয়তা পাননি। আর্থিক এই অনিশ্চয়তাই খেলাধুলায় নারীদের কম আসার প্রধান কারণ।
‘যেসব কারণে বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাধার সম্মুখীন: একটি সামাজিক সমীক্ষা’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আশরাফ উদ্দিন আহমেদ তাঁর এমফিল পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে গবেষণাটি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নারীরা খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত থাকলে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব। এর মাধ্যমে শিক্ষার হার, নেতৃত্বগুণ বাড়ানো ও ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটানো যাবে। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন হতে পারে।
মেয়েরা আসছে। তবে গতিটা ধীর। এমনটাই মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। বললেন, ‘উচ্চশিক্ষা ও ক্রীড়া—দুটো ক্ষেত্রই ব্যয়বহুল। আবার খেলাধুলায় আর্থিক নিশ্চয়তা থাকে না, তাই হয়তো পরিবার নিরুৎসাহিত করে মেয়েটাকে। তাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, মেয়েদের পেছনে কোনো বিনিয়োগ করলে তার ফল ভালো হয়।’ এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তারা পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে।
‘আরেকটা কথা অনেকে বলেন, মেয়েরা শারীরিকভাবে অত সক্ষম নয়। এটা অর্থহীন কথা। মেয়েদের শরীর ও মনের জোর কতটা, তা একজন মেয়ে যখন মা হয়, তখনই বোঝা যায়। ফলে পরিবারের কোনো মেয়ে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হলে তাকে উৎসাহিত করতে হবে। ছোটবেলা থেকে সংস্কৃতিচর্চার মতো, খেলাধুলার চর্চা করা উচিত।’ বললেন রাশেদা কে চৌধূরী।
বিভিন্ন ক্রীড়ায় জাতীয় পর্যায়ে খেলছেন এমন ১০০ নারীর মধ্যে জরিপ চালিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এঁদের অর্ধেক ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি ইত্যাদি এবং বাকি অর্ধেক দাবা, টেনিস, ব্যাডমিন্টন, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার ইত্যাদি ক্রীড়ায় জড়িত।
জরিপে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের ২৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন ২৩ জন। ৬৩ জনের পরিবারের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার কম। ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মাসিক আয় ২০ জনের পরিবারের। এঁদের ৪৬ শতাংশই দিনে কমপক্ষে দু-তিন ঘণ্টা অনুশীলন করেন। তবে তাঁদের জন্য সাধারণ পুষ্টিসম্পন্ন খাবার কেনা কষ্টসাধ্য। অংশগ্রহণকারীদের ৬৩ শতাংশই প্রথমে খেলতে আসেন কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়া। এ জন্য তাঁরা প্রশিক্ষণের উপযুক্ত স্থানের সংকট, ঘরের কাজে সময় দেওয়া ও নিরাপত্তাহীনতাকে দায়ী করেন।
খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে নিয়ে নারীদের এগিয়ে না আসার কয়েকটি কারণ গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান কারণ আর্থিক অনিশ্চয়তা। এর পাশাপাশি মৌলিক চাহিদার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা, লিঙ্গবৈষম্য, পরিবারের বিরোধিতা, নারীদের বিশেষায়িত ক্লাব না থাকা, নিয়মিত টুর্নামেন্ট না হওয়া এবং অনুশীলনের জায়গার অভাবকে চিহ্নিত করেছেন ক্রীড়াবিদেরা। গবেষণায় বলা হয়েছে, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা নারী খেলোয়াড়দের বেশির ভাগেরই লক্ষ্য থাকে, আনসার ভিডিপি, পুলিশ, বিজেএমসি—এমন সার্ভিস টিমে খেলা, যাতে তাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে পারেন এবং ভালো প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেকে আরও দক্ষ করতে পারেন। কিন্তু সারা দেশে জাতীয় পর্যায়ে হাজারেরও বেশি নারী খেলোয়াড়ের মাত্র ৩৪ শতাংশই এমন চাকরি করছেন।
নারী ক্রীড়াবিদদের পাওয়া এই চাকরিতে মাসিক বেতন সাড়ে ছয় থেকে নয় হাজার টাকা। কারও চাকরিই স্থায়ী নয়। জাতীয় পর্যায়ে ৫০টি স্বর্ণপদক পাওয়া খেলোয়াড়ের চাকরিও স্থায়ী হয়নি। এমনকি ২৫ বছর চাকরি করার পরও তা স্থায়ী না হননি এমন খেলোয়াড়ও আছেন। নারী খেলোয়াড়দের পরিবার মনে করে, খেলাধুলায় জড়ানো মেয়ের বিয়ে নিয়ে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হবে। তবে তাঁরা চাকরি পেলে পরিবারের সমর্থন পান।
জরিপে অংশ নেওয়া নারী খেলোয়াড়দের ৫৩ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা তাঁদের মেয়েকে খেলাধুলায় উৎসাহ দেবেন। বাকি ৪৭ শতাংশ বলেছেন, আর্থিক অনিশ্চয়তা, কম আয় ও কম সম্মানের কারণে তাঁরা নিজেদের মেয়েকে এই জগতে আনবেন না।
আন্তঃস্কুল ফুটবলের একটি ম্যাচে জয়ের পর ভিকারুন​নিসা নূন স্কুল দলদেশের দ্রুততম মানবী নাজমুন নাহার বিউটি বলেন, ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে সরকার যেমন সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছে, অ্যাথলেটিকসেও তেমনটা দরকার। অনেক মেয়েরই খেলাধুলায় আগ্রহ আছে। সামাজিক সমস্যাগুলো এখন আগের তুলনায় কমেছে। তবে আর্থিক সমস্যার কারণে মেয়েরা খেলাধুলার জগতে আসতে পারেন না।
১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে ১১ বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বিউটি বলেন, অ্যাথলেটিকসের মতো একক খেলায় কষ্ট বেশি। এসব খেলায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরাই আসেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা চাকরি নিয়ে ক্লাবগুলোতে খেলেন, তাঁদের বেতন খুব কম। তাঁরা পড়াশোনাও করেন। এত কষ্টের তুলনায় তাঁরা কিছুই পান না।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্রীড়াক্ষেত্রে নারী খেলোয়াড়দের যে পরিমাণ ত্যাগ, তার বদলে যথেষ্ট সম্মান ও মর্যাদা তাঁরা পান না। তবে বৈষম্যের বেড়াজালেও তাঁরা সাফল্য দেখাচ্ছেন। মেয়েদের জন্য তেমন টুর্নামেন্ট নেই, ক্লাবও নেই। প্রতিটি থানা ও জেলা পর্যায়ে মেয়েদের টুর্নামেন্ট করা প্রয়োজন। যেসব মেয়ে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত, চাকরিক্ষেত্রে তাঁদের জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখা দরকার।
৪৪ শতাংশ নারী খেলোয়াড় মনে করেন, শুধু নারী হওয়ার কারণে তাঁদের সামাজিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, অনুশীলনে যাওয়ার সময়ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সমালোচনা শুনতে হয়। বাকিরা বলেছেন, প্রথম দিকে তাঁরাও এমন সমস্যায় পড়েছেন। ক্যাম্পে যোগ দিতে ঢাকায় এলে প্রতিবেশীরাও অপবাদ দিতেন।
গবেষণায় বলা হয়, খেলাধুলায় সরকারি বরাদ্দ নিয়ে ৬০ শতাংশ নারী খেলোয়াড়ই অসন্তুষ্ট। তবে এটি মানতে নারাজ সাবেক ব্যাডমিন্টন তারকা, বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার ডানা। তিনি বলেন, সরকারি যা বরাদ্দ, তা তো খরচই হয় না। স্কুল পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরে খেলাধুলার মাঠ নেই, দখল হয়ে গেছে। গ্রাম পর্যায়ে খেলাধুলাই নেই। বাবা-মায়েরা অনাগ্রহী হয়ে উঠছেন, বাচ্চারা ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। পড়াশোনা হয়ে গেছে কোচিংনির্ভর। ফলে তারা খেলার সময় পায় না।
এত সমস্যার পরও খেলাধুলায় মেয়েদের আগ্রহ রয়েছে। যেমন, ২০১২ সালের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল। সরকারি উদ্যোগে এ টুর্নামেন্টে ৬০ হাজার ৮০১টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হয়ে ১০ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থী অংশ নেয়। গবেষণার সুপারিশে বলা হয়েছে, খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ক্লাবগুলোর জন্য নারী দল রাখাটা বাধ্যতামূলক করা যায়। নারী খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়াতে বিদ্যালয়ের বড় ভূমিকা নিতে হবে। কারণ, বিদ্যালয়েই মেয়েদের সহজে খেলায় সম্পৃক্ত করা যায়। মেয়েদের জন্য জেলায় আলাদা প্রতিষ্ঠানও খুব জরুরি।
এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে সচেতনতামূলক কাজ করতে হবে। যেসব মেয়ে খেলাধুলায় ভালো করছে, তাদের সামনে এনে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। নারী প্রশিক্ষক বাড়াতে হবে। মেয়েদের খেলাধুলায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পৃষ্ঠপোষকতার আওতায় আনতে হবে। নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। তবেই মেয়েরা খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হবে।

