Saturday, May 30, 2015

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা

নাটোরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় ঘরে দরজা বন্ধ করে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে এক শিক্ষার্থী। মৃত শিক্ষার্থীর নাম শারমিন সুলতানা (১৬)। শারমিন ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর নাটোর সদরের ছাতনী এলাকার এসআই উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শারমিন সুলতানা (১৬) ফেল করায় বিকালে ঘরের দরজা আটকে দিয়ে বিষ পান করে।
পরে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে তার মৃতদেহ দেখতে পায়।
এব্যাপারে নাটোর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ বিষপানে মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চত করেছে।

কলাবাগানে বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৭ জন দগ্ধ


এরা হলেন- মমতাজ বেগম (৬০), তার ছেলে মো. সুমন (২৮) ও তার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২২), নাতি রাব্বি (১০), মেয়ে রোজী (৩৫) এবং তার ছেলে অয়ন (২০)ও মেয়ে বিথী (১৪)।
কী থেকে এ বিস্ফোরণ সে বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া না গেলেও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্যাসের পাইপ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
শনিবার ভোরে কলাবাগানের ২৯ লেকসার্কাসে এ ঘটনায় আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পাঁচজন হাসপাতালে আসার পর তাদের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এরপর বাকিদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।”
‘কীভাবে আগুন লেগেছে বলতে পারবো না’ বলে অগ্নিদগ্ধরা প্রাথমিকভাবে পুলিশকে বলেছে বলে জানান হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মোজাম্মেল।
সুমন পেশায় গাড়িচালক। ২৯/১ লেকসার্কাসে একটি টিনশেড বাড়ির দুই রুম ভাড়া নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। সকালে হঠাৎ বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ হলে তাদের টিনের ঘর ও পাশের দেয়াল পুড়ে যায়।
প্রতিবেশী মো. জুলফিকার স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক।
ঘটনাস্থল থেকে কলাবাগান থানার এসআই নিজামউদ্দীন বলেন, ভোরে কলাবাগানের এই এলাকায় মাটি খুঁড়ে ওয়াসার কাজ চলছিল।
“হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে পাশের একটি টিনশেড বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আছেন জানিয়ে কলাবাগান থানার ওসি মো. ইকবাল বলেন, “কী থেকে বিস্ফোরণটি ঘটেছে সে বিষয়ে এখনও সুস্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, গ্যাসের কোনো পাইপে লিক ছিল। কেউ হয়তো ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়েছে এবং সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পরিদর্শক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, “গ্যাস পাইপে লিক থাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”





Wednesday, May 27, 2015

খিলক্ষেতে নিজ বাসায় আইনজীবীর স্ত্রী খুন

ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর খিলক্ষেতে নিজ বাসায় এক আইনজীবীর স্ত্রী খুন হয়েছেন। নিহতের নাম লিমা আক্তার মুকুল (৩৫)। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
লিমার স্বামী রাকিবুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। গত জানুয়ারিতে দেশে এসে তিনি লিমাকে বিয়ে করেন। লিমা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-১-এর লেক সাইড রোডে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন লিমা। নির্মাণাধীন এ বাড়িটির নিচতলার কয়েকটি কক্ষ বসবাসের উপযোগী করে সেখানে তাঁরা থাকতেন।
খিলক্ষেত থানার পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাকিবুল বাসা থেকে বের হন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি ফিরে এসে দেখেন, তাঁর স্ত্রীর লাশ সোফার ওপর পড়ে আছে। মাথা ও পিঠে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন। পরে তিনি নিজেই খিলক্ষেত থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানান।
খিলক্ষেত থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওই বাসার কাজ দেখাশোনার জন্য ১২ বছরের এক কিশোরও থাকে। রাকিবুল দুপুরে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওই কিশোরকে বলে যান, তাঁর অনেক শত্রু আছে, বাসার কলাপসিবল গেটে ভালোভাবে তালা ঝোলাতে। এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি এসে দেখেন, কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে। কিন্তু অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া মিলছিল না। পরে তিনি বাসার পেছনে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখেন তাঁর স্ত্রীর লাশ পড়ে আছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার সময় ওই কিশোর বাসার ভেতরে ছিল না। ঘটনা শুনে সে বাসায় আসে। তার কাছ থেকেও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখন কীভাবে খুনিরা বাসায় ঢুকল আর কীভাবেই বের হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রায় পাঁচ মাস আগে গাড়ি চুরির অভিযোগে রাকিবুল তাঁর চালক ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তারও করা হয়। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বাড়ি নির্মাণকে কেন্দ্র করে তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও তাঁর মতবিরোধ চলছিল।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা এ ঘটনায় ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

মামলা তুলে না নিলে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি

ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মা ও তিন মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে না নিলে নিহতদের পরিবারের অন্য সদস্যদের পুড়িয়ে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এজাহারভুক্ত আসামি (অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া) মো. মোগর আলী তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে ওই হুমকি দেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেন মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
গত সোমবার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০ মে মামলার আসামি মো. মোগর আলী (৫৫) তাঁর স্ত্রী রং মালা বেগম, ভাইয়ের স্ত্রী ভায়লা বেগম ও চাচাতো ভাই মফিজ মিয়াকে নিয়ে নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁরা নিহত হাসনা বেগমের স্বামী মজিবর রহমান ও তাঁর (মজিবর) মা জোবেদা বেগমকে মামলা তুলে নিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা তাঁদের মারতে উদ্যত হন। এ সময় তাঁরা মজিবরকে মামলা তুলে না নিলে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি পরদিন ২১ মে মির্জাপুর থানায় জিডি করেন।
সোমবার বিকেলে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল আলম ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর ও আদালতে বিচারাধীন। তবে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার এসআই শ্যামল কুমার দত্ত টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২৫ মার্চ টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে বাদী অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দেন।
নারাজির বিষয়ে ২৮ এপ্রিল আদালত শুনানির তারিখ নির্ধারণ করলেও তা পিছিয়ে যায়। আজ বুধবার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী মজিবর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩৫) এবং তাঁর তিন মেয়ে গোড়াই উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিরা আক্তার (১৪), বাক্প্রতিবন্ধী মীম আক্তার (১০) ও ব্র্যাক স্কুলের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী মলি আক্তারকে (৭) ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় পরদিন ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

