Wednesday, February 25, 2015

বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যুবককে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা

যশোর শহরের আশ্রম রোডের একটি বাড়ি থেকে আজ মংগলবার রাত ২ টায় ডলার (২৭)নামে এক যুবককে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুবৃওরা।  তিনি মৃত মোসলেমউদ্দিন ওরফে মাথামোটা মোসলেমের ছেলে। পুলিশের দাবি, ডাকাতির প্রাক্কালে গণপিটুনিতে ওই যুবক মারা যান।
ডলারের মা সখিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, রাত দেড়টার দিকে শংকরপুরের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা, জাকির, ফারুকসহ কয়েকজন তাদের বাড়িতে এসে ডলারকে ধরে নিয়ে যায়। এর ঘণ্টাখানেক পর তিনি জানতে পারেন তার ছেলে হাসপাতালে মারা গেছে।
তিনি আরও জানান, তার ছেলেকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে মদিনা বেকারির মালিক আশ্রম রোডের মিজানুর রহমান গাইনের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দিয়ে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, কয়েক লাখ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে।
এ ঘটনায় ডলার জড়িত বলে মিজানুর রহমান থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রমে গত বছর ডাকাতি হয়। ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী ছিলেন ডলার।
যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ গনি মিয়া জানান, নিহত ডলার ছিল পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার নামে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ ৭টি মামলা রয়েছে।

সদর হাসপাতাল থেকে ২ নারী চোর আটক, মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার ॥


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী সেজে ডাক্তারের রুম থেকে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা চুরি করার সময় ২ নারী চোরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে হাসপাতালের রোগীদের স্বজনরা। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে ২১৬ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী লাইজু খাতুন (৪৫) ও তার ভাগনী সেলিনা খাতুন (১৫) তার শিশু সন্তান তুহিন কে সদর হাসপাতালের ডাক্তার মাহাবুবুর রহমান মিলনের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অনুমতি পত্র গ্রহণ করে লাইনে দাড়ায়।
এরপর তারা লাইনে দাড়িয়ে থাকা কামরুন্নাহার, রোজিনা খাতুন সহ ৫-৬ জনের ব্যাগ থেকে ৩ টি মোবাইল সেট ও নগদ টাকা চুরি করে নেওয়ার সময় হাতেনাতে তাদেরকে ধরে ফেলে।
এরপর হাসপাতালে থাকা রোগীদের স্বজনেরা তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

সন্তানদের পিটুনিতে অসহায় পিতার করুন মৃত্যু

নাঈম ইসলাম : এই সুন্দর পৃথিবীতে যে বাবা-মায়ের জন্য আসা, যে বাবা-মায়ের পরম স্নেহ আর ভালোবাসা না পেলে বড় হয়ে নিজের সুখ এর স্বপ্নের কথা ভাববার এতটুকুন ক্ষমতাও আমাদের থাকতোনা সেই বাবা-মা কি কখনোই ভুলে যেতে পারে সন্তান ? জানি সবাই একবাক্যেই বলবেন ‘না’ ।  কিন্তু সবার ভাবনা এর ‘না’ কে  তুচ্ছ করে দিয়ে এই চেনা-জানা পৃথিবীতেই আমাদের ধারে কাছেই সাম্ন্য স্বার্থের কারনে পরম আদরের সেই সন্তানেরাই যখন একজন বাবা/মায়ের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন কিছুক্ষনের জন্য হলেও স্তম্ভিত হয় প্রতিটা মানুষের হৃদয় । যে পিতা তার সবটুকু উজার করে দিয়ে সন্তানকে দেখালো পৃথিবীর মুখ সেই সন্তানের নির্মমতাই যদি বাবার জীবনের পড়ন্ত বিকেলে অভিশাপ হয়ে পৃথিবীর আলো দেখা থেকে বঞ্চিত করে, মানতে কি কেও পারে ?
এবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় অসহায় বৃদ্ধ এক পিতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে চার পাষণ্ড সন্তান । নিহত ব্যক্তির নাম শরিফুল ইসলাম (৫৭)। তিনি পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ছিলেন।  শরিফুল ইসলাম সোমবার বিকেলে সন্তানদের হাতে পিটুনির শিকার হয়ে গতকাল বুধবার ভোরে মারা যান। এ ঘটনায় গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম সংসারে নানা সমস্যা আর দন্দের কারনে উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম দু’বছর আগে জোসনা বেগম নামে এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে,  আগের স্ত্রী খাদিজা বেগম ও তাঁর চার ছেলে মেয়েকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেন। বিতাড়িত হয়ে প্রথম স্ত্রী খাদিজা বেগম পাশের গ্রামে এক আত্বীয়ের বাড়িতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে থাকতেন।
পরে গত সোমবার শরিফুল ইসলামের সন্তানেরা বাড়ির পাশে একটি জমিতে ঘর তুলতে গেলে বাঁধা দেন শরিফুল ইসলাম। এক পর্যায়ে ছেলে মেয়েদের সঙে তাঁর সংঘর্ষ বাঁধে।
এতে সন্তানদের পিটুনিতে শরিফুল ইসলাম গুরুতর আহত হলে তাঁর স্থানীয়রা  তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাঁকে রাতেই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় । পরে বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে আবারো অসুস্থ্য হয়ে পড়েন শরিফুল ইসলাম।
এসময় তাঁর সন্তানেরা তাঁকে আবারো রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসি বলছেন, বাবা হয়ত ভুল করেছিলেন, তাই বলে এমন নিষ্ঠুর শাস্তি দেয়ার অধিকার বা ক্ষমতা কি ছিলো সন্তানদের?
পরে বুধবার দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে সকালে নিহতের মেজ ছেলে আবু সাঈদকে (২৭) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে নিহতের বৌমা শরিফা খাতুন (৩০), শিরিনা খাতুন (২৫) ও সজল আলী (২২) নামে নিহতের আরও তিন সন্তান।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, শরিফুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা বেগম সন্তানদের আসামী করে বুধবার দুপুরে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে।

Tuesday, February 24, 2015

অবিবাহিত হয়েও যার জন্য সিঁদুর পড়েন রেখা


অবিবাহিত হয়েও যার জন্য সিঁদুর পড়েন রেখা
অমিতাভের সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে সেই কতদিন আগে ৷ তবু অমিতাভ-রেখা সম্পর্কের সিলসিলা আজও চলছে ৷ এখনও যে রেখা কপালে সিঁদুর পরেন, সে কার জন্যে? বলিউডের সেলেবমহলের মনে এ প্রশ্ন জাগলেও, কেউ মুখ সাহস করে জানতে চাননি ৷
তবে সিঁদুর রহস্যের নেপথ্যের কথা জানেন পুনিত ইসারে স্ত্রী দীপালি ৷ ‘বিগ বস ৮’-এর এই প্রতিযোগী নাকি জানেন রেখার সিঁদুর অমিতাভের জন্যই ৷
দীপালির এই কথাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলিপাড়ায় ৷ কেন হঠাৎ এমন কথা বললেন দীপালি? খতিয়ে দেখে অনেকে জানাচ্ছেন, বিখ্যাত ওই রিয়্যালিটি শোয়ে রেখা যেবার এসেছিলেন তখন খুব বেশি পাত্তা দেননি দীপালিকে ৷ তাই কি তাঁর এরকম বিস্ফোরণ?
‘কুলি’ ছবিতে বিগ বি-র দুর্ঘটনার জন্য পুনিতকেই এখনও দায়ী করেন রেখা ৷ বিগ বস-এর সেটে পুনিতকে নাকি রেখাজি বলেন, ‘আর কত পাপ করবে তুমি?’ দীপালি তখন কাছেই ছিলেন ৷ শুনে যে তিনি রেগেছেন তা তাঁর মন্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে ৷ ওই সেটে দীপালিকেও পাত্তা দেননি রেখা, এমনকী তাঁকে যেন চেনেনই না, এরকম ভাব দেখিয়েছেন ৷ সব মিলিয়েই দীপালির এই বিস্ফোরণ বলে মনে করছে বলিমহল ৷

