ইদানীং মোটা মানুষ অনেক বেশি নজরে পড়ছে, কারণ বর্তমান যুগের মানুষের
মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি বেড়েছে। এর কারণ কিন্তু আবহাওয়া বা অন্য
কিছু নয়। এর পেছনের মূল কারণ আমরা নিজেরাই, আমাদের কাজের ধরণ। কাজে
ব্যস্ততার কারণে শারীরিক পরিশ্রমের কিছু করা এবং ব্যায়াম করতে পারি না আমরা
অনেকেই এবং আমাদের কাজ বেশীরভাগ সময়েই হয়ে থাকে বসা ধরণের।
এতে করে
কাজের মাধ্যমেও শরীরকে ফিট রাখার সাধারণ নিয়ম থেকেও আমরা সরে এসেছি। আর এই
কারণেই আমাদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে দিনকে দিন। কিন্তু ব্যায়াম
করার সময় না পেলে এবং শারীরিক পরিশ্রমের কোনো কাজ না করলে কি ফিট থাকা যায়
না? অবশ্যই যায়। এর জন্য সতর্ক থাকতে হবে আমাদেরই। কিছু কাজ করতে হবে
নিজেদের ফিট রাখতে।
১) অফিস থেকে ফেরার সময় কিংবা আশেপাশে যাওয়ার সময় রিক্সা নয় হেঁটে যান
অথবা যতোটা পারেন হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করুন দিনে কিছুটা সময় পেলেই।
২)
একেবারেই ব্যায়াম হচ্ছে না? তাহলে কিছু কেনার চিন্তায় নয়, শুধু জিনিসপত্র
দেখতেই ঘুরে আসুন শপিং সেন্টার গুলো। এতে করে কিন্তু ব্যায়ামের মতোই ফল
পাবেন।
৩) দ্বিতীয়তলায় উঠতে গেলেও লিফটের দিকে ছুটে যান? তাহলে এই
কাজটিও বন্ধ করুন। সিঁড়ি ব্যবহার করুন যদি ৬ তলাতেও উঠতে হয়। এতে লাভ
আপনারই।
৪) সকালে ২০ টি দড়ি লাফ এবং সন্ধ্যায় ২০ টি দড়ি লাফ দিন।
কতক্ষণই আর লাগবে, মাত্র ১০ মিনিট। চেষ্টা করুন এভাবেই, পরে লাফের সংখ্যা
বাড়িয়ে দিন।
৫) সময় পেলেই নাচুন। হাস্যকর মনে হলেও এটি কিন্তু অনেক ভালো
ব্যায়াম। আপনাকে সেরা নাচিয়ে হতে বলা হয় নি। ৫ মিনিট সময় পেলে গান ছেড়ে
নাচুন যেভাবে পারেন। অথবা গোসলের সময় শাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে না থেকে একটু
হাত পা ছুঁড়ে নিন। এতেও কিন্তু অনেক ভালো কাজ হবে।
৬) দুপুর এবং রাতে
খাওয়ার পর বসে বা শুয়ে পড়বেন না। হাঁটাহাঁটি করে নিন অথবা শারীরিক কোনো
কাজে ব্যস্ত থাকুন কিছুটা সময়। খাবার হজম হওয়ার সুযোগ দিন। এতে থাকতে
পারবেন ফিট।
৭) হুটহাট স্ন্যাকস খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। এবং তখন
হাতের কাছে পাওয়া অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেয়ে ফেললে মুটিয়ে যাওয়া এবং
অসুস্থ হওয়ার সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তাই হাতের কাছে রাখুন বাদাম, ফল ধরণের
স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে থাকবেন ফিট ও সুস্থ।