মুঠোফোনে বন্ধুত্ব পরে অপহরণ

মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে বন্ধুত্ব। এরপর বেড়াতে যাওয়ার নাম করে এক যুবককে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে তথাকথিত সেই বন্ধুরা। অপহৃত যুবককে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই অপহরণকারী। ভাগ্যক্রমে রক্ষা পান অপহৃত ওই যুবক।
গত সোমবার রাতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ শহরের বেলডাঙা এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের নাম মাসুম তালুকদার (৩০)। তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার দশকিয়া (নয়াপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা।
অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হচ্ছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাট গ্রামের রেজাউল করিম এবং একই গ্রামের রুহুল আমিন। এ ঘটনায় মাসুম বাদী হয়ে ওই দুজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মামলা করেছেন।
মাসুম গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জানান, মাস তিনেক আগে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা সবুজ নামের এক যুবকের সঙ্গে মুঠোফোনে মিসডকলের সূত্র ধরে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে পরিচয় বন্ধুত্বে গড়ায়। পরে সবুজের মাধ্যমে পৌর শহরের বিচকিনি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রয়েলের সঙ্গেও মাসুমের পরিচয় হয়।
গত শুক্রবার মাসুম তাঁর স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে নাটোরে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। গত সোমবার সকালে সবুজ মুঠোফোনে ফোন করে মাসুমকে বগুড়ায় বেড়াতে আসতে বলে। মাসুম দুপুরে বগুড়ার চারমাথায় গেলে সবুজ ও রয়েলসহ আরও দুই ব্যক্তি তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে পুটিমারা ইউনিয়নের দিঘিপাড়া গ্রামের এক বাড়িতে এনে আটক করে। এরপর অপহরণকারীরা মাসুমের স্ত্রীর মুঠোফোনে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে মাসুমকে হত্যারও হুমকি দেয় তারা।
মাসুমের শ্যালক শাকিল খান বলেন, ফোন পাওয়ার পর সন্ধ্যায় সবুজের মুঠোফোনে বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর থেকে সবুজের মুঠোফোন বন্ধ। সবুজ ও রয়েল রাত ১০টার দিকে মাসুমকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে রেজাউল করিম ও রুহুল আমিনের হাতে তুলে দেয়।
বিরামপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, রেজাউল ও রুহুল একটি মোটরসাইকেলে মাসুমকে তুলে দ্রুতগতিতে ফুলবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। শহরের বেলডাঙা নামক স্থানে টহল পুলিশ মোটরসাইকেলটিকে আটকায়। এ সময় মাসুম চিৎকার করলে রেজাউল ও রুহুল তাঁকে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশ ধাওয়া করে তাদের ধরে ফেলে।

তরুণীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার দুই যুবকের: র‍্যাব

রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ বুধবার দুপুরে র‍্যাব-১ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া যুবকেরা হলেন আশরাফ ওরফে তুষার (৩৫) ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে লাভলু (২৬)। তাঁরা সিগনেট বায়িং হাউস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়ির চালক।
আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবিটি আজ দুপুরে র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে তোলা। ছবি: আবদুস সালামআদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবিটি আজ দুপুরে র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে তোলা। ছবি: আবদুস সালামমুফতি মাহমুদ খানের ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর গুলশান-১ এলাকা থেকে লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তরুণীকে ধর্ষণের কাজ এ মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করা হয় বলে দাবি র‍্যাবের। ছবিটি বুধবার র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে তোলা। ছবি: আবদুস সালাম
সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, গত ১৭ মে তুষার দুই আফ্রিকান ক্রেতাসহ যমুনা ফিউচার পার্কে টেক্সমার্ট ফ্যাশন হাউসে যান। সেখানে ওই তরুণী কাজ করেন। তুষারের সঙ্গে ওই তরুণীর কথা হয়। একপর্যায়ে তুষার তাঁকে চাকরির প্রলোভন দেখান। এভাবে তিন দিন ওই তরুণীর সঙ্গে কথা হয়। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে তুষার ওই তরুণীকে ফোন করেন। তখন কাজ শেষ হওয়ায় তরুণী বেরিয়ে আসেন। পরে সড়কে মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়িয়ে তুষার ও লাভলু ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে তুষার ওই তরুণীর গন্তব্য জানতে চান। তরুণী উত্তরা যাবেন বলে জানান। তুষার গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে তরুণী রাজি হননি। তখন তাঁরা জোর করে তরুণীকে মাইক্রোবাসে তোলেন।
তুষার ও জাহিদুলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মুফতি মাহমুদ খানের দেওয়া ভাষ্য, তরুণীকে গাড়িতে তুলেই লাভলু গাড়িটি চালাতে শুরু করেন। তখন তুষার প্রথমে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তুষার গাড়ি চালান, লাভলু এসে ধর্ষণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তুষারের ভাষ্য, ১৮ তারিখ তাঁরা ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। এ সময় ফিরোজ নামের আরেক গাড়িচালক তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালকের দাবি, তুষার এ ঘটনার পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁরা দুজনই যুক্ত। ধর্ষণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।

Monday, May 25, 2015

বসে কাজ করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা

বেশি সময় ধরে বসে বসে কাজ করলে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। প্রতিনিয়ত যারা একভাবে বসে কাজ করেন তাদের হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনাগত সমস্যা বেশি দেখা দেয় এবং আশঙ্কা থাকে হার্ট অ্যাটাকেরও।

আমেরিকার একটি গবেষণায় উঠে এসছে এই তথ্য। গবষেণায় দেখা গেছে, প্রত্যেক দিন যোগ ব্যায়াম শরীরের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে। তাই হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ব্যায়াম দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে দেয় এবং শরীরকে ফিট রাখে, এমনটাই মত চিকিৎসকদের।

গবেষণায় দেখা গেছে ২০০০ এরও বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ যারা সারাদিন বসে বসে কাজ করেন তাদের মধ্যে ১৪% মানুষই হৃদরোগে ভোগেন। পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ হার্ট অ্যাটাকের মত মারণাত্মক ব্যাধির আকার নেয়।