তরুণীর নরম হাতের গড়ম চড় খেলেন সালমান !

তরুণীর নরম হাতের গড়ম চড় খেলেন সালমান !
সালমান খান
শিরোনামটি পড়ে সালমান ভক্তদের নিশ্চয়ই ভিমড়ি খাওয়ার যোগাড়! ‘দাবাং’ তারকা সালমান খান যেখানে একাই একশো, সেখানে একজন তরুণীর কাছে কেমন করে কাবু হলেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলেও ঘটনা সত্য। সম্প্রতি এক তরুণীর নরম হাতের চড় খেয়েছেন সাল্লু মিয়া। তবে বাস্তবে নয়, বরং রুপালি পর্দায়।
ফিল্মিবিট জানায়, বহুল প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’তে সালমানকে এক তরুণীর হাতে চড় খেতে দেখা যাবে। ওই তরুণী আর কেউ নন, সিনেমায় সালমানের বোন চরিত্রে অভিনয়কারী সোয়ারা ভাস্কর। এ ছাড়া সালমানের বিপরীতে অভিনয় করছেন গ্ল্যামার ও ফ্যাশন আইকন সোনম কাপুর।
ভাই বোনের খুনসুটি তো সবারই জানা। আর সিনেমায় তেমনই এক দুষ্টুমির অংশ হিসেবে সালমানকে বোন সোয়ারা গালে চড় মারবেন। সোয়ারার ধারণা, পর্দায় চড় মারতে দেখে সালমান ভক্তরা সিট থেকে উঠে পড়বে তাকে চড় মারার জন্য।
যাই হোক, তরুণীর হাতে চড় হোক আর সোনমের সঙ্গে প্রেম— সালমান ভক্তদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সুরাজ বারজাতিয়া পরিচালিত ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ মুক্তি পাবে দিওয়ালিতে।

বাগেরহাটের মংলায় কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা

বাগেরহাটের মংলায় বাবার ওপর অভিমান করে মোঃ জুয়েল হোসেন খান (২৩) নামে এক কলেজছাত্র গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার গভির রাতে মংলা পৌরসভার টিএ ফারুক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ওই কলেজছাত্র শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তা দেখতে পেয়ে ছুটে এসে তার শরীরের আগুন নিভিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মঙ্গলবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। নিহত জুয়েল হোসেন স্থানীয় মংলা টেকনিক্যাল কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের শিক্ষার্থী এবং মংলা পৌরসভার মোর্শেদ সড়ক এলাকার মহিদুল খানের ছেলে।
মহিদুল খান বলেন, ‘আমার ছেলে চার বছর আগে কাউকে না জানিয়ে এলাকার একটি মেয়েকে বিয়ে করে। ওই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তার সঙ্গে আমার মাঝে মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। সোমবার রাতে একই বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজনের ডাক-চিৎকারে ছুটে গিয়ে দেখি আমার ছেলের সারা শরীরে আগুন জ্বলছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ভোরের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমার ওপর অভিমান করে সে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহি খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গলা ও ঘাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জেনে নিন গোপন টিপস্

গলা ও ঘাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জেনে নিন গোপন টিপস্
মানবদেহে প্রতিটি অঙ্গের মধ্যে বিশেষ করে নারীদের গলা ও ঘাড় খুব আকর্ষণীয়। সুন্দর গলার ও ঘাড়ের অধিকারী নারীদের দেখতেও যেমন খুব ভালো লাগে তেমনি তাঁদের গলায় যে কোন জিনিস খুব মানিয়ে যায়। আমাদের দেহের অন্যান্য অঙ্গের ত্বকের তুলনায় গলার ও ঘাড়ের ত্বক খুব দ্রুত টান টান ভাব হারিয়ে ফেলে।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, গলার ত্বক ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বলিরেখা সারিয়ে তুলতে আছে কিছু দারুণ সমাধান যেমন- এক্সারসাইজ, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, সূর্যের আলো হতে ত্বক রক্ষা করা এগুলো ঘাড়-গলার ত্বকের জন্য খুব জরুরি। কিন্তু এইসব কাজ ছাড়াও আরও কিছু কাজ আছে যা আপনার করা উচিৎ।
এক্সফলিয়েট
প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার ঘাড়-গলার ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করা ভালো এতে করে ত্বকের মৃত কোষ, নিস্তেজ চামড়া পরিষ্কার হবে। এই কাজটি শুধু গলার বলিরেখাই রোধ করেনা গলার ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখে এবং ব্রন রোধ করে। কিন্তু ঘন ঘন ঘাড়-গলার ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন
দেহের ত্বকের সুস্থতার জন্য ময়শ্চারাইজার খুব জরুরি। বিশেষ করে এমন কোন ময়শ্চাররাইজার যাতে SPF 15 পর্যন্ত আছে তা ঘাড়-গলার ত্বকের জন্য খুব উপকারী। আমাদের দেহের যে অঙ্গের চামড়াগুলো পাতলা থাকে সূর্যের আলো সেখানে লাগলে ত্বকের ক্ষতি হয় এবং আমাদের ঘাড়-গলার চামড়াও খুব পাতলা হয়ে থাকে। তাই সূর্যের আলো থেকে মুখের ত্বক ঘাড় ও গলা বাঁচিয়ে রাখুন।
গলা নিচু করে কোন কাজ বা ফোন ব্যবহার রোধ করুন
আমরা অনেকেই কাজ করার সময় মাথা নিচু করে কাজ করি বা অনেক সময় ফোন ব্যবহার করি মাথা নিচু করে এইভাবে আমাদের গলার ত্বকে ভাঁজ পড়ে এবং বলিরেখা দেখা দেয়। এবং বেশিমাত্রায় গলা নামিয়ে কাজ করলে ঘাড় ব্যথাও হতে পারে।
সঠিক উপায়ে ঘুমান
ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমালে আমাদের মুখের ত্বক, গলা ও ঘাড় ভালো থাকে এবং এই ভাবে ঘুমানোর ফলে নারীদের স্তনও সুগঠিত থাকে।