প্রযুক্তিতে মেয়েদের এগিয়ে নিতে চান


ফারাহ নাযীফা। ​ছবি: খালেদ সরকার

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বা আইসিটির সুবর্ণ সময় এখন। বাংলাদেশও এগোচ্ছে প্রযুক্তিতে। কিন্তু এই উন্নতি যেন পূর্ণতা পাচ্ছে না। কারণ দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক যে নারী তাঁরা পিছিয়ে আছেন প্রযুক্তিক্ষেত্রে। প্রযুক্তি শিক্ষা কিংবা কর্মক্ষেত্রে তাঁদের অবদান বেশ কম। এ চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা প্রযুক্তি-দুনিয়াতেই এমন। নারীদের প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষায় এগিয়ে নিতে চান ফারাহ নাযীফা। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গুগল ডেভেলপার্স গ্রুপের (জিডিজি) মাধ্যমে তাই তিনি নারীদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে উইমেন টেকমেকার্স সম্প্রতি যে দুজনকে প্রধান (লিড) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গুগল, ফারাহ তাঁদের একজন। আরেকজন দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাখশান্দা রুখাম।
ফারাহ জানান, শুধু প্রোগ্রামাররাই কিন্তু সফটওয়্যার উন্নয়নে ভালো করে। তাই শুধু পাস করার জন্য পড়লেই চলবে না। দক্ষ হতে হবে প্রোগ্রামিংয়ে। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে মেয়েদের ভয় দূর করে তাঁদের এগিয়ে আসার কথা বললেন ফারাহ। ভুল হতেই পারে, তবে থেমে থাকা চলবে না। ফারাহ নিজেও নিয়মিত প্রোগ্রামিং করেন।
দেশব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরব্যাপী নানা আয়োজনে মেয়েদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করতে চান ফারাহ। মেয়েদের মধ্যে যথেষ্ট মেধা আছে, দরকার শুধু তাঁদের সঠিক রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া। ফারাহ বলেন, ‘প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় তালিকার ওপরের দিকে সবাই ছেলে। অথচ সেখানে মেয়েদের থাকাটাও জরুরি। আমি তাই উদ্বুদ্ধ করতে চাই, একই সঙ্গে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করতে চাই। কিংবা সেটা হতে পারে মোবাইল অ্যাপ তৈরি বা অন্য কিছু।’
গত মাসে উইমেন টেকমেকার্স লিড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী ফারাহ নাযীফা ২০১২ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন। গুগল ডেভেলপার্স গ্রুপ (জিডিজি), ঢাকার সঙ্গে কাজ করে আসছেন অনেক দিন ধরে। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জিডিজির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আয়োজক হিসেবে ছিলেন, গুগলের ডেভ ফেস্টগুলোতে কাজ করেছেন তিনি। ফারাহ বললেন, ‘উইমেন টেকমেকার্স লিড হওয়ার আগে আমি “কমিউনিটি লিড” হিসেবে কাজ করেছি। দীর্ঘদিন ধরে এই ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করেছি বলেই হয়তো আমাকে লিড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
ফারাহ নাযীফার বাড়ি কুমিল্লায় হলেও তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বাবা মো. এনায়েত করিম সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। মা ফাতেমা আক্তার ঢাকা প্রিপারেটরি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়নের অধ্যাপিকা। ফারাহ লন্ডন গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ২০০৮ সালে ও-লেভেল এবং ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ২০১০ সালে এ-লেভেল সম্পন্ন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশোনা শেষ করে অধ্যাপনা করতে চান তিনি। তার আগে স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি করার ইচ্ছা আছে বলে জানালেন। বললেন, ‘এখনো যদিও অনেকটা বাকি। তত দিনে কী হবে এখনই বলতে পারছি না। তবে পেশা হিসেবে শিক্ষকতা গ্রহণ করলে আমি আরও অনেককে প্রযুক্তিতে আগ্রহী করে তুলতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’

Monday, March 23, 2015

ধর্ষণ আতঙ্কে জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্র নিষিদ্ধ


"ধর্ষণ আতঙ্কে জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্র নিষিদ্ধ

ধর্ষণ আতঙ্কে জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্র নিষিদ্ধ ভারতে ধর্ষণ কিংবা যৌন হেনস্থার খবর এখন সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এবার অভিযুক্ত হওয়ার আগেই তার খেসারত দিতে হল জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করা ভারতীয় এক ছাত্রের।

লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য বৈধভাবেই আবেদন করেন ওই ছাত্র। কিছুদিন পরেই একটা ই-মেইল পান যেখানে তাকে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে সাম্প্রতিক সময় ভারতীয় কর্তৃক একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাকে।

লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক অ্যানেট বেক কিসিঞ্জার ওই ভারতীয় ছাত্রকে ই মেইলে লিখেছেন,"দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোন ভারতীয় ছাত্রের আবেদন গ্রহণ করছি না। ভারতে ধর্ষণজনিত সমস্যার কথা আমরা প্রচুর শুনেছি। এই ধরণের সংস্কৃতি আমরা একেবারেই সমর্থন করি না। আমাদের গ্রুপে অনেক ছাত্রী রয়েছে। সুতরাং এই কার্যকলাপেক আমরা একেবারেই সমর্থন করি না।"

ভারতীয় হিসাবে হেনস্থা এখানেই শেষ নয়। মেইলে আরও বলা হয়,"জার্মানির বহু মহিলা অধ্যাপক ভারতের ধর্ষণ সংস্কৃতির জন্যই ভারতীয় কোন ছাত্র ভর্তি না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপের ফিমেল অ্যাসোসিয়েশনও।"

মেইল পাওয়ার পর পাল্টা মেল করলে ওই অধ্যাপক আরও বলেন,"এই সিদ্ধান্ত কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য। সকল ভারতীয়র জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা সমানভাবে প্রযোজ্য।"" ধর্ষণ আতঙ্কে জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্র নিষিদ্ধ ভারতে ধর্ষণ কিংবা যৌন হেনস্থার খবর এখন সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এবার অভিযুক্ত হওয়ার আগেই তার খেসারত দিতে হল জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করা ভারতীয় এক ছাত্রের।
লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য বৈধভাবেই আবেদন করেন ওই ছাত্র। কিছুদিন পরেই একটা ই-মেইল পান যেখানে তাকে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে সাম্প্রতিক সময় ভারতীয় কর্তৃক একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাকে।
লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক অ্যানেট বেক কিসিঞ্জার ওই ভারতীয় ছাত্রকে ই মেইলে লিখেছেন,"দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোন ভারতীয় ছাত্রের আবেদন গ্রহণ করছি না। ভারতে ধর্ষণজনিত সমস্যার কথা আমরা প্রচুর শুনেছি। এই ধরণের সংস্কৃতি আমরা একেবারেই সমর্থন করি না। আমাদের গ্রুপে অনেক ছাত্রী রয়েছে। সুতরাং এই কার্যকলাপেক আমরা একেবারেই সমর্থন করি না।"
ভারতীয় হিসাবে হেনস্থা এখানেই শেষ নয়। মেইলে আরও বলা হয়,"জার্মানির বহু মহিলা অধ্যাপক ভারতের ধর্ষণ সংস্কৃতির জন্যই ভারতীয় কোন ছাত্র ভর্তি না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপের ফিমেল অ্যাসোসিয়েশনও।"
মেইল পাওয়ার পর পাল্টা মেল করলে ওই অধ্যাপক আরও বলেন,"এই সিদ্ধান্ত কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য। সকল ভারতীয়র জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা সমানভাবে প্রযোজ্য।"