ফাঁসির আগে রেহানার হৃদয় কাঁপানো চিঠি

রেহানা জাব্বারিকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীর বুকে ছুরি চালিয়ে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। ২৫ অক্টোবর তার মত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
NTV's photo.
মৃত্যুর আগে মাকে শেষ চিঠি লিখে গেছেন রেহানা। হৃদয় নিংড়ানো সেই চিঠিতে মাকে শোকগ্রস্ত হতে বার বার বারণ করেছেন রেহানা। মৃত্যুকে তিনি অভিহিত করেছেন নিয়তির বিধান হিসেবে, তবে সে জন্য তিলমাত্র অনুতাপ করেননি। বরং ফাঁসির পর তার দেহাংশ দান করার অনুরোধ জানিয়েছেন জন্মদাত্রীকে। রেহানার সেই মর্মস্পর্শী চিঠি গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন ও শান্তিকামী গোষ্ঠীর সদস্যরা।
মাকে লেখা রেহানা জাব্বারির শেষ চিঠি:
প্রিয় শোলেহ,
আজ জানতে পারলাম এবার আমার ‘কিসাস’ (ইরানের আইন ব্যবস্থায় কর্মফল বিষয়ক বিধি)-এর সম্মুখীন হওয়ার সময় হয়েছে। জীবনের শেষ পাতায় যে পৌঁছে গিয়েছি, তা তুমি নিজের মুখে আমায় জানাওনি ভেবে খারাপ লাগছে। তোমার কি মনে হয়নি যে এটা আমার আগেই জানা উচিত ছিল? তুমি দুঃখে ভেঙে পড়েছ জেনে ভীষণ লজ্জা পাচ্ছি। ফাঁসির আদেশ শোনার পর তোমার আর বাবার হাতে চুমু খেতে দাওনি কেন আমায়?
দুনিয়া আমায় ১৯ বছর বাঁচতে দিয়েছিল। কেননা সেই অভিশপ্ত রাতে আমারই তো মরে যাওয়া উচিত ছিল, তাই না? আমার মৃতদেহ ছুড়ে ফেলার কথা ছিল শহরের কোনো অজ্ঞাত কোণে। কয়েকদিন পর মর্গে যা শনাক্ত করার কথা ছিল তোমার। সঙ্গে এটাও জানতে পারতে যে হত্যার আগে আমাকে ধর্ষণও করা হয়েছিল। হত্যাকারীরা অবশ্যই ধরা পড়ত না, কারণ আমাদের না আছে অর্থ, না ক্ষমতা। তারপর বাকি জীবনটা সীমাহীন শোক ও অসহ্য লজ্জায় কাটিয়ে কয়েক বছর পর তোমারও মৃত্যু হত। এটাই যে হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সে রাতের আকস্মিক আঘাত সব কিছু ওলোটপালট করে দিল। শহরের কোনো গলি নয়, আমার শরীরটা প্রথমে ছুড়ে ফেলা হল এভিন জেলের নিঃসঙ্গ কুঠুরিতে, আর সেখান থেকে কবরের মতো এই শাহর-এ রায় কারাগারের সেলে। কিন্তু এ নিয়ে অনুযোগ কর না মা, এটাই নিয়তির বিধান। আর তুমি তো জানো যে মৃত্যুতেই সব শেষ হয়ে যায় না।
মা, তুমিই তো শিখিয়েছ অভিজ্ঞতা লাভ ও শিক্ষা পাওয়ার জন্যই আমাদের জন্ম। তুমি বলেছিলে, প্রত্যেক জন্মে আমাদের কাঁধে এক বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া থাকে। মাঝে মাঝে লড়াই করতে হয়, সে শিক্ষা তো তোমার থেকেই পেয়েছি। সেই গল্পটা মনে পড়ছে, চাবুকের ঝাপ্টা সহ্য করতে করতে একবার প্রতিবাদ জানানোর ফলে আরও নির্মমতার শিকার হয়েছিল এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়। কিন্তু প্রতিবাদ তো সে করেছিল! আমি শিখেছি, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে অধ্যবসায় প্রয়োজন। তার জন্য যদি মৃত্যুও আসে, তাকেই মেনে নিতে হয়।
স্কুলে যাওয়ার সময় তুমি শিখিয়েছিলে, নালিশ ও ঝগড়াঝাটির মাঝেও যেন নিজের নারীসত্তাকে বিসর্জন না দিই। তোমার মনে আছে মা, কত যত্ন করেই না মেয়েদের খুঁটিনাটি সহবত শিখিয়েছিলে আমাদের? কিন্তু তুমি ভুল জানতে মা। এই ঘটনার সময় আমার সে সব তালিম একেবারেই কাজে লাগেনি। আদালতে আমায় এক ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসেবে পেশ করা হয়। কিন্তু আমি চোখের জল ফেলিনি। ভিক্ষাও করিনি। আমি কাঁদিনি কারণ আইনের প্রতি আমার অটুট আস্থা ছিল।
কিন্তু বিচারে বলা হল, খুনের অভিযোগের মুখেও নাকি আমি নিরুত্তাপ। আচ্ছা মা, আমি তো কোনো দিন একটা মশাও মারিনি। আরশোলাদের চটিপেটা না করে শুঁড় ধরে জানলার বাইরে ফেলে দিয়েছি। সেই আমিই নাকি মাথা খাটিয়ে মানুষ খুন করেছি! উল্টে ছোটবেলার ওই কথাগুলো শুনে বিচারপতি বললেন, আমি নাকি মনে মনে পুরুষালি। তিনি একবার চেয়েও দেখলেন না, ঘটনার সময় আমার হাতের লম্বা নখের ওপর কী সুন্দর নেল পালিশের জেল্লা ছিল। হাতের তালু কত নরম তুলতুলে ছিল।
সেই বিচারকের হাত থেকে সুবিচার পাওয়ার আশা অতি বড় আশাবাদীও করতে পারে কি? তাই তো নারীত্বের পুরস্কার হিসেবে মাথা মুড়িয়ে ১১ দিনের নির্জনবাসের হুকুম দেওয়া হল। দেখেছ মা, তোমার ছোট্ট রেহানা এই কদিনেই কতটা বড় হয়ে গিয়েছে?
এবার আমার অন্তিম ইচ্ছেটা বলি শোনো। কেঁদো না মা, এখন শোকের সময় নয়। ওরা আমায় ফাঁসি দেওয়ার পর আমার চোখ, কিডনি, হৃদযন্ত্র, হাড় আর যা যা কিছু দরকার যেন আর কারো জীবন রক্ষা করতে কাজে লাগানো হয়। তবে যিনিই এসব পাবেন, কখনোই যেন আমার নাম না জানেন। আমি চাই না এর জন্য আমার সমাধিতে কেউ ফুলের তোড়া রেখে আসুক। এমনকি তুমিও নয়। আমি চাই না আমার কবরের সামনে বসে কালো পোশাক পরে কান্নায় ভেঙে পড় তুমি। বরং আমার দুঃখের দিনগুলো সব হাওয়ায় ভাসিয়ে দিও।
এই পৃথিবী আমাদের ভালোবাসেনি, মা। চায়নি আমি সুখী হই। এবার মৃত্যুর আলিঙ্গনে তার পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। তবে সৃষ্টিকর্তার এজলাসে সুবিচার আমি পাবই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি অভিযোগের আঙুল তুলব সেই সমস্ত পুলিশ অফিসারের দিকে, বিচারকদের দিকে, আইনজীবীদের দিকে, আর তাদের দিকে যারা আমার অধিকার বুটের নিচে পিষে দিয়েছে, বিচারের নামে মিথ্যা ও অজ্ঞানতার কুয়াশায় সত্যকে আড়াল করেছে। একবারও বোঝার চেষ্টা করেনি, চোখের সামনে যা দেখা যায় সেটাই সর্বদা সত্যি নয়।
আমার নরম মনের শোলেহ, মনে রেখো সেই দুনিয়ায় তুমি আর আমি থাকব অভিযোগকারীর আসনে। আর ওরা দাঁড়াবে আসামির কাঠগড়ায়। দেখিই না, সৃষ্টিকর্তা কী চান! তবে একটাই আর্জি, মৃত্যুর হাত ধরে দীর্ঘ যাত্রা শুরুর প্রাক মুহূর্ত পর্যন্ত তোমায় জড়িয়ে থাকতে চাই, মাগো! তোমায় যে খুব খু-উ-ব ভালোবাসি ।