বাজারে আসছে চালক বিহীন গাড়ি

dsffনিউজ ডেস্ক : আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রথম চালক বিহীন গাড়ি। ক্রেতাদের সাহায্য সহযোগীতা পেলে এ বছরই বাজারে আনবে কভেন্ট্রি-ভিত্তিক ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা RDM গ্রুপ দ্বারা নির্মিত গাড়িটি। বৃদ্ধ ও ছোট শিশুরদের স্বল্প পথ ভ্রমণের জন্য রাস্তায় নামানোর আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
২০০৪ সালের ডিসেম্বরে গুগল তার প্রথম চালকবিহীন গাড়ী জনসম্মুখে প্রদর্শন করেন, স্ট্রিং এবং ব্রেকার সহ। সে বছরেই মে মাসে গুগল একটি স্ব-চালিত গাড়ির ছবির উপর ভিত্তি করে চালক বিহীন গাড়ি তৈরি করার ঘোষণা করে।
২০০২ সালের ২৭ জানুয়ারি আরবান লাইট ট্রান্সপোর্ট একটি চালক বিহীন গাড়ি প্রদর্শন করে। যা ওয়্যারলেস এর সাহায্যে চালিত হয়।
২০০৯ সালের অক্টোবরে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি রোবোটিক্স ভক্সওয়াগেন গাড়ি তৈরি করা হয়।
কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল গারিটিতে চলাচল করতে আপনাকে গাড়ির হ্যন্ডেল ধরে বসে থাকতে হবে না। আপনি কথা যাবেন কেবল সে ইনফরমেশনটা ডাটা হিসেবে গাড়ির ইনপুট অংশে প্রেরন করতে হবে। গারিই আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থানে। সেই সুযোগে গাড়িতে বসেই করে ফেলতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় যে কোন কাজ।

সাপ্তাহব্যাপী বই মেলা শুরু

মহান ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কুড়িগ্রামের উলিপুরে সপ্তাহব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস ফেয়ার আয়োজিত উপজেলার কাচারী মাঠে ২০তম বই মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট সমাজকর্মী মতি শিউলী, পৌর মেয়র আব্দুল হামিদ সরকার ও উৎযাপন কমিটির আহবায়ক জুলফিকার আলী সেনা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেলায় ২০টি ষ্টল অংশ নিয়েছে। বই মেলা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে গুনিজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।

সর্বনাশ করলো সাধু বাবা !


সাধূ বেশে আশ্রয় নিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে কথিত সন্নাসী দ্বয়। ঘটনাটি ঘটে জেলার কালকিনি উপজেলার শশীকরের দর্শনা আড়–য়াকান্দি গ্রামে শনিবার রাতে। গতকাল রবিবার সকালে মধুসূদন রায় ও তার স্ত্রী ললিতা রায় এবং জামাই মানিক দত্তকে অচেতন অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মানিক দত্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হাসপাতালে মধুসূদনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শেফালী রায় জানায়, তার ভাসুর মধুসূদন রায়ের বাড়িতে ৬/৭ দিন আগে সন্নাসী বেশে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা আগন্তক আশ্রয় নেয়।
আশ্রয় নেওয়ার সময় তারা নিজেদের সন্নাসী পরিচয় দিয়ে বাগেরহাট থেকে আশ্রমের কালেকশনের জন্য এসেছে বলে জানায়। মধুসূদনের বাড়িতে অবস্থান করে সন্নাসীদ্বয় এলাকায় ঘুরে ঘুরে টাকা-পয়সা  কালেকশনের কাজ করতে থাকে। এরিমধ্যে মধুসুদনের স্ত্রী ললীতা রায়ের সাথে মহিলা সন্নাসীর সূ-সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
শুক্রবার মধুসূদন রায়ের জামাতা মানিক দত্ত গৌরনদী থেকে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসে। মানিকের হাতে একটি সোনার মাদুলী ও আংটি দেখে সন্নাসীরা বলে আপনার মাদুলীতে অপয়ার ছোয়া লেগেছে ওই মাদুলী কোন কাজ করবে না,আমাদের কাছে নিয়ে আসেন আমরা তা শোধন করে দেব।
সন্নাসীদের কথা মতো গত শনিবার রাতে মধসূদন তার স্ত্রী ও জামাইকে নিয়ে সন্নাসীদের প্রস্তাব মতো গোপনে তাদের ঘরে বসে সোনার মাদুলী শোধনের কাজে লিপ্ত হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদুলী আর সোনা শোধনের কাজ। এদিকে রাতে নোয়াখালীর লক্ষীপুরে চাকুরীরত মধুসূদনের ছেলে মনোজ রায় কয়েকবার বাবা-মাকে মোবাইল ফোনে কল করে ফোন বন্ধ পায়।
পরবর্তিতে ছেলে তার (শেফালির) মোবাইলে ফোন দিয়ে বাবা-মা ফোন কেন ধরছে না দেখতে বলে। মধুসূদনের ছেলের কথা মতো শেফালী তার স্বামীকে নিয়ে মধুসূদনের ঘরে গিয়ে মধুসূদন ও তার স্ত্রী এবং জামাইকে অজ্ঞান অবস্থায় পরে আছে তারা আরো দেখতে পায় ঘরের আসবাবপত্র এলামেলো, আলমারী খোলা,ওয়ারড্রব,শোকেস খোলা দেখতে পায়।
পরে সকালে তাদের মাদারীপুর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। পরিবারের সবাই অজ্ঞান থাকায় এঘটনায় লুণ্ঠিত মালামালের পরিমান জানা যায়নি। এদিকে খবর পেয়ে লক্ষীপুর থেকে মটার সাইলে যোগে বাড়ি আসার পথে মধুসূদনের ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে লক্ষীপুর  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গুলশান পার্কে একদিন (কিঞ্চিত ১৮+)

এই লেখাটার সকল চরিত্রই বাস্তব। কারো জীবনের সাথে মিলিয়া গেলে তাহা মোটেই কাকতাল নহে। 

সেই ২০০৪ সালের কথা। আমি থাকি মহাখালি ওয়্যারলেস এলাকায়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সবে মাত্র শেষ করেছি। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হইতে চাইলে, কোচিং এর বিকল্প নাই। আম্মারে কইলাম আম্মা কোচিং করুম। আম্মা কইল, "করলে ভাল জায়গায় কর। ঢাকায় যাইয়া ভাল কোচিংয়ে ভর্তি হ।" বলে রাখি, আমি ময়মনসিংহে কলেজ পর্যন্ত লেখাপড়া করছি। ঢাকা যামু এই জন্য মনের কেমন জানি আনন্দ লাগতাছিলো। আবার খারাপও লাগতাছিলো আমার পরাণের পাখিটারে ময়মনসিংহে রাইখা যামু। যাওগ্গা, এই রকম মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিয়া ঢাকায় আসলাম। কোচিং শুরু করলাম ওমেকা তে। মেসে থাকি। আমার লগে আমার এলাকার আরও কয়েকজন থাকে । ওরা সবাই তিতুমীর কলেজে পড়ে। এদের মধ্যে একজন আছে মুকুল ভাই। তারে সবাই মিউকিউল(Mukul) কইয়া ডাকত ইংরেজি বানানের সাথে মিল রাইখা। মেসের বড় ভাইরা কইলো, ইউনিভার্সিটি(University) বানানের মধ্যে ইউ আছে, কিন্তু তার উচ্চারণ কিন্তু "উ" না "ইউ"। তাইলে তোমার নামেও "ইউ" ব্যবহার করতে হবে। আরো একজন লোক আছিলো কুমিল্লার নয়ন ভাই, সে মুকুল ভাইকে আর একটা নাম দিছিলো "___ কমান্ডার"।  আর রানা কাকা নাম দিছিল বেন্ডো। রানা কাকারে কাকা ডাকলেও সে ছিল আমাদের বয়েষী। আর যারে নিয়া এই কাহিনী, সে হইল বস্। তারে সবসময় বস বলেই ডাকতাম, মাঝে মঝে তার আসল নামটাই ভুলে যেতাম। গল্পেও তারে বস বলেই ডাকলাম। নইলে পরে আবার আমার সমস্যা হইয়া যাইতে পারে। 