Sunday, March 22, 2015

ফেঁসে গেল 'নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প'


ফেঁসে গেল 'নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প'
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : ছবির নায়ক-নায়িকাদের কারণে পিছিয়ে গিয়েছে 'নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প' ছবির শুটিং। ছবির নায়িকা শিমলার সঙ্গে নায়ক মামুনের শিডিউল মিলছে না। আর এ কারণে ফেঁসে গেলেন পরিচালক।

পরিচালক জানান, '১৬ মার্চ থেকে ছবিটির শেষ লটের শুটিং শুরু করার কথা ছিল। সবকিছু ঠিক থাকলেও নায়ক মামুনের সঙ্গে শিমলার শিডিউল না মেলায় বেশ বিপদেই পড়লাম। সে কারণে শুটিং পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। আগামী ২রা এপ্রিল থেকে ছবিটির শুটিং শুরু করবো।’

রুবেল আনুশ পরিচালিত 'নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প' ছবির শুটিং শুরু হয় গত বছরের আগস্ট মাস থেকে। ছবিটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন 'ম্যাডাম ফুলি' খ্যাত চিত্রনায়িকা শিমলা ও 'ঘেটুপুত্র কমলা' খ্যাত মামুন।

তৃতীয় বিয়ে করছেন রুমানা!


তৃতীয় বিয়ে করছেন রুমানা!
বিডিলাইভ ডেস্ক: প্রথমে মডেলিংয়ে হিসেবে পরিচিতি। মডেলিংয়ে সফলতার ফলশ্রুতিতে পদার্পণ ঘটে নাটকে। এরপর ফিল্মে নিজের ক্যারিয়ারের আরও খানিকটা সাফল্য পালক ছড়াতে গিয়েও ধাক্কা খেলেন তিনি। ফিল্ম পলিটিক্সে পড়ে কেন্দ্রিয় চরিত্র পাননি বলেই চলে।

তাই চলচ্চিত্রে খুব একটা সুবিধা না করতে পেরে না পারছিলেন পুরোপুরি চলচ্চিত্রে ফিরতে, না পারছিলেন আবার পুরোদমে নাটকে ফিরতে। তাই এই উভয় সঙ্কটে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন অনেক আগেই দেশের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

এর আগে বিনোদন প্রতিদিনে প্রকাশ করা হয়েছিল দেশের একাধিক পড়তি তারকা এখন আমেরিকায় অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী নিবাস গড়ছেন। মোনালিসা সেখানে একটি কসমেটিক্স কোম্পানির সেলস গার্ল হিসেবে কাজ করছেন।

তবে এসব পুরোনো খবরের ভেতরে নতুন খবর হলো রুমানা বিয়ে করেছেন। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। পাত্রের নাম এলিন। এলিনের দ্বিতীয় সংসার। তিনি একটি সুইটমিট কোম্পানির ব্যবসা করেন। জ্যাকশন হাইটসে ছেলের বাড়িতেই অনানুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন তারা। তবে দেশে ফেরা নিয়ে নানা দোটানায় থাকা রুমানা তার এই বিয়ের খবরটি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।

তাই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোনো স্ব-ঘোষিত বার্তা চোখে পড়েনি। এ প্রসঙ্গে রুমানা আমেরিকা থেকে ভাইবারে বলেন, 'অন্য কোনোকিছুর জন্য কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে না। শুধু বিয়ে আর ডিভোর্সের খবরই আমার সবাই ছাপে। একজন শিল্পী হিসেবে এই অভিমান তো আমারও থাকতে পারে। আমি অভিনয় থেকে দূরে এর কারণ আমার কাছে আছে। আর যেহেতু আমি ডিভোর্স তাই জীবনে নতুন সিদ্ধান্ত নিতেই পারি।

তবে সেই খবর আমি নিজেই সমস্ত মিডিয়াকে জানাতে চাই।’ এদিকে রুমানার খুব কাছের এবং বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী এলিন দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় ব্যবসা করছেন। রুমানার সাথে তার আগের পরিচয় থাকলেও এবারের সফরেই শখ্য গড়ে ওঠে। এবং এলিনের নিকটাত্মীয়ই রুমানার সাথে বিয়ের বিষয়টি মিডিয়াকে জানান।

উল্লেখ্য, রুমানার বড়ভাই দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় সেটেলড। রুমানা আমেরিকায় তার ভাইয়ের বাড়িতেই রয়েছেন। পাশাপাশি নিউইয়র্কের বাঙালি কমিউনিটির ফ্যাশন হাউজ ভাসাবীর কিছু মডেলশুটও করেছেন। তাই এবারের বিয়ের ঘটনায় মোনালিসার পর রুমানারও আমেরিকায় স্থায়ীভাবে থাকার বিষয়টি চুড়ান্ত হলো এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

গাজীপুরে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী হত্যা


গাজীপুরে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী হত্যা
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুর্বৃত্তরা এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। এসময় তার ফুপুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহত ফুপুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জায়গীর গ্রামে নিজ ঘরে রিনা তার ভাতিজি মাহফুজাকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে হানা দিয়ে মাহফুজাকে ধর্ষণ করে। পরে মাহফুজাকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় তার ফুপু রিনাকেও মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সকালে এলাকাবাসী ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয় এবং আহত রিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত মাহফুজা চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে জায়গীর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে। রিনার (৩৪) স্বামী সাইদ গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে পোশাক কারখানায় কাজ করে। একা নিরাপত্তাহীনতার কারণে রাতে বাড়ীতে ভাতিজি মাহফুজাকে নিয়ে একসাথে থাকতেন তিনি।

কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে ও কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

দেবরের প্রেম নিয়ে সংঘর্ষে আহত ভাবীর মৃত্যু


দেবরের প্রেম নিয়ে সংঘর্ষে আহত ভাবীর মৃত্যু
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি: দেবরের প্রেম নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হওয়ার দুদিন পর আজ রোববার ভোর রাতে মারা গেছেন ভাবী সোনাভান বেগম (৫৪)।

খবর পেয়ে রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী বিশ্বনাথপুর আইড়ামারী গ্রামের ফরজেন আলীর ছেলে সোহবুল ইসলামের (২২) সাথে একই এলাকার এরফান আলী চৌকিদারের মেয়ে আখতারা খাতুনের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দুজনের পরিবার এই সম্পর্কে মেনে নেয়নি।

এর জের ধরে গত ২০ মার্চ শুক্রবার সকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে সোহবুলের ভাবী সোনাভান বেগম, প্রেমিকা আখতারা খাতুন ও মর্জিনাসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে আখতারা খাতুন ও মর্জিনাকে শিবগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিজ বাড়িতে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়া সোনাভান বেগম আজ রোববার ভোররাত ৫টার দিকে মারা যান। ১২টার দিকে শিবগঞ্জ থানার এসআই করিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

শিবগঞ্জ থানার ওসি ময়নুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

‘উন্মত্ত’ যুবকের হাতে বাবা-মা খুন, আহত ৩


‘উন্মত্ত’ যুবকের হাতে বাবা-মা খুন, আহত ৩
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে উন্মত্ত এক যুবকের হাতে খুন হয়েছেন বাবা ও মা। এছাড়া তাকে আটকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন দুই পুলিশ ও অপর এক পুলিশের স্ত্রী।