Sunday, May 24, 2015

প্রেমিক প্রেমিকার জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক বা ধর্ষন

rape
ধর্ষণ – শব্দটি শুনলেই প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে যে দৃশ্যপট সৃষ্টি হয় তা হলো অপরিচিত কোন পুরুষ কিংবা নারীর কোন নির্জন স্থানে বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে জবরদস্তি শাররীক সম্পর্ক স্থাপন করা। অপরিচিত মানুষ দ্বারা জোরপুর্বক শাররীক সম্পর্কই শুধু ধর্ষণ নয় – এর বাহিরেও অনেক প্রকার ধর্ষণ আছে। প্রেমিকাকে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে তার অমতে শাররীক সম্পর্ক স্থাপন সহ পারষ্পরিক সম্মতির বাহিরে স্বামী স্ত্রীর শাররীক মিলনও ধর্ষন হিসেবে পরিগনিত। দুঃখজনক ভাবে সত্য যে – ধর্ষণের শিকার যেকোন নারী/পুরুষের ৫০% (আমাদের দেশে আনুমানিক ৯০%) ধর্ষকের পুর্বপরিচিত বন্ধু কিংবা আত্মীয়।
ধর্ষণ কি?
ধর্ষণ বলতে বুঝায়, “বেআইনী ভাবে কারো মতের বিরুদ্ধে তার শরীরের যৌনঅঙ্গ সমুহের ব্যবহার”। যদিও ধর্ষণের সাথে জোরপুর্বক শাররীক সম্পর্ক যুক্ত, ধর্ষণ মানে প্রচণ্ড আবেগ কিংবা অন্তরঙ্গ শাররীক মিলন নয়। ধর্ষণ হচ্ছে একপ্রকার আগ্রাসন এবং সহিংস অপরাধ।
নারীই কি সবসময় ধর্ষিত হয়?
কিশোরী এবং নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকেন, তবে পুরুষও ধর্ষনের শিকার হয়ে থাকেন তবে সেটা অনেক কম। ধর্ষিত মানুষের মাঝে ৭% থেকে ১০% পুরুষ! তবে জরিপে দেখা গেছে পুরুষ কিংবা নারী যেই ধর্ষিত হোক না কেন, ৯৯% ক্ষেত্রে পুরুষকেই ধর্ষকের ভুমিকায় দেখা যায়।
ধর্ষণঃ কার ভুল?
অনেক মানুষকে বলতে শুনি “ধর্ষিতা তার কাপড়চোপড় কিংবা অঙ্গভঙ্গিতে ধর্ষনকারীকে অপরাধটি করতে উৎসাহী করেছিল”। ধর্ষিতার দোষ বলে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাবার উপায় নেই। সর্বক্ষেত্রেই ধর্ষনকারী অপরাধী এবং ঘটনার জন্য শুধু ধর্ষনকারীই দায়ী থাকবে। দুইজন পুর্বপরিচিত কিংবা প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সময়েও ধর্ষণ একটি অপরাধ। কোন মানুষই অন্যের যৌন সম্পর্ক তার অধিকার মনে করতে পারার কোন অবকাশ নেই – উভয় পক্ষের পুর্ন সম্পর্ক ব্যতিত! (বিবাহিত সম্পর্কে ধর্ষণ – এ বিষয়ে পরে একদিন পোষ্ট করা হবে)। জরিপে দেখা গেছে স্বল্প পোশাক বা ধর্ষিতার অংগ ভংগি ধর্ষনের জন্য দায়ী নয়, বরং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে শালীন পোষাক পরা নারীরাও ধর্ষনের শিকার হয়েছেন।
মদ্যপান, মাদক এবং ধর্ষণঃ
পরিচিত ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণের সাথে মাদক অনেকাংশে জড়িত। রাসায়নিক কারনে মদ নারী এবং পুরুষের শরীরে ভিন্ন প্রভাব ফেলে। মদ্যপান কিংবা অন্যন্য মাদক গ্রহনের কারনে হারানোর সম্ভাবনা থাকে, সাধারন জ্ঞান অকার্যকর হয়ে যায় – অনেক মানুষ নেশার ঘোরে আগ্রসন অথবা সহিংসক হয়ে উঠেন। যার ফলশ্রুতিতে ধর্ষনের মত জঘণ্য বিষয়ও অনায়াসে ঘটিয়ে ফেলে।
অনেক প্রকার মাদক, যেমন রোহিপনল (roofies), গামা-হাইড্রোঅক্সিবু্ট্রেট (GHB) এবং কিটামাইন সমৃদ্ধ মাদক কে “ডেট রেপ” তথা প্রেমিক দ্বারা ধর্ষনের মাদক বলা হয়। বহিঃবিশ্বে এই প্রকার মাদক অনায়াসে খাদ্য কিংবা পানীয় এর সাথে মিশ্রিত করে যেকোন নারীকে অচেতন করে কুকর্ম সারার প্রবনতা পরিলক্ষিত হয়। এই মাদক সেবনকরীরা কিছু সময়ের জন্য পেরালাইজড/অবশ, ঝাপসা দেখা এমনকি স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে স্থায়ীভাবে পেরালাইজড এমনকি মৃত্যু পযন্ত হতে পারে।
ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে কিভাবে রক্ষা করবেন?
– আপনার সঙ্গী আপনাকে কোন নির্জন স্থানে নিতে চাইলে যতক্ষন পর্যন্ত আপনি তাকে সম্পুর্ন বিশ্বাস করতে না পারবেন তার কথায় কোন নির্জন স্থানে যাবেন না। “কোন নির্জন স্থানে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থাকলে শয়তান তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে হাজির হয়” – তাই কোন গোপন স্থানে দেখা করা থেকে বিরত থাকুন, এমনকি পুরুষটি আপনার বিস্বস্ত হলেও।
– এমন কোন ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখবেন না যে চরিত্রহীন এবং সুযোগ সন্ধানী।