বসের লগে আমার বিরাট খাতির। দুইজনে মাঝে মাঝে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় হুদাই ঘুরতাম। একদিন বসেরে কইলাম, 'বস পার্কে নাকি কী কুকাম-আকাম হয়?' বস কইলো 'জানস না?' আমি কইলাম, 'আমিতো কুনদিন যাইনাই'। সে বলল যে 'একদিন তরে নিয়া যামুনে।'

রমজান মাস। রোযা রাখি। ইফতারের পরে একদিন বসের লগে ঘুরতে বাইর হইলাম। প্রথমে গেলাম গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেটে। কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পরে বসে কইলো, 'তুই না কী দেখতে চাইছিলি?' আমি কইলাম কী? বসে কয়, ঐযে পার্কে গিয়া না কী দেখতে চাইছিলি। আমার মনে পড়ল। তখন বসে কয়, ল যাই আইজকা তরে দেখাইয়া নিয়া আসি। আমি কইলাম কই যাইবেন? বসে কইলো গুলশান ২ তে একটা পার্ক আছে, ঐখানে যামু। আমি বসেরে জিগাইলাম, পাওয়া যাইবো তো ঐখানে? তখন বসে এমনে কইরা আমার দিকে তাকাইলো, আমি বুঝলাম আমি আঈনস্টাইনের কাছে আপেক্ষিকতা সুত্রের ব্যাখ্যা চাইছি। আর কোনো কথা না কইয়া বসের পিছে পিছে যাওয়া শুরু করলাম। সন্ধ্যা ৭ টার মত বাজে। রিকশায় কইরা গুলশান পার্কে পৌছলাম। পার্কে ঢুকতে যাব, এই সময় বসে কইল ভেতরের কীর্তি-কলাপ দেইখা ভয় পাইস না। আমার মনের ভিতর এতক্ষন কোনো রকমের ভয়ই ছিল না, কিন্তু বসের কথা শুইনা ভয় খাইয়া গেলাম। বস আমার শুকনা মুখ দেইখা কইলো, ভয় কিসের আমি আছি না? মনে মনে শান্তনা খুইজা পাইলাম, বস যেহেতু সাথে আছে তাইলে কোনো প্রবলেম নাই। আমি দুইগাল ফাক কইরা বসেরে কইলাম, বস ভেতরে ঢুকার আগে একটা বিড়ী খাইয়া যাই। বস কইল চল যাই।
বসের সাথে থাইকা হালকা পাতলা বিড়ি খাওয়া শিখছি। বেশি টাকা থাকতো না পকেটে তাই স্টার সিগারেট খাইয়া বেনসনের চেয়েও বেশি ভাব নিতাম। পার্কের পাশের একটা টং দোকান থেকে ৫ টা স্টার সিগারেট কিনলাম। আর দোকানদারকে বললাম বেনসনের প্যাকেটে ভরে দিতে। একটা ভাব আছে না। একটা বিড়ি টানা শেষ হইলে, বসের পিছে পিছে পার্কের ভিতরে ঢুকলাম। জনশুন্য পার্কটা দেখলে মনে হয় ভুতের আড্ডাখানা। আমি চারদিক তাকাইয়া কইলাম বস আমি তো ভুত দেখতে চাই নাই। আমারে এই পার্কে আনলেন কেন? বস আমার দিকে তাকাইয়া কইলো 'চোখের মধ্যে কালি ছাড়া কলমের মুখা দিয়া একটা গুতা দিমু। চারদিকে ভাল কইরা তাকািয়া দেখ্।' যদিও বসের মত আমার সুক্ষ চোখ নাই, তারপরও আমার মনে হইলো দু একটা রমনী পার্কের মধ্যে ঘুরাঘুরি করতেছে। সোডিয়াম বাতির আধো আলোতে দেখলাম তাদের পিছনে ছুচোর মত দু-চার জন পুরুষ প্রানীও ঘুর ঘুর করতেছে। বস কইলো, চল পার্কটা একটা চক্কর দেই। আমি কইলাম, বস ডর করেতো। বস জিগায় ডর কিসের? আমি কইলাম, ওগো পাশ দিয়া যাইতে সময় যদি টান মারে। বস হাইসা দিয়া কয়, 'তুমি কি পাটের রশি যে তোমারে ধইরা টান দিব? চিন্তা করিস না, আমার পিছে পিছে আয়। ' আমি বসের পিছে পিছে যাই। পার্কটা পুরাটা চক্কর দেওয়ার পরে আরো অনেক জিনিস নজরে আইলো। পার্কের ভিতরে ৩-৪ টা ঝোপের দেখা মিলল। দু-তিনটা ঝোপ এমন ভাবে কাপাকাপি করতেছে মনে হইলো আসমান ভাইঙ্গা কালবৈশাখীর ঝড় নামছে। বসরে কইলাম ঝোপগুলা নড়ে কেন? বস আমার দিকে একটা চোখ মাইরা কইলো এখোনো বুঝস নাই। 
পার্কটা একটা চক্কর শেষ কইরা লেকের ধারে একটা বেঞ্চে বসলাম বিড়ি টানার উদ্দেশ্যে। কেবল মাত্র বিড়িটা ধরাইছি, ঐ সময়ই দেখি একটা মধ্য বয়ষ্ক রমনী আমাদের পিছনের একটা গাছের সাথে হেলান দিয়া দাড়াইছে। আমার মনের মধ্যে ধুকধুকানি শুরু কইরা দিলো। আমি চামড়া স্যান্ডেলের ফিতাটা একটু টাইট দিলাম। বস আমার দিকে তাকাইয়া কইলো খবরদার আমারে একলা ফালাইয়া দৌড় দিস না। আমি বসের দিকে চাইয়া কইলাম 'স্যান্ডেলের ভিতরে বালু ঢুইকা কুটকুট করতাছে। তাই একটু পরিষ্কার করলাম।' বস কিছু কইলো না, খালি একটু হাসল। বস আসলেই বস। কেমনে যানি বুইঝা গেছিল আমি দৌড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিতাছি। যাই হোক খুব অস্থির মন নিয়া বসের সাথে বইসা আছি। পেছন দিকে তাকাইয়া দেখি রমনীটা আমাদের বেঞ্চ ধইরা দাড়াইছে। আমি তো খিচ্চা দৌড় দিছি। কিন্তু দেখি আমার এক হাত আটকা পইড়া রইছে বসের