রোববার দুপুর ৩টার দিকে শহরের পুরাতন ক্যাম্প মহল্লার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকটি তার মাকে গলাকেটে ও মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহতরা হলেন- শহরের পুরাতন ক্যাম্প মহল্লার মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান (৬৮) ও তার স্ত্রী রীনা পারভীন (৬০)।

উন্মত্ত ওই যুবকের মঞ্জুরুল হাসান শান্ত (৩০)। তিনি পঞ্চগড় চিনিকলের আখ উন্নয়ন কর্মকর্তা। পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে মঞ্জুরুল হাসান তার মা রীনা পারভীনকে গলাকেটে হত্যা করেন। পরে বাবা মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমানকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় প্রতিবেশি এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী তাকে আটকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে ওই যুবক।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালায় যুবকটি। এতে পঞ্চগড় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হক গুরুতর আহত হন। অন্যদের এলোপাতাড়ি কোপাতে গিয়ে মঞ্জুরুল হাসান নিজেও আহত হন।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, পরিবারের লোকজন মঞ্জুরুল হাসান শান্তকে মানসিক রোগী বলে দাবি করেছেন।

Sunday, March 15, 2015

নরসিংদীতে একসঙ্গে আত্মহত্যা করলো প্রেমিক-প্রেমিকা

নরসিংদীতে একসঙ্গে আত্মহত্যা করলো প্রেমিক-প্রেমিকা
নরসিংদীর রায়পুরায় প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাউদপাড়া এলাকার একটি গাছ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো, সেলুন কর্মচারী সুখলাল বর্মণ ও স্থানীয় মণিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিকা রানী বর্মণ। এলাকাবাসী জানায়, সাউদপাড়ার বাসিন্দা সুখলাল বর্মণের সঙ্গে প্রতিবেশী মনিকা রানী বর্মণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তারা দু’জন নিখোঁজ হয়। পরে আত্মীয় স্বজনরা অনেক খোঁজা করেও তাদের কোনও সন্ধান পাননি। আজ (শুক্রবার) সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় লোকজন বাড়ির পাশের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের লাশ দেখতে পেয়ে ওই দু’জনের পরিবারের লোকজনকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহত মনিকার বড় বোন অনিতা রানী বর্মণ বলেন, ‘তাদের সম্পর্কের কথা আমরা জানতাম না। জানলে হয়তো এ ঘটনা ঘটত না।’ রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান জানান, প্রাথমিক সুরতহাল অনুযায়ী এটা আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গরমের দিনে উপকারী যে খাবার

গরমের দিনে উপকারী যে খাবার
খাবার ছাড়া আমরা অচল, বেঁচে থাকা অসম্ভব। খাবারই আমাদের কর্মক্ষম রাখে। গরমের দিনে আমরা একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি, একটানা বেশি কাজ করা সম্ভব হয় না। গরমে কর্মক্ষমতা ও এনার্জি বাড়ানোর জন্য দরকার বিশেষ ধরনের খাদ্য। এছাড়াও শক্তিসমৃদ্ধ খাবার নানা রোগ প্রতিরোধ ও উপশমে সাহায্য করে। বিশেষ করে তাজা ফল ও সবজি খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব।

  
                           জেনে নিন কিছু খাবারের উপকারিতা -
  • আমাদের শরীরের ৮০ ভাগই পানি। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানির চাহিদা মেটাতে পানির পাশাপাশি নিয়মিত ফল খান। কারণ ফলের প্রায় ৮০ ভাগ পানি। ব্রেন সতেজ ও সক্রিয় রাখার জন্য ফলকে বলা হয় ব্রেইন ফুয়েল। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খাদ্য তালিকায় থাকলে হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফল খেলে ডিপ্রেশনও কমে। এ কারণে ফলকে অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্টও বলা হয়। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যাচারাল সুগার ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ফলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে কোনো ফ্যাট না থাকায় এটা একটি নিরাপদ খাদ্য।
  • শুকনো ফল যেমন ডুমুর, খেজুর, শুকনো খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। এসব শুকনো ফলে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ন্যাচারাল সুগার যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এসবে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। শুকনো খেজুরে রয়েছে প্রচুর এনার্জি যা কর্মক্ষমতা বাড়ায়। শুকনো ফলে কোনো ফ্যাট নেই।
  • সালাদ, সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করে, কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের সমাহার। আয়রন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে খুবই উপকারী।
  • বাদাম ও বীজসহ খাবারে রয়েছে প্রোটিন ও ন্যাচারাল ফ্যাট। ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩, ওমেগা-৬, জিঙ্কে সমৃদ্ধ এইসব খাবার। তাই খাদ্য তালিকায় তিল, কুমড়ার বিচি রাখুন।
  • প্রতিদিন দুই লিটার পরিমাণ অর্থাত্‍ ৮-১০ গ্লাস পানি খান। পুরো শারীরিক প্রক্রিয়া ভালো থাকবে। সঠিক পরিমাণে পানি খেলে শরীরের জোড়গুলি সচল থাকে এবং সহজে ঠান্ডা লাগে কম। খাবার সহজে হজম হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কম হয়। ঠিকমতো পানি খেলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও উজ্জ্বল। পানি ক্লান্তি কাটায়। পানি মাথাব্যথা ও ইনফেকশন প্রতিরোধেও সহায়তা করে। পানি খেলে রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় থাকে, শরীর থেকে ক্ষতিকারক কেমিক্যালস ও বর্জ্যপদার্থ বেরিয়ে যায়।
  • লাল আলু, মিষ্টি আলু, বীটের মতো মূলসহ খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার অল্প খেলেই পেট ভরে যায়। এদের খোসাতেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এছাড়াও এসবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।
  • শস্যজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিনবি কমপ্লেক্স, মিনারেল, ফাইবার রয়েছে। ফল ও সবজির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই জাতীয় খাবার। শস্যজাতীয় খাবার হার্টের সমস্যা, ওবিসিটি, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
শরীরের চাহিদা ঠিকঠাক মতো পূরণ হলে তবেই শরীর সুস্থ থাকে এবং কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। গরমের সময় যেহেতু তুলনামূলক ভাবে বেশি এনার্জি ব্যয় হয় তাই এই সময়ে খাবারও খান এনার্জিতে ভরপুর।

"খুব ইচ্ছে হয় বিয়ে করতে, কিন্তু বাচ্চা বলছে আম্মু"

ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। সম্প্রতি তার মনে বাসনা জেগেছে বিয়ের পিঁড়িতে বসার। সবার বিয়ে দেখেই নাকি নিজের ইচ্ছে করছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে।

কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার বয়স। তিনি নিজেকে বড় মনে করলেও তার মা মনে করছেন- তিনি এখনো বাচ্চা মেয়ে। এ নিয়ে কিছুটা হতাশ এ অভিনেত্রী।

১ মার্চ, রোববার মিষ্টি জান্নাত তার ফেসবুক পেজে এসব কথা লেখেন। মিষ্টি লেখেন, "সবার বিয়ে দেখে বিয়ে করতে মন চায়…কিন্তু আমিতো নিজেই বাচ্চা আম্মু বলছে….!!!!!!!"