– সংযত এবং সচেতন থাকুন – শারীরিক মিলনের প্রশান্তিই জীবনের সবকিছু নয়। ইজ্জত হারালে তা ফেরত পাওয়া যায় না। অন্য কেউ না জানলেও প্রিয়জন দ্বারা ধর্ষিত হবার পর আপনার নিজের প্রতি নিজের ঘৃনাবোধ কাটিয়ে উঠতে পারবেন?
– আপনি কি চান তা অবগত হউন।
– কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বন্ধু বান্ধবের সাথে যান এবং একজন আরেকজনের প্রতি নজর রাখুন।
– আইনী সহায়তা কিংবা লোকলজ্জার ভয়ে নিশ্চুপ থাকবেন না। ধর্ষনের হুমকিতে পড়লে গর্জে উঠুন।
– অত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে কুংফু / কারাতে শিখে রাখুন। সাইড ব্যগে বোতল ভর্তি মরিচের গুড়া কিংবা গুড়া মিশ্রিত পানি রাখুন।
ধর্ষনের শিকার হলে কি পদক্ষেপ নিবেন? 
দুর্ভাগ্যবশত আপনি যদি ধর্ষনের শিকার হন তাহলে নিন্ম লিখিত বিষয় সমুহ আপনার করনীয় হতে পারেঃ
– আপনি যদি শাররীক আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহলে দ্রুত হসপিটালে ইমাজেন্সি সেকশানে যান। অনেক হসপিটালের ইমাজেন্সিতে ধর্ষিতা নারীর বিশেষ সহায়তার জন্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ডাক্তার থাকেন।
– ঘনিষ্ঠ বন্ধু কিংবা পরিবারের অন্য কোন সদস্যের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন যাদেরকে আপনি নিরাপদ মনে করেন এবং আপনার সাথে সংগঠিত বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনা করুন।
– আইনের শরনাপন্ন হতে চাইলে সবার আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করুন। কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন মুছে ফেলবেন না। আমাদের দেশে নারীরা ধর্ষনের পর নিজকে অপবিত্র মনে করতে থাকেন এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতায় বার বার গোসল করেতে থাকেন – ফলে ধর্ষনের অনেক আলামত মুছে যায়। – এ বিষয়টি খেয়াল রাখা পরিবারের অন্য সদস্যের খুবই জরুরী।
– ঘটনার যতটুকু মনে পড়ে তা বিস্তারিত লিখে রাখুন।
– যদি আপনি সীদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন “কি করবেন?” তাহলে নিকটস্থ মানবাধিকার সংগঠনে যোগাযোগ করুন।
পরিশিষ্টঃ
গত দশ বছরে পৃথিবী ৫০০ বছর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের মানসিকতা সেই ৫০-১০০ বছর পিছে পড়ে আছে। এখনো কোন নারী ধর্ষনের শিকার হলে আমরা প্রথমেই ধরে নেই মেয়েটির দোষে এমন ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেও একটি মেয়ের আত্মহত্যার খবর পড়লাম পত্রিকাতে। ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় লজ্জায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।
আমাদের দেশের পুরুষরা যেন সব কলংকের উর্দ্ধে। একজন নারীর একমাত্র অবলম্বন তার ইজ্জত! সেই ইজ্জত নষ্ট করে পুরুষটির মনে বিন্ধুমাত্র অপরাধবোধ দেখা যায়না। অনেক ছেলেকে দেখা যায় শুধু শারীরিক মিলনের উদ্দেশ্যেই কোন মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সব ধর্ষনের খবর হয়তো আমরা শুনি না। কিন্তু যে কাজটি ঘটাচ্ছে এবং যে নারী ধর্ষনের শিকার হচ্ছে তারা কি মানসিক শান্তি পেয়েছে/পাবে?

‘ধর্ষিতাকে’ হাসপাতালে রেখে দু’যুবক উধাও

rape-e1406182859207
ক্রাইম নিউজ 25ঃ   শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে লিপি আক্তার (২৮) নামে এক যুবতীর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে দুই যুবক।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যুবতীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
পরে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানায় জানালে যুবতী সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ওদুদ মোল্যার বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, বেলা আড়াইটার দিকে দুই যুবক অসুস্থ অবস্থায় যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় ডাক্তার পরীক্ষ-নিরীক্ষা করে ওই যুবতীর বিষপাণে মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এসময় যুবতীর সঙ্গে আসা দুই যুবক মর্গে লাশ ফেলে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে পুলিশ ধারণা করছে, ধর্ষণের পরে যুবতীকে জোর করে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হতে পারে।
যুবতীর পরিচয় শনাক্ত করে যুবকদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব।