কাছে। এমন একটা কান্ডযে করুম, বস আগেই টের পাইছে তাই আগেই হাত চাইপা ধইরা রাখছে। আমি আবার বইসা পড়লাম। পেছনের রমনীটা আমাদের দিকে তাকাইয়া 'কইলো কী লাগবো নাকি?' বস উত্তর দিল, 'রোযা-রমজানের দিন। কী যে কস?' প্রতিত্তুর আসলো, 'রোযাতো ইফতারের পরেই শেষ হইয়া গেছে।' এই ধরণের কথা-বার্তা মনে হয় আরো কিছুক্ষণ চলত, কিন্তু মাঝখানে বাগড়া দিলো এক পুলিশ। পার্কের গেইট দিয়ে একটা পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দেখলাম। পুলিশ দেখেই রমনীটা দিলো দৌড়। আমি ভাবলাম পুলিশ দেখে পালাচ্ছে, কিন্তু পরে দেখলাম পুলিশের দিকেই যাচ্ছে। দেখলাম পুলিশটার কানে কানে কী যেন বলল। আমি বসরে কইলাম, 'বস আমাগো নামে কিছু কয় নাতো পুলিশটারে?' বস কইলো 'আরে নাহ্!' মনে হইল বস এই কথা বলে নিজেকেই শান্তনা দিতাছে। বসের আবার পুলিশ দেখলে কেমন কেমন(ভয় পায়) যেন লাগে। পুলিশটা দেখলাম আমাদের এখানে না এসে কালবৈশাখী ঝোপটার দিকে গেল। বস আমার দিকে ভাব দেখাইয়া কইলো 'দেখছস কইছিলাম না?' আমি আর কিছু কইলাম না। রমনীটা আবার আমাদের কাছে ঘুর ঘুর করতে লাগলো। আনুমানিক ২০-৩০ মিনিট পরে, পুলিশটা কালবৈশাখী ঝোপ থেকে বের হয়ে আসল। সে সোজা আমাদের দিকে আসল। আমাদের বেঞ্চের পাশে বসে আমাদের জিগাইলো 'আপনারা কী করেন এইখানে?' আমি জানি বস পুলিশের সাথে বাতচিত করতে ভয় পায়। তাই এই দায়িত্ব নিজের কাধেই তুইলা নিলাম। বললাম, 'হাওয়া খাইতে আইছি'। পুলিশটা জিগাইল, 'কী করেন?' আমি বললাম 'স্টুডেন্ট'। পুলিশ নরম গলায় বলল 'জায়গাটা ভালো না। এত রাইতে আপনাদের এইখানে থাকা ঠিক না।' আমি মনে একটু জোর পাইলাম। পাল্টা জিগাইলাম, 'জায়গা ভালো না, তাইলে আপনি এইখানে কী করেন?' পুলিশ কয় 'আমার তো এইখানে ডিউটি।' আমি আবার জিগাইলাম 'পার্কের ভিতরে ডিউটি?' পুলিশটা একটু আমতা আমতা কইরা কইল, 'না। পার্কের কাছেই।' আমি আরো কিছু জেরা করতে চাইছিলাম মাঝখান থেকে বস আমার হাতে চাপ দিয়া থামতে কইলো। তারপর বস পুলিশরে জিগাইল, 'বিড়ি খান?' পুলিশ কয় 'হ খাই'। বস আমার দিকে তাকাইয়া কইল 'একটা বিড়ি দে ভাইরে(পুলিশরে)।' আমি একটা বিড়ি দিলাম। পুলিশ বিড়ি ধরাইয়া টানতে টানতে কইলো 'বেশিক্ষন এইখানে থাইকেন না। জায়গাটা ভালো না। আপনারা ছাত্র মানুষ বুঝতেই তো পারতাছেন, কী রকম জায়গা।' এই বইলা সে চইলা গেল।
পুলিশটা পার্কের গেইট দিয়া বাইর হওয়ার সাথে সাথে কালবৈশাখী ঝোপ থেকে তুফানের বেগে আরেকটা(২য়) রমনী বাইর হইলো। ২য় রমনীটা আমাদের সামনের ১ম রমনীটার দিকে বাঘীনির মত আগাইয়া গেলো। তুমুল ঝগড়া শুরু হইল তাদের মধ্যে। 
ঝগড়ার কারন, ১ম রমনীটা কোনো কাস্টোমার জোগাড় করতে পারে নাই। ঐদিকে ২য় জন কাস্টোমার নিয়ে ঝোপের মাঝে কালবৈশাখীর ঝড় শুরু করে দিছে। তাই ঈর্ষান্নিত ১ম জন পুলিশ আসা মাত্রই জানিয়ে দেয় ঝোপের কথা। আর পুলিশ ঝোপে গিয়ে কোপ মেরে টাকা প্লাস ফ্রী সার্ভিস আদায় করে নেয়।
তাদের ঝগড়ার মাত্রা বাড়তেই থাকলো। কিছু লোকজনও জড় হয়ে গেলো। তাদের ভাষা গুলা ব্লগে লিখার মত না। ছোটো একটা উদাহরণ দেই, ১ম জন ২য় জনকে বলছে, 'তোর না অসুখ আছে। তুইতো সব কাস্টোমারগরে অসুখ ছড়াইয়া দিবি।' ২য় জন বলে 'তোর যে চেহারা, দিনের বেলায় তো কুত্তায়ও তোর কাছে যাইব না। খালি রাইত দেইখা কাস্টোমার পাস।' একপর্যায়ে তাদের চুলোচুলি শুরু হওয়ার অবস্থা। আর আশে পাশের লোকজন তো হ্যাবি মজা নিচ্ছে। হঠাৎ দেখলাম বস উঠে দাড়ালো। আমি ভাবলাম, বাসায় ব্যাক করবে মনে হয়। তাই আমিও উঠলাম। দেখি বস দুই রমনীর দিকে এগিয়ে গেলো। তারপর কথা নাই, বার্তা নাই দুই রমনীর মাঝখানে দাড়াইয়া তাদের বুকের মধ্যে ধইরা দুজনকে বিচ্ছিন্ন করে দিলো। আর একেকজনকে বলল, 'তুই তর কামে যা, আর তুই তর কামে যা। রাইত কেবল শুরু হইছে। ঝগড়া করলে কিছুই কামাইতে পারবি না।' আশ্চর্যজনক ভাবে দু জনেই বিড়বিড় করতে করতে দুদিকে চলে গেল। আর বস আমরে কইলো 'চল যাইগা'। আমি বসের দিকে তাকাইয়া কইলাম 'বস তুমি আসলেই বস।' বস চোখ মাইরা কইলো 'দুইটাই নরম আছিলো। 

ভূত ছাড়ানোর নামে মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা !


একুশ শতকে এসেও দেখতে হচ্ছে ওঝা, গুণিনের দাপট। ভারতে ভূত ছাড়ানোর নামে এক মহিলাকে পিটিয়ে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করেছে ৭ জন ওঝা ।
ভারতের বাঁকুড়ার জয়পুর থানার গেলিয়া গ্রামের ঘটনাটি ঘটেছে।
মৃত মহিলার নাম শিবানী বিশ্বাস। মানসিক বিকারের জেরে বেশ কিছু দিন ধরেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন তিনি। পরিবারের ধারণা হয় ভূতে ধরেছে শিবানী বিশ্বাসকে। এরপরই পরিবারের তরফে এলাকার তান্ত্রিকদের খবর দেওয়া হয়।
শনিবার রাত আটটায় ওই বাড়িতে হাজির হয় সাতজন ওঝা। আগুনের ছেঁকা, ঝাঁটা দিয়ে মেরে শুরু হয় ভূত ছাড়ানোর তোড়জোড়। ওঝাদের অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত জ্ঞান হারান শিবানী বিশ্বাস। বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাত তান্ত্রিককে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।

জেনে নিন ঢালিউডে এক সিনেমায় কে কত পান?


জেনে নিন ঢালিউডে এক সিনেমায় কে কত পান?
হলিউড-বলিউড তারকাদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে প্রায় সকলেই জানেন এ নিয়ে হরহামেশাই সংবাদ হয়। কিন্তু ঢালিউড তারকাদের সে খবর প্রায় সবার কাছেই অজানা। তাই জেনে নিন ঢালিউডের কোন তারকা ছবি প্রতি কত টাকা পারিশ্রমিক নেন।
শাকিব খান

ঢালিউডে সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক নাম্বার ওয়ান নায়ক শাকিব খানের। ছবিপ্রতি এ নায়ক নেন ২০-২৫ লাখ টাকা। পাশাপশি রয়েছে তার যাতায়াত ও আলাদা আপ্যায়নের খরচও।

বাপ্পি চৌধুরী

শাকিবের পরের অবস্থানেই রয়েছেন বর্তমান সময়ের তরুন নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। ছবিপ্রতি এ নায়কের চাহিদা ১০ লাখ। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এর থেকে কম টাকায়ও ছবি করেন বাপ্পি।

আরিফিন শুভ

ঢালিউডের বর্তমান সময়ের আরেক আলোচিত নায়ক আরিফিন শুভ পান ছবিপ্রতি ৩-৫ লাখ টাকা। তবে ছবি নিয়ে তার রয়েছে বেশ কিছু শর্ত।
অপু বিশ্বাস

নায়িকাদের মধ্যে ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস পান সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক। ছবিপ্রতি তার চাহিদা ৫ লাখ টাকা। এছাড়া তারও রয়েছে আলাদা যাতায়াত ও আপ্যায়ন খরচ।

মাহিয়া মাহী

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহীও ছবিপ্রতি ৩-৪ লাখ টাকা করে নেন। তবে মাহী শুধু জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমায় অভিনয় করার কারণে পারিশ্রমিক নিয়ে তার ধরা বাধা কোন চাহিদা নেই। তাছাড়া শোনা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গেও রয়েছে তার বিশেষ সম্পর্ক।
ববি

বর্তমান সময়ের বিতর্কিত নায়িকা ববিও ছবিপ্রতি পান লাখ টাকার উপরে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এ নিয়ে ছাড় দিয়ে চলেন ববি।

গোপালগঞ্জে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্র নিহত


ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জের হরিদাসপুর নিমতলা নামক স্থানে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের চাপায় সালাউদ্দিন (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সালাউদ্দিন মোটর সাইকেলযোগে গোপালগঞ্জ শহর থেকে গ্রামের বাড়ি উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়নের জগারচর ফিরছিল। দুপুর ১টার দিকে ওই স্থানে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সালাউদ্দিনের মৃত্যু হয় এবং মোটর সাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
সালাউদ্দিন শহরের আইডিয়াল কমার্স কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং জগারচর গ্রামের অসিদ মোল্লার ছেলে।

৫টি উপায়ে আপনার শিশুদের টাকার মূল্য শেখান


৫টি উপায়ে আপনার শিশুদের টাকার মূল্য শেখান
আপনার শিশুকে তাদের পকেট খরচ সম্পর্কে তখনই সতর্ক করা উচিৎ যখন তারা খরচ করা শুরু করবে। আপনার জন্য এটা চিন্তা কনা কষ্টসাধ্য হতে পারে যে আপনার সেই ছোট্ট শিশুটি এখন কিভাবে খরচ করা শিখবে। কিন্তু, আপনাকে এখনই তাকে শিক্ষা দিতে হবে। যাতে পরবর্তীতে তার কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। শিশুকে আচার-ব্যাবহার ও জীবন ধারণের সবকিছু শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি খরচ করাও শিখাতে হবে। যাতে তারা বাজে খরচ না করে। টাকার মূল্য যেন বুঝতে পারে। শিশুদের টাকার মূল্য বুঝাতে নিচের উপায়গুলো অবলম্বন করুনঃ
১. জিনিসের সংরক্ষনের জন্য উৎসাহিত করুন:
প্রতিটি জিনিস যেন যত্নের সাথে ব্যাবহার করে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। কোন কিছুই যেন সে অপচয় না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।আপনার সন্তান যখন যেটা আবদার করছে, প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও আপনি যদি তাকে তা কিনে বা এনে দেন। এতে তার উপর খারাপ প্রভাব পরতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় আবদারগুলো সাথে সাথেই পুরন করা থেকে বিরত থাকুন।এতে সে প্রয়োজনীও ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
২. ভাইবোন সাথে শেয়ার করার অনুপ্রেরনা দান করুন:
শিশুরা উদাহরন থেকে শিখে, তাই আপনি আপনার জীবনসঙ্গী ও ছোটবড় সকলের সাথে শেয়ার করলে তারা সেটা দেখে অনুপ্রানিত হবে এবং তারা তাদের ভাইবোনের সাথে শেয়ার করতে আরো উৎসাহিত হবে। যদি আপনার সন্তানরা একই বয়স বন্ধনী মধ্যে থাকে তাহলে আপনি এমন খেলনা ক্রয় করতে পারেন যেটা তারা একে অপরের সাথে শেয়ার করতে পারে।
৩. তাদের পকেট খরচ দিন:
বাচ্চাদের হাতে নিজের খরচের দায়িত্ব দিলে তাদের খরচের ব্যাপারে ধারনা হবে। এতে তাদের অভিজ্ঞতা বাড়বে। আপনার শিশুর বয়স ১০ বছর পূর্ণ হলেই সপ্তাহব্যাপীর হাত খরচ তার হাতে দিন।কত টাকা দিবেন তা তার সাথে আলচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিন। বিদ্যুৎ বিল যদি মাসে ৩০০০ টাকা আসে তাহলে সেই বিলের হিসেবে কিছু টাকা তাদের হাতখরচে দিন।তাদের বলুন বিদ্যুৎ বিল বেশি আসলে তাদের হাতখরচের টাকা কমানো হবে আর কম আসলে হাতখরচের টাকা বেশি দেয়া হবে। এতে তারা বিদ্যুতের অপচয় করা থেকে বিরত থাকবে।
৪. প্রয়োজনীতা বনাম লাক্সারি:
আপনার সন্তানকে এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝাতে হবে। বছরের সাথে সাথে আপনাকে এই ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে।প্রয়োজনীয়তা যেমন পুরন করা জরুরি, ঠিক তেমনি লাক্সারি কিছু জিনিসের প্রয়োজনও রয়েছে। আপনার সন্তানেরা যদি হাতখরচের পরিমান বাড়াতে চায় তাহলে তার সাথে চেঁচামেচি না করে তাকে ভালভাবে বুঝান। এতে তারা খুব সহজেই বুঝতে পারবে আর আপনার সাথে তাদের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।
৫. একটি ব্যয়ের ডায়েরি লিখুন:
ভাতা বৃদ্ধির সাথে সাথে খরচও বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনার শিশুকে বলুন খরচের জন্য একটি খাতা তৈরি করতে।এতে মাসব্যাপী তার খরচ সম্পর্কে একটি ধারনা হবে। তাদের জমানোর একটি আগ্রহ সৃষ্টি হবে। তারা তাদের খরচ সম্পর্কে সচেতন হবে।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া্  ।