অভিনয় গুণে বেশ আলোচনায় রয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নবাগত নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। ২০১৪ সালের মাঝা মাঝিতে লাভ স্টেশন সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

এরপর চিনি বিবি শিরোনামের আরও একটি সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া সম্প্রতি ভালোবাসার রাজকন্যা , ভালোবেসে ছুঁয়ে দিলাম শিরোনামের দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মিষ্টি।

উখিয়ায় বিয়ারসহ মাদক বিক্রেতা আটক

৫ ক্যান বিয়ার সহ এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। গত শনিবার গভীর রাতে কুতুপালং বাজারের মিম এন্ড কুলিং কর্ণারের ভিতরে অভিযান চালিয়ে এসব মাদক জব্দ সহ আবুল হাশেম (৩০) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে এসময় আটক করা হয়। আটককৃত মাদক বিক্রেতা রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে বলে উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান। এ ব্যাপারে মাদক আইনে মামলা রুজুর পর তাকে গতকালই কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

ক্রিকেটার রুবেলকে নিয়ে তার বাবা মা যা বললেন


ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বাবা-মা। ভাতের চেয়েও সহজ মানুষ। বেশ কয়েকমাস হলো ঢাকায় এসেছেন। তবে শহুরে আভিজাত্য গায়ে মাখেননি। কথা বলেন বাগেরহাটের আঞ্চলিক ভাষায়। পুরো ফ্লাটজুড়ে থাকতেন তিনজন।
rubelmaরুবেল বাইরে। ধর্ম-কর্ম করেই দিন কাটছে তাদের। যেদিন খেলা থাকে দুজন মিলে বসে যান টিভির সামনে। ছেলের মুখটা দেখার আশায় মনটা ছটফট করে। খেলা শেষ হলেই রুবেল ফোন করে, ‘আব্বা, আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?’
তারা রুবেলকে নাম ধরে ডাকে না। ‘আব্বা’ বলে ডাকে। অনেকদিন আদরের আব্বার মুখটা না দেখে মনটা ভারী হয়েে আসে। কিন্তু যেদিন বাংলাদেশ জিতে সেদিন সব ভুলে মেতে উঠেন আনন্দে। এই তো সেদিন রুবেল পর পর দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচটা জেতালো, বুকটা গর্বে ফুলে বাবা-মার।
রাস্তাঘাটে যেই দেখে সেই বলে, ‘চাচা আপনার ছেলে তো ম্যাচটা জিতিয়ে দিল। কিছু খাওয়ান। চা খা্ওয়ান।’ অপরিচিত কিংবা অপরিচিত ব্যাপার না। বাংলাদেশ জিতলে তার মন ভালো থাকে। যেই বলুক তাকেই চা খাওয়ান।
ছেলেকে নিয়ে গর্বিত বাবা বললেন, ‘রুবেল এখন আর শুধুই আমার ছেলে নয়, পুরো বাংলাদেশের। আমি দোয়া করি বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে সেমিতে যাবে’। তারা আশায় আছেন ছেলে ফোন দিয়ে বলবে, ‘বাবা সেমিতে উঠছি। দোয়া কইরেন!

গৗরীপুরে অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতনতা মূলক কর্মশালা

গৗরীপুরে অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতনতা মূলক কর্মশালা
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা কমিনিউটি পুলিশিং এর উদ্যোগে (১৫ মার্চ ) রবিবার সকালে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অডিটরিয়ামে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতনতা মূলক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত কর্মশালায় ইভটিজিং, মাদকাসক্তি, বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, কিশোর অপরাধ ও জঙ্গিবাদ, যৌন হয়রানী, যৌতুক, বিদ্যুৎ, গ্যাস অপচয়, সড়ক দূর্ঘটনা, ফেইজবুক সহ, নানাবিধ প্রতারনার করুন ও লোমহষক চিত্রগুলোর  বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতনতা মূলক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করান ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আব্দুল্লাহ আল মামুন। ৩ ঘন্টা ব্যাপি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন শেষে বিভিন্ন প্রশ্নে উত্তর দাতা শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরন করে। পুরস্কার বিতরন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কমিনিউটি পুলিশের সভাপতি শফিকুল ইসলাম হবি, সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফারুক আহাম্মদ, পৌর কমিনিউটি পুলিশের আহবায়ক বেগ ফারুক আহাম্মদ,গৌরীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আলী শেখ,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সরকার ও ১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আনিকা আঞ্জুম অনির্ ।

নরসিংদীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কৃষি ঋণ বিতরণ

ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশণ ২০১৫ সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কৃষকদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণদান কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এই উপলক্ষ্যে রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক নরসিংদী অঞ্চলাধীন শিবপুর শাখার উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৩২ জন কৃষককে বিভিন্ন ফসল খাতে ৪% সুদে মোট ১০ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করে। অপরদিকে ৮ লক্ষ টাকা ঋণ আদায় করে।
ঋণ বিতরন ও আদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান ভূঁইয়া। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক নরসিংদী অঞ্চলের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শোকুল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,শিবপুর ইপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আফসার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামসুল আলম রাখিল।

প্রধান অতিথি কৃষি ঋণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নরসিংদী অঞ্চলের কৃষি ব্যাংকের ২১ টি শাখায়ই প্রকাশ্যে ঋণ বিতরনের ঘোষণা দেন।

রিয়াজ-প্রভার বিয়ে!

রিয়াজ-প্রভার বিয়ে!
নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ :
হঠাৎ করে গ্রামে মজনু নামে এক যুবকের আগমন ঘটে। সে মন্ত্রের মাধ্যমে যেকোন রোগ ভালো করার ঘোষণা দেয়। যা নিয়ে গ্রামের মানুষদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে কিছু লোক মজনুকে প্রতারক ভেবে গ্রামের চেয়ারম্যানের কাছে তার বিচার চেয়ে অভিযোগ করে। কিন্তু মজনু তার মন্ত্র বলে চেয়ারম্যানের চুলকানি রোগ ভালো করে দেয়।
এরপর থেকে মজনুর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পরে। কিছুদিনের মধ্যে গ্রামের সব অসুখ গায়েব হয়ে যায় তার মন্ত্র বলে। অন্যদিকে মজনুর মন্ত্রের কারণে লাটে উঠে গ্রাম্য ডাক্তারদের ব্যবসা। এমন সময় সেই গ্রামেই এক সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করে আনে মজনু। আর সেই সুন্দরী মেয়েটি হচ্ছে প্রভা।
তবে এটি বাস্তবে নয়, নাঈম আহমদের রচনায় ও সকাল আহমেদের পরিচালনায় ‘মন্ত্র মজনু’ শিরোনামে নতুন একটি নাটকে এমনই দৃশ্যে দেখা যাবে বড়পর্দার জনপ্রিয় মুখ রিয়াজ এবং ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী প্রভাকে।
নাটকটি নিয়ে রিয়াজ ক্রাইম নিউজ ২৫ কে বলেন, নাটকে আমি মজনু নামের চরিত্রে অভিনয় করেছি।‘অনেক মজার একটি নাটক।কাজটা উপভোগ করেছি, আশা করি দর্শকদের কাছেও নাকটটি ভালো লাগবে।
সম্প্রতি রাজধানীর অদূরে পূবাইলে ‘মন্ত্র মজনু’ নাটকটির চিত্রধারণে কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই নাটকটি একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা যায়।

মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হামলা-ভাংচুর, আহত ২


নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ :
শহরের কলেজ পাড়ায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের আবেদন ফরম জমা দেয়ার ঘটনায় আজ রবিবার ছাত্রলীগ ও পাসপোর্ট অফিসের দালালদের হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের আসববাসপত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও রেকর্ড কিপার কবির হোসেন আহত হয়।
এ বিষয়ে দ’ুপক্ষের কাছ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপ-পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগ করেন, বেলা ১২ টার দিকে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক সোহরাব হোসেন সবুজ হোসেন, তানভির নামে ওপর একজনের নেতৃত্বে ৫/৬ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পাসপোর্ট অফিসে আছাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির পাসপোর্টের নতুন আবেদন ফরম জমা দিতে চায়। কিন্তু আবেদনকারির অনুপস্থিতিতে আবেদন জমা নেয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয় । এসময় তারা অতর্কিতে অফিসে হামলা-ভাংচুর করে। তাদের হামলায় তিনি নিজে ও রেকর্ড কিপার কবির হোসেন আহত হয়। এ ছাড়া ঘটনার ছবি তোলার সময় ছাত্রলীগ নেতা মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের মাগুরা প্রতিনিধি আবু বাসার আখন্দের ক্যামেরা কেড়ে নেবার চেষ্টা করে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পুলিশে খবর দেয়া হলে সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব হোসেন সবুজসহ অন্যরা জানান, জেলার এই পাসপোর্ট অফিস একটি দালাল চক্র জিম্মি করে রেখেছে। কেউ এখানে আবেদন জমা দিতে গেলে নির্ধারিত ৩৪৫০ টাকা সরকারি ফিসের বাইরে মোটা অংকের অর্থ অতিরিক্ত দালালি হিসেবে দেয়া লাগে। এই টাকা পরে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে ভাগাভাগি হয়। এ কারনেই তারা সরাসরি ফরম জমা দিতে গেলে দালালরা ফরম জমা দিতে গেলে তাদের বাধা দেয় ও মারধর করে। এ সময় দালালরা নিজেরাই অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে পুলিশে খবর দেয়।

এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন রায় জানান, আহত পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও রেকর্ড কিপারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ সাপেক্ষে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিয়ের পরেও যে ১০টি আশা অপূর্ণ থেকে যায়


বিয়ের পরেও যে ১০টি আশা অপূর্ণ থেকে যায়
জীবনে বেঁচে থাকলে বিয়ে করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। বিয়ে নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক কল্পনা কাজ করে। এ নিয়ে নানা স্বপ্ন দেখেন মানুষ।
কিন্তু অনেক কিছুই ভুল প্রমাণিত হয়। এখানে দেখে নিন এমনই ১০টি বিষয়। বিয়ে দিয়ে এসব চাহিদা আসলে মেটানো সম্ভব নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
১. ভালোবাসাই একমাত্র শর্ত : আমরা মনে করি কারো সঙ্গে তুমুল ভালোবাসাবাসি থাকলেই বিয়ে সম্ভব। এটা হয়তো সম্ভব। কিন্তু বিয়ের পর শিগগিরই বোঝা যায় যে, শুধু ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলে না। বোঝাপড়ার জন্যে আরো বহু বিষয় জড়িত।
২. একঘেয়েমির অবসান : মনে হয়, বিয়ে করা মানে জীবন থেকে একঘেয়েমির অবসান হওয়া। কিন্তু মধুচন্দ্রিমার পর দেখবেন, একঘেয়েমি থেকে মুক্তি মেলেনি।
৩. যোগাযোগ কোনো ঘটনা নয় : একই ছাদের নীচে দুজনের বাস। আপনাদের মাঝে যোগাযোগের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিদিন ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফিরে দেখবেন, দুজনের আন্তঃযোগাযোগের জন্যে অনেক কিছুই প্রয়োজন হয়।
৪. বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতোই : যদি মনে করে থাকেন যে বিয়ের পর বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতোই আড্ডাবাজি করতে পারবেন, তাহলে ভুল করেছেন। তখন বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো মানেই সমস্যা। তবে অনেক সময় বন্ধুদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তবুও বিষয়টি সহজে মেনে নেওয়া যায় না।
৫. সবকিছু সমান-সমান : বিয়ের আগে ভালোবাসাপূর্ণ জীবনে মনেই হবে যে একজন অন্যের জন্যে পুরোপুরি মিলে গেছেন। কিন্তু বিয়ের পর প্রায়ই মনে হবে যে, আপনি যা দিচ্ছেন বিনিময়ে তার কিছুই পাচ্ছেন না। এ নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে।
৬. সে এমন থাকবে না : এলোমেলো প্রেমিককে নিয়ে প্রায়ই মেয়েরা চিন্তা করেন যে, বিয়ের পর বদলে যাবে। কিন্তু মানুষ আসলে এত সহজে বদলায় না। বয়সের সঙ্গে তার অনেক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু ভেতরের আসল মানুষটি কখনো বদলায় না।
৭. সব সময় সুখ : মনে কষ্ট না নেওয়াই ভালো, বিয়ের মাধ্যমে মানুষ জীবনের সর্ব সুখ পায় না। মনে হবে যে, বিয়ের মাধ্যমেই সব সুখ চলে আসবে। কিন্তু বিয়ের পর বহু সময় আসবে যখন কেঁদে-কেটে বুক ভাসাতে হবে।
৮. সে আপনার সব চাহিদা পূরণ করবে : যাদের ভাগ্য ভালো তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে, আপনার সব চাহিদাই সঙ্গী বা সঙ্গিনী পূরণ করবেন। কিন্তু তেমনটি সহসা হয় না। আপনার খাওয়া, পড়াসহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা হয়তো পূরণ হবে আপনার, কিন্তু অনেকে চাহিদাই মনের মতো করে পূরণ হবে না।
৯. তাকেই সব সময় ভালো লাগবে : এটাই একটা হৃদয় ভাঙার বাস্তবতা। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী হয়তো দারুণ সুদর্শন বা রূপবতী। একমাত্র তাকেই ভালো লাগে আপনার। কিন্তু এক সময় এই ভালোলাগা বদলে যাবে। অনেক সময়ই আসবে যখন আর তাকে ভালো লাগবে না।
১০. সে কখনোই আপনাকে কষ্ট দেবে না : এটাও একটা ভুল ধারণা। প্রেম করার সময় কল্পনায় এমনই মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটে না। অনেক সময়ই আসবে যখন দেখবেন যে তিনি আপনাকে অনেক কষ্টই দিচ্ছেন। এ জন্যে ক্ষমাশীল হতে হবে।

স্বর্গীয় উপহার ‘মা’


স্বর্গীয় উপহার ‘মা’
মা আমাদের জীবনের সবথেকে আপন একজন মানুষ। পৃথিবীতে মা শব্দের চেয়ে মধুর আর কোন শব্দ নেই। অনেকেই মায়ের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেন, যা মোটেও ঠিক নয়। আপনার আর আপনার মায়ের মাঝে সম্পর্ক যেমন ই থাকুক না কেন, উনি সবসময় আপনার মনের ভালবাসার আসনে উজ্জীবিত থাকবে। তার মনের মাঝে কখন কি ছিল,তা হয়ত আপনি কখনই বুঝতে পারেন নি। তবে আপনার মঙ্গল ছাড়া কখনই কোন অমঙ্গল চান নি। মা আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গী। তার ত্যাগের সীমা নেই।
১. মা আপনাকে জন্ম দিয়েছেন:
আপনার মা আপনাকে জন্মদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনাকে ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়ে লালন-পালন করার দায়িত্ব তিনি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছেন।

২. যখনই প্রয়োজন তাকে কাছে পাবেন:
আপনি যখনই ভীত হবেন, যখন একাকীত্ব আপনাকে ঘিরে ধরবে, সবসময় আপনার পাশে তার উপস্থিতি পেয়ে যাবেন। সে কখনই আপনাকে হারাতে দিবে না।

৩. সে আপনার সিকিউরিটির ব্যবস্থা করেন:
আপনার কোথাও কোন সমস্যা না হোক, এর জন্য আপনার সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দিকে তার নজর থাকে। আপনার যত্নের কোন ত্রুটি সে রাখে না।

৪. সে নিঃস্বার্থ:
মা তার সন্তানের জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত। সে নিজের চাহিদার কথা চিন্তা না করে, প্রথমে সন্তানের চাহিদা পুরন করে।

৫. সে সবসময় আপনাকে ভালবাসে:
আমাদের জীবনে অনেক কঠিন কঠিন সময় আসে। যখন আমরা নিজেকেই ঘৃণা করি। কোথাও কোন কিছু ভাল লাগে না। সবকিছু যখন তিক্ষতায় ভোরে ওঠে, তখনও মা আমাদের হাত ছাড়ে না। সে প্রতি মুহূর্তে আপনাকে সাহস প্রদান করে। নিজের ওপর ভরসা রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। তার ভালবাসা কখনই কমে না।

৬. সে শোনে:
আপনি কিছু বলতে চাইলে সে অবশ্যই আপনাকে সময় প্রদান করেন। যখন কান্নার জন্য কারও কাঁধের প্রয়োজন হয়, তখন মায়ের কাঁধ সব থেকে উত্তম।

৭. কঠোরতা:
তার মাঝে যে কঠোরতা রয়েছে তা শুধু আপনাকে সঠিক পথ এ রাখার জন্য। পরবর্তীতে যখন আপনি পিছন ফিরে তাকাবেন তখন বুঝতে পারবেন যে আপনি এই কঠোরতার কারনে কত বেশী লাভবান হয়েছেন।