Friday, April 24, 2015

বগুড়ায় আম কুঁড়াতে গিয়ে খালা-ভাগিনীর মৃত্যু

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মালশন গ্রামে ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে খালা ও ভাগিনীর মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নিহতরা হলেন মালশন গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী হেনা বেগম (৩৫) ও বোনের মেয়ে বৈশাখী (১০)।
জানা গেছে, বগুড়ার আগমদিঘি উপজেলার মালশন গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম মাঠে অবস্থিত গভীর নলকুপের বিদ্যুতের তার মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে ছিঁড়ে ধানের জমিতে পড়ে থাকে। গত বুধবার বিকাল ৫টার পর পরিবারের সকলের অজান্তে বৈশাখী (১০) নামের এক শিশু কন্যা ঝড়ে পড়া আম কুড়াতে ওই স্থানে যায় এবং বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায়। পরিবারের সদস্যরা সন্ধ্যার পরও বৈশাখীকে না পেয়ে তার খালা হেনা বেগম খুঁজতে বের হয়।
একপর্যায়ে উল্লেখিত স্থানে বৈশাখীকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করতে যায়। এতে সেও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে একই ভাবে মারা যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে রাতে এলাকাবাসি তাদের লাশ উদ্ধার করে। মৃত বৈশাখী নওগাঁর বালুভরা গ্রামের আবুল কাসেম ওরফে বেলকাসেমের মেয়ে। বৈশাখীর মা প্রবাসে এবং বাবা ঢাকায় থাকার কারণে সে মালশন গ্রামে মামা মামুনের বাড়ীতে বসবাস করছিল।
বগুড়ার আদমদিঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোসলেম উদ্দিন জানান, ঝড়ের মুখে আম কুঁড়াতে যাওয়া ভাগিনী বৈশাখী ছেঁড়া তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে খালা হেনা বেগমও বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে।

'বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারী সান্দ্রা বুলক'

সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। কোন জিনিস কারও কাছে অতি সুন্দর হলেও অন্যের কাছে তা নাও হতে পারে। তবে মৌলিক কিছু জায়গায় সবাই মোটামুটি এক। মানুষের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য শুধু রূপেই নয়, সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ব্যক্তিত্বে, কথায়, বুদ্ধিমত্ত্বায়। আর তাই বিশ্বের তামাম গ্লামারকুইনদের পেছনে ফেলে চলতি বছর 'বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারী' হিসেবে উঠে এলো ৫০ বছর বয়সী হলিউড অভিনেত্রী সান্দ্রা বুলক।

পিপলস ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে তিনি 'ওয়ার্ল্ড মোস্ট বিউটিফুল ওমেন ২০১৫' নির্বাচিত হয়েছেন।
ই-অনলাইন ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুলকের এ খবর এনবিসি চ্যানেলের 'টুডে' অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়। তবে এ ঘটনায় বুলক নিজেও বিষ্মিত। এ সম্পর্কে বুলক বলেন, 'না, সত্যি! এটা সত্যিই হাস্যকর। আমি এটা কাউকে বলিনি।'
৫০ বছর বয়সি এবং পাঁচ বছর বয়সি সন্তানের জননী সান্দ্রা বুলকের কাছে সুন্দর মানে কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আসল সৌন্দর্য সুপ্ত। বিশেষ করে এই শহরে এটি খুব স্বাভাবিক যে কেউ বলছে, ওহ! আমি তার মতো হতে চাই। কিন্তু না, একজন ভালো ব্যক্তি হোন, একজন ভালো মা হোন এবং ভালো কাজ করুন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এগুলো নিয়ে কেউ ভাবে না। সবাই তাদের পছন্দের মানুষের মতো হওয়া নিয়ে ব্যস্ত।'
তিনি বলেন, 'আসল সুন্দর তিনি যে অন্যের মতো হওয়ার চেষ্টা করে না। অথাৎ যার মধ্যে অনুকরণ করার প্রবণতা নেই।'

ভারতে এবার থানায় মডেল ধর্ষণ

ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধিঃ জোরপূর্বক থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে এক মডেলকে ধর্ষণের দায়ে ভারতে তিন পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মুম্বাইয়ে তাদের আটক করা হয় বলে পুলিশের বরাত দিয়ে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। জানা গেছে, মঙ্গলবার ২৯ বছর বয়সী ওই মডেল মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়াকে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টি জানান। এরপরই তাকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে পাঠান কমিশনার। রাকেশ মারিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় ওই মডেল অভিযোগ করেন, একটি ছায়াছবিতে অভিনয়ের জন্য গত ৩ এপ্রিল মুম্বাইয়ে এক ফাইভ স্টার হোটেলে তিনি অডিশন দিতে গিয়েছিলেন। অডিশন শেষে বাইরে আসামাত্র পুলিশের একটি গাড়ি তার সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে উঠতে রাজি না হলে গ্রেফতারের হুমকি দেওয়া হয় ওই মডেলকে।

শ্রীপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে হাসপাতালে

Image result for হত্যাশ্রীপুর উপজেলার আতলড়া কাচারিপাড়া গ্রামে মা এবং মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন মৃত আমির উদ্দিনের স্ত্রী হাছিনা ওরফে হাছুনী বিবি (৫০) ও মেয়ে আরিফা খাতুন (১৮)। মুমূর্ষু অবস্থায় ছেলে শাহজাহান মিয়াকে (২১) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ক
রা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে মা হাছুনি বিবি, তার মেয়ে আরিফা ও ছেলে শাহজাহান মিয়া একই ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। রাত ১টার দিকে দুর্বৃত্তরা মাটির ঘরের নড়বড়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। নিহত আরিফার ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার মা, বোন ও ভাই একই ঘরে থাকতেন। তিনি পাশের একটি ঘরে ছিলেন। রাত ২টার দিকে গোঙ্গানির শব্দে তার ঘুম ভাঙে। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে তার মায়ের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে মা ও বোনকে ঘরের মেঝেতে ও ভাইকে ছোট চৌকির ওপর রক্তাক্ত জখম দেখতে পান। পরে তিনি প্রতিবেশী চাচিকে ডেকে তোলেন। প্রতিবেশী স্কুল শিক্ষিকা শামীমা আক্তার বলেন, তার স্বামী আনোয়ার হোসেনসহ এলাকার আরও লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে। পরে তাদের গাজীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। গাজীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, মেয়ে আরিফাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মা হাছুনী বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। শাহজাহানের প্রচণ্ড খিঁচুনীসহ মাথার মগজ আংশিক বেরিয়ে গেছে। আরিফার চাচাতো বোন মার্জিয়া আক্তার বলেন, দুর্বৃত্তরা আরিফাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে অথবা ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। সে স্থানীয় ধলাদিয়া কলেজ খেকে ২০১৪ সনে এইচএসসি পাস করে। টাকার অভাবে ডিগ্রিতে ভর্তি হতে পারেনি। এক মাস যাবৎ গ্রামের ১২ জন শিশুকে প্রাইভেট পড়াচ্ছে। আরেক ভাই মুজিবুর রহমান স্থানীয় নেসলে কারখানার শ্রমিক। শ্রীপুর থানার ওসি মোতালেব মিয়া জানান, একদল দুর্বৃত্ত ওই এলাকার মৃত আমির উদ্দিনের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এক বিছানায় থাকা মা-মেয়ে ও অপর বিছানায় থাকা ছেলেকে কুপিয়ে হতাহত করে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, ছাত্রীকে ধর্ষণ অথবা ধর্ষণের চেষ্টা দেখে ফেলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