অতিরিক্ত ঘুম ডেকে আনতে পারে মৃত্যু

অতিরিক্ত ঘুম ডেকে আনতে পারে মৃত্যু
আমাদের দেহকে কর্মক্ষম রাখতে ঘুম অত্যাবশ্যক। সুস্থ থাকার জন্য এবং শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালানোর জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার।
কিন্তু কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। তেমনি অতিরিক্ত ঘুমের কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

বিষণ্ণতা বেড়ে যাওয়া

২০১৪ সালের দুইটি গবেষণা থেকে জানা যায়, মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের কারণে মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। দেখা গেছে, যারা দৈনিক ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমায় তাদের ২৭ শতাংশ মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতা থাকে। কিন্তু যারা ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমায় তাদের ৪৯ শতাংশ মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতার লক্ষণ দেখা যায়।

মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন

২০১২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্ক নারীরা যারা বেশি ঘুমায় তাদের ৬ বছরের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়ে। যেসব নারীরা ৯ ঘণ্টার বেশি বা ৫ ঘণ্টার কম ঘুমায় তাদের মস্তিষ্কে ২ বছরের মধ্যেই এসব দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করে

২০১৩ সালে কোরিয়ার একটি গবেষক দল ৬৫০ জন নারীর উপর পরীক্ষা করে জানান যে অতিরিক্ত ঘুম নারীদের গর্ভধারণে সমস্যার সৃষ্টি করে। তারা জানান যেসব নারীরা ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমান তাদের মাঝে গর্ভধারণের হার বেশি। আর যারা ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমান তাদের মাঝে এই হার সবচাইতে কম। অতিরিক্ত ঘুমের কারণে নারীদের দেহে হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় যেগুলো গর্ভধারণের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা তৈরি করে।

হরতাল বাড়ল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত

হরতাল বাড়ল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত
ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান হরতাল শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
চলমান অবরোধের মধ্যে ২০ দল চলতি সপ্তাহে রোববার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা হরতাল পালন করছে।
[বিস্তারিত আসছে]

চকলেট প্রেমীরাকি জানেন চকলেটের গল্প



চকলেট প্রেমীরাকি জানেন চকলেটের গল্প
আমরা যে চকলেট এখন খাই তা কিন্তু অনেক আগ থেকেই মানুষের খুব পছন্দের খাবার। যে কোকোদানা থেকে চকলেট তৈরি করা হয় তার জন্ম মূলত লাতিন আমেরিকায়৷ ১৭০০-১৮০০ শতকে এটি প্রথম ইউরোপে আসে পানযোগ্য চকলেট হিসেবে৷ এরপর ১৯ ও ২০ শতকে কোকো প্রথম চকলেট আকারে বানানো শুরু হয়৷ 

কিন্তু চকলেটের জন্ম তারও অনেক আগে। চকলেট ব্যবহারের সবচেয়ে পুরনো লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় ১১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে। বেশিরভাগ মেসো-আমেরিকান লোকজনই চকলেট পানীয় তৈরি করত, যার মধ্যে আছে মায়ান ও আজটেকরা। তারা xocolātl নামের একটি পানীয় তৈরি করেছিল, নাহুয়াতি ভাষায় যে শব্দটির মানে দাঁড়ায় ‘তেতো পানীয়’।

কেননা যে কোকো গাছের বীজ থেকে চকলেট তৈরি করা হয় তার স্বাদ অত্যন্ত তেতো। তবে আমরা চকলেট খাওয়ার সময় সেটি তেতো লাগেনা কারণ কোকোর সেই বীজগুলোকে খুব ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করেই আমাদের খাবার উপযোগী মজার মজার চকলেট তৈরি করা হয় এখন।
কোকো থেকে চকলেট :
ক্যাকাও গাছে হয় ক্যাকাও বীজ বা কোকো বীজ। কোকোর এই বীজ বা দানাই হচ্ছে চকলেট তৈরির মূল উপাদান। ক্যাকাও গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ফোটে। সে ফুলগুলোর পরাগায়ন ঘটে ছোট ছোট বিভিন্ন কীটপতঙ্গ আর বাদুড়ের মাধ্যমে। পরাগায়নের পর এ ফুল থেকে সৃষ্টি হয় বীজপত্র বা বীজের খোসা।

এতে সময় লাগে প্রায় ২ বছর। এ খোসাগুলো পেকে হলদে-কমলা রং ধারণ করলে সেগুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। খোসাগুলো ভাঙার পর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে সাদা রঙের কোকো দানা। 

একেকটা খোসার ভেতর থেকে এরকম প্রায় ৫০টি করে কোকো দানা বা বীজ পাওয়া যায়। দক্ষ শ্রমিকদের দ্বারা কোকোর এ বীজগুলো সংগ্রহের পর সেগুলো বড় বড় গামলাসদৃশ পাত্রে করে শুকানো হয়। এতে সময় লাগে প্রায় ২-৩ দিন।

শুকানোর পর বীজগুলো ব্যাগে ভরে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য পাঠানো হয় বিভিন্ন কারখানাতে। কারখানায় এ বীজগুলো থেকে খোসা ছাড়ানো হয় এবং সেগুলো আবার শুকানো হয়। 

শুকানোর পর বীজগুলো একটি মেশিনে ঢুকিয়ে এমনভাবে চাপ দেয়া হয় যে সেগুলো পেস্ট বা আঠালো তরলে পরিণত হয়। এই পেস্ট সংগ্রহ করে অন্য একটি মেশিনে ঢুকিয়ে আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করা হয়। ফলে মেশিনের একদিক দিয়ে বের হয়ে আসে কোকো বাটার এবং অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে আসে কোকো পাউডার। 