৮. জ্ঞান:
মা যে জ্ঞানগুলো সন্তানদের দিয়ে থাকে, এই জ্ঞান আর কারও কাছ থেকে শেখা সম্ভব নয়। আচার-আচরণ, ভাল-মন্দের পার্থক্য এসব কোন বই-খাতা তে দেয়া থাকে না। এগুলো ছোটকাল থেকে মা শিখিয়ে থাকেন।

মা, তার সন্তানের জন্য কি কি করেন এর হিসাব সারাজীবন বসে করলেও শেষ হবে না। আমাদের সকলের উচিৎ ‘মা’ কে শ্রদ্ধা করা। তার সকল কথা মেনে চলা। তার মনে কষ্ট না দেয়া।

বাংলাদেশ বিপজ্জনক দল: সুনীল গাভাস্কার

বাংলাদেশ বিপজ্জনক দল: সুনীল গাভাস্কারবিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল৷ এবারও খেতাবের বড় দাবিদার৷ চলতি বিশ্বকাপে টানা ছ’ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছেন ধোনিরা৷ তবুও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই৷ এ কথা গুলো ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ধারাভাস্যকর সুনীল গাভাসকরের।
এবার নক-আউট পর্বে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ৷ কিন্তু শাকিব-রুবেল-মাহমুদুল্লাহদের একবারে তুচ্ছ করলে চলবে না৷ এবং যদি তেমনটা হয়, তাহলে ভারতকে তার মূল্য চোকাতে হবে৷ এমনটাই মনে করছেন, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুনীল গাভাসকর।
আসলে অভিজ্ঞতা থেকে কিংবদন্তি বুঝতে পারছেন, অনেক সময় ছোট দলের কাছে হারে বড় দল৷ এক্ষেত্রে ধোনিদের মনে রাখা ভাল, ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে এই বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন ভারতকে। যার জেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই সেবার ছিটকে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এবারও ভারতকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলার হুঙ্কার দিয়েছে বাংলাদেশ।
১৯ মার্চ ঐতিহাসিক মেলবোর্নে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ৷ একদিকে ভারত যেখানে গ্রুপ ‘বি’র শীর্ষস্থান দখল করেছে, সেখানে বাংলাদেশ গ্রুপ ‘এ’র চার নম্বর স্থান দখল করে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে। এই বিষয় নিয়েই ধোনিবাহিনীকে আগাম সতর্ক করেছেন গাভাসকর। বাংলাদেশকে বিপজ্জনক হিসেবে উল্লেখ করে প্রাক্তন তারকা জানিয়েছেন, নিজেদের দিনে ভাগ্যসহায় থাকলে যে কোনও দলকে তারা হারিয়ে দিতে পারে।
গাভাসকর বলেন, ‘অতীতে ভারত বহুবার বাংলাদেশকে হারিয়েছে। তাই ওরা মনে করতেই পারে, এবারেও তেমনটাই হবে। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। তাদের হালকাভাবে নিলে বড় ভুল করবে ভারত।’ নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে গাভাসকর বলেছেন, শুধু ইংল্যান্ডকে হারানোই তো নয়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও প্রায় জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মাশরাফি মর্তুজার দল।
গাভসকর মনে করেন, গ্রুপ পর্যায়ে একটা ম্যাচ হারলেও ফিরে আসা সম্ভব৷ কিন্তু নক-আউট পর্যায়ে একটা হারলেই সব শেষ। তিনি বলেন, বিপজ্জনক দল হিসেবে এই বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরেছে বাংলাদেশ। ওদের ব্যাটিং কম্বিনেশন দুর্দান্ত। মাহমুদুল্লাহ দুরন্ত ফর্মে রয়েছে। তাছাড়া, শাকিব, মুশফিকুর রহিম, শাব্বির রহমানও ফর্মে রয়েছে।

Saturday, March 14, 2015

রামপুরায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

রামপুরায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : রাজধানীর পূর্ব রামপুরার ২২৫/বি নম্বর বাসায় মাহজাবীন ফেরদৌসি বন্যা (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটে।
মাহজাবীন ফেরদৌসি বন্যা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সুমিতপুর গ্রামের আসলাম হোসেনের মেয়ে।
বন্যার চাচা দেলোয়ার হোসেন দ্য রিপোর্টকে জানান, বন্যা সুমিতপুর গ্রামে থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। অসুস্থ বাবাকে দেখতে কয়েক দিন আগে সে ঢাকার রামপুরার বাসায় যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দ্বিতীয় তলার বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) সেন্টু চন্দ্র দাস দ্য রিপোর্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বরগুনায় বাসে আগুন

নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : বরগুনায় একটি বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বত্তরা। বাসটি বরগুনা-খুলনা সড়কে চলাচল করে।

শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে শহরের সদর রোডে এ ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।বাসের হেলপার এস এম কাইউম জানান, রাতে তিনি ওই বাসের সামনের দিকে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ বাসের পেছন থেকে আগুন জ্বলতে দেখে জানালা দিয়ে বের হয়ে যান।বরগুনা থানার ওসি মো. রিয়াজ হোসেন পিপিএম জানান, অনুসন্ধান চালিয়ে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লাপাড়ায় সড়কে প্রাণ গেল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের

নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : হরতাল-অবরোধে সড়কে চলাচল করা যানবাহনের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত এক আনসার সদস্য পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে বগুড়া-নগরবাড়ি সড়কের উল্লাপাড়ার ব্রহ্মকপালিয়া জোড়া ব্রীজের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উল্লাপাড়ার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের আনসার সদস্য শাহজাহান আলী (৫৩) গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্য আনসার সদস্যর সাথে ওই জোড়া ব্রীজের নিকট সড়ক পাহারার দায়িত্ব পায়। প্রতিদিনের মত সড়কে পাহারা দেয়ার সময় সকাল পৌনে ৬ টার দিকে পিছন দিক থেকে একটি পিকআপ এসে শাহজাহানকে ধাক্কা দেয়। গুরত্বর আহত অবস্থায় তাকে উল্লাপাড়া ২০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।শাহজাহান দুই স্ত্রী ৬ ছেলে মেয়ে রেখে গেছেন।

মতিঝিলের দিলকুশায় বাণিজ্যিক ভবনে আগুন

মতিঝিলের দিলকুশায় বাণিজ্যিক ভবনে আগুন
ঢাকা, ১৪ মার্চ:
প্রকাশ : ১৪ মার্চ, ২০১৫

নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : রাজধানীর মতিঝিলের দিলকুশায় একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে কীভাবে অগুন লেগেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এদিকে আগুন লাগার কারণে ওই ভবনটিতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। তারা অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে ওই ভবনটিতে প্রবেশ করেছেন। ওই এলাকার আশপাশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জেনারেটরের মাধ্যমে ওই ভবনে আলো প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।৭ তলার ওই ভবনটিতে বিভিন্ন ব্যাংক এবং ইনস্যুরেন্সের শাখা আছে। সরকারি ছুটি থাকায় ওই ভবনে কোনো মানুষ ছিল না বলে জানা গেছে।ওই ভবনের নিরাপত্তাকর্মী জানান, সাড়ে ৩টার পরে ওই ভবন থেকে কালো ধোয়া বের হতে দেখেন।

Friday, March 13, 2015

চার ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ‘আব্বা’ ডাকলেন পরীমনি!