Saturday, April 11, 2015

বৈশাখি সাজে নানান-পোশাক


ক্রাইম নি উজ প্রতিনিধি : সাদা-লাল পাড়ের শাড়ির ঐতিহ্য ধরে রেখে বর্ষবরণের পোশাকে এখন এসেছে ভিন্নতা। লাল-সাদার পাশাপাশি বৈশাখ আয়োজনে স্থান করে নিয়েছে আরও কিছু রং।

বাংলা বছরের প্রথম দিন বরণ করে নিতে এদেশের মানুষের প্রস্তুতির শেষ নেই। মেয়েরা সাদা শাড়ি-লাল পাড়ে নিজেকে কতটা আকর্ষণীয় করে তোলা যায় সে প্রস্তুতি শুরু করেছে। পাঞ্জাবিতে নিজেদের ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তুলতে ছেলেরাও পিছিয়ে নেই।
এ বছরের বর্ষ বরণে পোশাকের ধরন নিয়ে দেশীয় ফ্যাশন ঘর ‘সাদা-কালো’র কর্ণধার তাহসীনা শাহীন বলেন, “বৈশাখ হল সাম্প্রদায়িকতা বিহীন একটি উৎসব। এটি বাঙালির একমাত্র প্রাণের উৎসব যেখানে ধর্ম, বর্ণ ভেদাভেদ ছাড়াই সবাই একসঙ্গে জড়ো হয় নতুন একটি বছর বরণ করে নিতে। আর এই দিন বরণ করতে সাদা-লাল রং-ই বেছে নিয়ে থাকে সবাই।”
“প্রতিটি নারীর জন্য শাড়িই হল সব থেকে সুন্দর পোশাক। তবে শাড়ি ছাড়াও এখন অনেকেই ফতুয়া, কুর্তি বা সিঙ্গেল কামিজ বেছে নিচ্ছেন বৈশাখের পোশাক হিসেবে। তাছাড়া সালোয়ার-কামিজ তো আছেই।” বলেন শাহীন।

আর সবার চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশীয় ফ্যাশন ঘরগুলোও সেই অনুযায়ী পোশাকের পসরা সাজিয়েছে তাদের বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে। শুধু নামিদামী ফ্যাশন হাউজগুলোই নয়, ছোটখাটো দোকানগুলোও বৈশাখকে কেন্দ্র করে তাদের আয়োজন সাজিয়েছেন।
বৈশাখের তীব্র রোদ আর গরমের বিষয়টি মাথায় রেখে ফ্যাশন ঘরগুলো পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে সুতি কাপড়ই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। সুতি ছাড়া লিলেন, ক্রেপ জরজেট, সফট জরজেট, হাফ সিল্ক ইত্যাদি কাপড়ও ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকে।
শাহীন জানান, এবারের বৈশাখ বরণের পোশাকে সব থেকে বেশি চলছে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টের পোশাক। ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, বাটিক, সাধারণ প্রিন্ট ইত্যাদি প্রিন্টের জনপ্রিয়তা এবার বেশি। তাছাড়া অ্যাপলিক, হাতের কাজ ইত্যাদি তো আছেই।
শাহিন বলেন, “প্রতিবারই বসন্তের সাজের সঙ্গে মাটির গয়না বেশি পরে থাকেন তরুণীরা। তবে আমার এবার মনে হচ্ছে কাপড়ের গয়না এবার বেশি দেখা যেতে পারে। আর সুতার গয়না, ঝুমকা এগুলো তো থাকছেই। তাছাড়া লাল-সাদার পাশাপাশি এবারের বৈশাখে সবুজ, কমলা, হলুদ ইত্যাদি উজ্জ্বল রংও দেখা যাবে।”
বৈশাখের সাজ

নতুন বাংলা বছরের প্রথম দিনে চাই মনেরমতো সাজ আর মাথায় গোঁজা বেলিফুলের মালা। তীব্র গরম আর ঘামের কথা ভেবে অনেকেই চিন্তিত থাকেন এই দিনের সাজপোশাক নিয়ে। কারণ সাজার পর যদি ঘেমে গিয়ে মেইকআপ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে উৎসবের আনন্দ পুরোটাই মাটি।
তাই এ দিনের সাজ হওয়া চাই হালকা। এ বিষয়ে পরামর্শ দিলেন অ্যারোমা থেরাপিস্ট শিবানী দে।
তিনি বলেন বলেন, “বাংলা নববর্ষ স্বাগত জানাতে প্রাণের এই মেলায় লাল-সাদার প্রাধান্য দিয়ে চলে সাজের পালা। ভিড় জমে ছোট বড় সব শপিং সেন্টারগুলোতেই। পান্তা ইলিশ, লাল-সাদা শাড়ি ও পাঞ্জাবিতে সবাই নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তোলে। শাড়ি আর পছন্দের পোশাকের সঙ্গে নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলতে কিছুটা সাজগোজ তো চাই। ”
দিনের মেইকআপ
শিবানী দে জানান, বৈশাখের দিনের এবং সন্ধ্যার মেইকআপ হবে ভিন্ন।
তিনি বলেন, “এ উৎসবের সাজ-পোশাকে থাকে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। সকালে রোদ থাকায় সাজটা হতে হবে স্নিগ্ধ। গাঢ় মেকআপ এ সময় একেবারেই বেমানান। আর গরমের কারণে সাজ হতে হবে ওয়াটার প্রুফ। যাতে ঘামে সাজ নষ্ট না হয়ে যায়।”