এ কোকো পাউডারের সাথে কোকো বাটারসহ আরও হরেক রকম উপাদান মিশিয়েই তৈরি করা হয় ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের মজার মজার চকলেট।

ছেলেদের যে ৬ টি কাজ মেয়েদের রাগিয়ে তোলে

ছেলেদের যে ৬ টি কাজ মেয়েদের রাগিয়ে তোলে
প্রেমিকা অনেক বেশি রেগে আছেন? কিংবা বিরক্তি নিয়ে কথা বলছেন? আপনি হয়তো ভাবছেন তিনি অন্য কোনো কারণে বিরক্ত বা রাগান্বিত। ছেলেরা অন্তত এই জিনিসটিই ভেবে থাকেন, তারা কিন্তু কখনোই ভাবেন না হয়তো আমার কোনো কাজেই সে বিরক্ত। 

আসলেই ছেলেরা কিছু কিছু কাজ করে থাকেন যা মেয়েদের মনে অনেক বেশিই বিরক্তির সৃষ্টি করে থাকে। কারণ মেয়েদের কাছে কাজগুলো খুবই বিরক্তিকর।

আপনি হয়তো আপন মনেই কাজটি করেছেন, কিন্তু আপনার প্রেমিকার কথা চিন্তা করাও তো উচিত, তাই নয় কি? একটু খেয়াল করে দেখুন তো এই ধরণের কাজগুলো আপনাকে দিয়ে হয় কিনা। যদি হয় তাহলে চেষ্টা করুন না করার। কারণ এগুলোই আপনা প্রেমিকা বা স্ত্রীকে অনেক বেশি রাগিয়ে তোলে।

১) কথা বলার সময় ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা এবং কথা বলা শেষে বলা ‘কী বললে’

অনেক ছেলেই এই কাজ করেন। প্রেমিকা বা স্ত্রী কথা বললে একেবারেই গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করে কথা শেষে আবার জিজ্ঞেস করেন, ‘কি বলছিলে’। জিনিসটি নিজের সাথে ঘটার বিষয়টি ভেবে দেখুন, তাহলেই বুঝবেন এক কথা ২ বার বলাটা এবং সঙ্গীর মনোযোগ না পাওয়াটা কি ভীষণ বিরক্তিকর।

২) পা ছড়িয়ে বসা

সোফা বা বাসের সীট কিংবা বসার যে স্থানই হোক না কেন পা ফাঁক করে ছড়িয়ে বসাটা আপনার প্রেমিকার জন্য অনেক বেশি বিরক্তিকর। স্বাভাবিক ভাবে বসুন, নতুবা আপনার প্রেমিকার কাছে আপনি এখনো আনস্মার্ট।
৩) প্রেমিকা বা স্ত্রীর সামনে আরেকটি মেয়ের শারীরিক বিষয় নিয়ে কমেন্ট করা

পাশ দিয়ে যাওয়া মেয়েদের নিয়ে কমেন্ট পাস করা ছেলেদের কাছে খুব আনন্দের একটি কাজ। এই বিরক্তিকর কাজটি অনেক ছেলেই করে থাকেন যাদের বিশেষ মানসিক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু প্রেমিকা পাশে থাকলেও এই কাজটি করা অনেক বেশি বিরক্তিকর।

৪) দুজনের একান্ত সময়ে নিজের বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে প্ল্যান করা

আপনার এবং আপনার প্রেমিকার দুজনেরই বন্ধু রয়েছে, দুটি সার্কেলের পরিচিতিরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তাই বলে যখন শুধু আপানাদের দুজনের একান্ত সময় কাটানোর কথা তখন বন্ধু বান্ধব নিয়ে প্ল্যান করাটা কতোটা যুক্তিসঙ্গত তা ভেবে দেখেছেন কি?

৫) স্পেশাল দিনগুলো পালন না করা

অনেক ছেলেই স্পেশাল দিনগুলো পালন করতে চান না। তাদের কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিয়ে থাকেন, ‘ভালোবাসা প্রকাশ প্রতিটি দিনের জন্য’। কিন্তু প্রেমিক মহোদয় আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রীর নিশ্চয়ই এই কথাটি বোঝার ক্ষমতা আছে। আপনিই বরং বুঝতে চান না স্পেশাল দিন, অর্থাৎ এর পেছনে নিশ্চয়ই স্পেশাল কারণ রয়েছে। তাহলে পালন করতে সমস্যা কোথায়।

৬) জিজ্ঞেস না করেই প্রেমিকার জন্য খাবারের অর্ডার করা

প্রেমিকা বা স্ত্রী কি পছন্দ করেন বা কি চাচ্ছেন তা না বুঝেই নিজের ইচ্ছে চালিয়ে দেয়ার মতো বিরক্তিকর কাজও অনেক ছেলে করে থাকেন। কিন্তু এটি মেয়েদের রাগিয়ে তোলে অনেক বেশি। কোথাও খেতে গেলে প্রেমিকাকেই অর্ডার করতে দিন, নতুবা অন্তত তাকে জিজ্ঞেস করে নিন।

মিলন-মীমের প্রথম ইনিংস

মিলন-মীমের প্রথম ইনিংস
পূর্বে আনিসুর রহমান মিলন এবং বিদ্যা সিনহা মীমকে ছোট পর্দায় জুটি বাঁধতে দেখা গেলেও বড় পরিসরে এবারই প্রথমবার দুজন একত্রে জুটি গড়তে যাচ্ছেন। দেবাশীষ বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘সম্পূর্ণ রঙিন’ নামের একটি নতুন ছবির মাধ্যমে রুপালী পর্দায় প্রথমবারের মত একসাথে সাথে দেখা যাবে তাদেরকে।
ছবিটি সম্পর্কে মীম বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে বলেন, ছবিতে সিনেমা হলের টিকেট চোরাকারবারী চরিত্রে দেখা যাবে মিলনকে। আর তার প্রেমিকা থাকি আমি, যে কিনা নাচ-গান পাগল মেয়ে থাকে এবং যার স্বপ্ন থাকে সেও একদিন রূপালী পর্দার নায়িকা হবে। এ ছবিকে ঘিরে দুইজনের প্রেমীর সংগ্রামের ধূসর বাস্তবতাকে উপজীব্য করেই ‘সম্পুর্ণ রঙিন’ ছবিটির কাহিনী গড়াবে।
মীমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে এই প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন মিলন, এ কথার প্রেক্ষিতে মীম বলেন, মিলন ভাইয়ের সাথে অতীতে নাটকে কাজ করেছি। উনি খুব ভালো একজন মানুষ এবং দক্ষ অভিনেতা, বর্তমানে চলচ্চিত্রেও ভালো কাজ করছেন তিনি। আমার মনে হয় আমাদের জুটি সবাই পছন্দ করবেন।
‘সম্পূর্ণ রঙিন’ ছবিটির চিত্র্যনাট্য লিখেছেন টালিগঞ্জের এন কে সলিল। আগমী দু’এক মাসের মধ্যেই ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী শহরে ছবিটির শুটিং শুরু হবে বলে জানা যায় ।