পরীমনি

পরীমনি

নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : চিত্রনায়িকা পরীমনি সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে বহুতল ভবন থেকে ঝাপ দিয়েছেন, শীতের রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে ভিজেও শুটিং করেছেন। দৃশ্যকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পরীমনির এমন পরিশ্রম নতুন নয়। এই অভিনেত্রীর জীবনের প্রথম শট একবারেই ওকে করেছিলেন বলেও নিশ্চয় তিনি গর্ব করতে পারেন। কিন্তু এবার একটি দৃশ্য ‘পারফেক্ট’ করতে তার সময় লেগেছে টানা চার ঘণ্টা।

সম্প্রতি গাজীপুরে হোতাপাড়ার খতিব খামারবাড়িতে শামীমুল ইসলাম শামীম পরিচালিত আমার প্রেম আমার প্রিয়া সিনেমার একটি দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।

এ সিনেমায় মিশা সওদাগরের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন পরী। সঙ্গত কারণেই মিশা সওদাগরকে ‘আব্বা’ বলে ডাকতে হবে তাকে। কিন্তু  যতবারই ‘আব্বা’ বলতে চেয়েছেন ততোবারই পরী হেসে দিয়েছেন। আর তখনই শুটিং ইউনিটের সবাই হাসতে থাকে। এভাবে প্রায় চার ঘণ্টা পরে সাধারণ এ দৃশ্যটি ঠিকঠাকভাবে নেওয়া সম্ভব হয়।

এ প্রসঙ্গে পরীমনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি কোনো দিনও আব্বা ডেকে অভ্যস্থ নই। আমার বাবাকে বাবা বলে ডাকতাম। আর আহ্লাদ করে মাঝে মধ্যে আব্বু বলতাম। কিন্তু এই সিনেমায় মিশা ভাইকে আমার আব্বা ডাকতে হয়। আমি যতবার আব্বা সম্বোধন করে সংলাপ বলতে যাই, ততবার হাসি পায়। আমার হাসি দেখে পুরো ইউনিটও হেসেছে। এ সিকুয়েন্সটি পারফেক্টভাবে ধারণ করতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগেছে। তবে খুব মজা করে আমরা কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটিতে মিশা ভাই প্রথমবার আমার পিতার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। এর আগে কখনও তিনি আমার বাবার চরিত্রে কাজ করেন নি।’

এ সিনেমায় পরীমনির বিপরীতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করছেন আরজু কায়েস। এছাড়া রয়েছেন মিশা সওদাগর, আলীরাজ ও রেবেকা প্রমুখ।

ওয়ান স্টার ইন্টারন্যাশনাল মুভিজের ব্যানারে মোজাম্মেল হক খানের প্রযোজনায় এ সিনেমায় গান থাকবে মোট ছয়টি। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু।

গত ১০ মার্চ থেকে গাজীপুরে হোতাপাড়ার খতিব খামারবাড়িতে শুরু হয় আমার প্রেম আমার প্রিয়া চলচ্চিত্রের শুটিং। হোতাপাড়া ছাড়াও এর শুটিং হবে পূবাইলের বিভিন্ন স্থানে টানা ৩০ মার্চ পর্যন্ত শুটিং চলবে।

আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে আরণ্যকের ‘ভঙ্গবঙ্গ’

‘ভঙ্গবঙ্গ’ নাটকের একটি দৃশ্য

‘ভঙ্গবঙ্গ’ নাটকের একটি দৃশ্য

 নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ কেন্দ্র ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে শুরু হচ্ছে ‘দ্বিতীয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল’।

আজ ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে উৎসবটি চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। ১০ দিনের  এই আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে ৪টি বিদেশী দল সহ স্থানীয় প্রায় ২৩টি দল অংশগ্রহণ করবে। ১২ মার্চ উদ্বোধনীর পর ১৩ তারিখ থেকে নাট্য মঞ্চায়ন শুরু হবে।

১৩ মার্চ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চায়িত হবে আরণ্যক নাট্যদলের প্রযোজনা ‘ভঙ্গবঙ্গ’। এটি আরণ্যক নাট্যদলের ৫৪তম প্রযোজনা  ।

নাটকটি লিখেছেন মামুনুর রশিদ আর নির্দেশনা দিয়েছেন ফয়েজ জহির। আরণ্যক সূত্রে জানা যায়, উৎসব উপলক্ষে বেশ কিছুদিন পর নাটকটি আবার মঞ্চস্ত হচ্ছে।

নাটকটির কুশীলবরা হলেন মামুনুর রশীদ, তমালিকা কর্মকার, আরিফ হুসাইন, আমানুল হক, রুবলী চৌধুরী, সাজ্জাদ সাজু, ফিরোজ মামুন, কামরুল হাসান, সাঈদ সুমন, হাসিম মাসুদ, মনির জামান, কাজী আল আমিন, লায়লা বিলকিস ছবি, পার্থ চ্যাটাজি।

মঞ্চ পরিকল্পনায় রয়েছেন ফয়েজ জহির। আলোক  পরিকল্পনা করেছেন ফরিদউদ্দিন। পোশাক পরিকল্পনায় শামীমা শওকত । সঙ্গীত  পরিকল্পনায় পরিমল মজুমদার এবং  কোরিওগ্রাফি  স্নাতা শাহরিন

Thursday, March 12, 2015

ভাবীকে জবাই করল পাষণ্ড দেবর

ভাবীকে জবাই করল পাষণ্ড দেবর
নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : ওবাইদুল হক আবু চৌধুরী: নগরীর খুলশী থানার ২৬ নং হাইলেভেল রোড এলাকায় ভাবীকে জবাই করে হত্যা করেছে ইয়াকুব (৪৫) নামের এক পাষণ্ড দেবর। নিহতের নাম গুলজার বেগম রুমা (৩৭)। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘সকালে রুমার দেবর ইয়াকুব ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে।আহত অবস্থায় সোয়া নয়টার দিকে তাকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ খুলশী থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. রাসেল বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।’

মিরপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

মিরপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ স্টাফ কলেজের সামনের রাস্তায় ট্রাস্ট পরিবহণে আগুন দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন কাফরুল থানার সাব ইন্সেপেক্টর মুহাম্মদ মুনির।

তিনি জানান, আজ শনিবার রাত আনুমানিক পৌণে ৯টার দিকে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসে থাকা যাত্রীরা সামান্য হতাহত হয়েছেন বলে জানান সাব ইন্সেপেক্টর মুহাম্মদ মুনির। তবে তা খুব গুরুতর নয় বলেও নিশ্চত করেন তিনি।
এদিকে ওই বাসের এক যাত্রীর অভিযোগ, যাত্রীবেশে বাসে ওঠা এক ব্যক্তি বাসটি মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার কাছে এলে তাতে আগুন দিয়ে নিজেই আগুন আগুন বলে চিৎকার করে বাস থেকে নেমে পড়ে। এরপর ওই ব্যক্তিকে ধাওয়া করে ধরার চেষ্টা করা হলেও পুলিশ স্টাফ কলেজের সামনে থাকা তার সহযোগীরা তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে বাসে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং বাসের অগুন নেভায়।

দাউদকান্দিতে যুবকের লাশ উদ্ধার


নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ :

দাউদকান্দিতে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শ্রীরায়েচর এলাকার একটি ভূট্টা ক্ষেত থেকে মানিক মিয়া (২৪) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নিহত মানিক মিয়া দাউদকান্দি উপজেলার খালিশা গ্রামের আঃ রাজ্জাক মিয়ার ছেলে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ হত্যা রহস্য উদঘাটনে চেষ্ঠা চালাচ্ছে।

উল্লাপাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক উধাও

নাঈম ইসলাম প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ :

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের দশম শ্রেনির সুমাইয়া আকতার (১৫) নামেন এক ছাত্রীকে নিয়ে ওই স্কুলের ধর্ম শিক্ষক পালিয়ে যাওয়ায় শিক্ষক মাহমুদুল হককে সাময়কি বহিস্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে.উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের সহকারী ইসলাম ধর্ম শিক্ষক মাহমুদুল হক একই স্কুলের ১০ম শ্রেনির ছাত্রী সুমাইয়া আকতারকে নিয়ে না জানার উদ্দেশ্য পারি জমিয়েছে ।
দীর্ঘ দিন যাবৎ তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা বুধবার রাত থেকে তাদেরকে খুজেঁ না পাওয়ার বিষয়টি জানা জানি হয় । এঘটনায় ওই শিক্ষকের বহিস্কারের দাবি করে স্কুলে শিক্ষার্থীরা । পরে বুধবার রাতেই শিক্ষক মাহমুদুল হককে সাময়িক বহিস্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ সাময়িক বহিস্কারের কথা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রমানিত হলে তাকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হবে ।