Wednesday, February 25, 2015

চার বছরের শিশুর চোখ উপড়ে গলা কেটে নৃশংশভাবে হত্যা করেছিলো আট বছরের শিশু !

somoyerkonthosor.-jpgবুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে চার বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দী দিয়েছে আট বছরের এক শিশু।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আলোচিত ঘটনা দুচোখ উপড়ানো চার বছরের শিশু সুমনের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক শিশু রবিন (৮) আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় ।
এই স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। আদালত জবানবন্দী রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশীষ কুমার দাস জানিয়েছেন, রবিন ফতুল্লার রেললাইন এলাকার পলাতক দিন মজুর কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। আটকৃকত রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানিয়েছে, চোখ নেওয়ার জন্যই সুমনকে হত্যা করা হয়েছে। রবিনের বাবা কাঞ্চন মিয়াকে গ্রেফতার করলে জানা যাবে, কোন চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি একাজ করেছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নৃশংস ঘটনার নেপথ্যে

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার রেললাইন এলাকার শিখা রাণীর বাড়ির ভাড়াটিয়া দিন মজুর কাঞ্চন মিয়ার বাঁ চোখ নষ্ট। টাকার অভাবে চোখের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। তার ছেলে রবিন ভাঙ্গারি দোকানে কাজ করে। তাকে কোনো এক চিকিৎসক জানিয়েছেন কেউ যদি তাকে একটি চোখ এনে দেয়, তাহলে কাঞ্চনের চোখ ভালো হয়ে যাবে।
গত রোববার প্রতিবেশী নরুউদ্দিনের ছেলে শিশু সুমনের সঙ্গে বাড়ির পাশের মাঠে রবিন খেলছিল। এ সময় তার বাবা কাঞ্চন মিয়া সুমনকে তার কাছে রেখে যেতে বলে। পরে কাঞ্চন মিয়া শিশু সুমনকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসকের কাছে যায়। সেখানে সুমনের চোখ দুটি তুলে রেখে গলাকেটে হত্যার পর লাশ ফতুল্লার পোস্ট অফিস এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ফেলে রাখে।
সন্ধ্যায় রবিন তার বাবার কাছে সুমন কোথায় জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অন্য কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। অনেক পীড়াপীড়িতে তিনি সুমনের দুচোখ তুলে নিয়ে গলা কেটে হত্যার কথা জানান। এই কথা কাউকে বললে রবিনের মা, বোনসহ সবাইকে হত্যা করার হুমকি ধামকিও দেন কাঞ্চন মিয়া। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই কাঞ্চন মিয়া পলাতক রয়েছেন।

0 comments:

Post a Comment

Welcome