দিনের সাজের ক্ষেত্রে হালকা মেইকআপ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন শিবানী দে।
মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে চাইলে বরফ ঘষে নেওয়া যেতে পারে। এরপর অবশ্যই সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অল্প পরিমাণ ম্যাট ফাউন্ডেশন নিয়ে পুরো মুখে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এর ওপরে সানস্ক্রিনযুক্ত ফেইস পাউডার দিয়ে নিতে হবে, এতে ফাউন্ডেশন ভালোভাবে সেট হবে।
পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে আইশ্যাডো লাগিয়ে নিতে হবে। দিনের সাজে ম্যাট শ্যাডো ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে। আর লক্ষ রাখতে হবে যেন শ্যাডোর প্রতিটি শেইড ভালোভাবে ব্লেন্ড হয়ে যায়।
এদিনে কিছুটা টেনে মোটা করে কাজল বা আইলাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন রংয়ের কাজল পেন্সিল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাইলে বিভিন্ন রংয়ের কাজলও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কাজলটি যেন বেমানান না লাগে।
সবশেষে হালকা করে মাসকারা দিয়ে চোখের সাজ শেষ করতে হবে। আর অবশ্যই ওয়াটার প্রুফ মাসকারা ও আইলাইনার ব্যবহার করতে হবে।
লিপস্টিক লাগানোর আগে প্রথমেই একই রংয়ের লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট সুন্দর করে এঁকে নিয়ে লিপস্টিক দিয়ে ভরাট করে নিতে হবে।
চুলের স্টাইল নির্ভর করবে পোশাকের ওপর। শাড়ির সঙ্গে পুরো চুল একপাশে রেখে খোঁপা করে তাতে বেশি করে বেলিফুলের মালা জড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। যাদের লম্বা চুল তারা লম্বা বেণি করে বেলি ফুলের মালা পেঁচিয়ে নিতে পারে। যাদের চুল ছোট তারা ক্লিপ দিয়ে চুল আটকিয়ে ফুল লাগাতে পারেন।
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে চুল স্ট্রেইট বা কার্ল করে ছেড়ে রাখা যেতে পারে। আবার চাইলে খোঁপা, বেণি বা পনিটেইল ইত্যাদি স্টাইলও করা যেতে পারে। সঙ্গে যোগ করা যায় ফুলের মালা।
কপালে বড় টিপ, হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি, গলায় পুঁতির মালা, অক্সিডাইজ, মুক্তার গয়না আর পায়ে হালকা পায়েল পরলেই বৈশাখি সাজ পূর্ণতা পাবে।
সন্ধ্যার মেইকআপ
সন্ধ্যায় মেইকআপের শুরুতে মুখে একটু বরফ ঘষে নিতে হবে। ফাউন্ডেশন দিয়ে মুখ, গলা, ঘাড়ে ভালো করে ব্ল্যান্ড করে মিশিয়ে নিয়ে মুখের বাড়তি খুঁত ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর ফেইসপাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশন বসিয়ে নিতে হবে।

পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে চোখে আইশ্যাডো লাগাতে হবে। রাতের সাজে চোখে গাঢ় মেইকআপ বেশি মানানসই। পোশাকের রংয়ে বা সম্পূর্ণ ভিন্ন রং কন্ট্রাস্ট আই শ্যাডোর সঙ্গে নীল, সবুজ, সোনালি বা রূপালি যে কোনো রংয়ের আইলাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাপড়িতে ঘন করে কয়েক কোট মাশকারা লাগিয়ে নেওয়া যাবে। চোখের মেইকআপ গাঢ় হলে ন্যাচারাল, বাদামি, পিচ অথবা গোলাপি রংয়ের লিপস্টিক লাগালে ভালো লাগবে।
গালের চিক বোনের উপর কিছুটা ব্লাশ লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রেও ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। কপালের আকার অনুযায়ী ছোট বা বড় টিপ পরা যেতে পারে।
সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুল বেঁধে নেওয়া যেতে পারে। আর ছেড়ে রাখতে চাইলে আয়রন, ব্লোডাই, স্পাইরাল ইত্যাদি স্টাইল করা যাবে। চুল বড় হলে লম্বা বেণি বা খোঁপা করে বিভিন্ন ফুল গুঁজে দেওয়া যেতে পারে।
বড় কানের দুল পরলে গলায় কিছু না পরলেও চলবে। তবে হাত ভরে পরা যায় বিভিন্ন রংয়ের চুড়ি।
বৈশাখের আগের প্রস্তুতি

দুই তিন দিন আগে থেকে ফেইশল, স্কিন পলিশ, মেনিকিওর, পেডিকিওর করে নিলে ভালো। চুলের জন্য প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করুন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ফ্রেস দেখাবে আর চুল ও ঝলমল করবে।
সব শেষে শিবানী দে কিছু সাধারণ বিষয় লক্ষ রাখার পরামর্শ দিলেন।

আগের রাতেই সব প্রসাধনী সামগ্রী জোগাড় করে হাতের কাছে রাখা উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠেই গোসল করে তৈরি হতে হবে। যেহেতু বাইরে তীব্র গরম তাই ফাউন্ডেশন বা প্যান কেক যাই ব্যবহার করা হোক সেটা যেন ওয়াটার প্রুফ হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অবশ্যই মেইকআপের আগে সানস্ক্রিন লোশন ও সানস্ক্রিনযুক্ত পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
মুখে, গলায়, ঘাড়ে, পিঠে ও হাতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে। আর সঙ্গে একটি রঙিন ছাতা, ছোটপাখা ও এক বোতল পানি রাখা উচিত।

Friday, April 10, 2015

বিয়ে করলেন জাতীয় দলের স্ট্রাইকার ওয়াহেদ

Wedding-Walima-Ceremony-Md-Wahed-Ahmed-Shehnaaz-SaliquePriya-at-Sunsire-Community-Centre-Pathantula-Sylhet-520150410005653 
 ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সিলেটের ছেলে ওয়াহেদ আহমেদ অবশেষে বিয়ে করলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে ওয়াহেদ আহমেদের সঙ্গে লন্ডন প্রবাসী শেহনাজ আহমেদ প্রিয়ার আংটি বদল হয়েছিল মাস ছয়েক আগে। গতকাল (বুধবার) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিয়াকে ঘরে তুলেছেন ওয়াহেদ।
সিলেট শহরের সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে সম্পন্ন হয়েছে ওয়াহেদ-প্রিয়ার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ওয়াহেদ-প্রিয়ার চার হাত এক করে দেয়ার নেপথ্যে ছিল ফেসবুক। এক কথায় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিই তাদের বিয়ের ‘ঘটক’। ফেসবুকেই তাদের পরিচয়। তারপর ভালোলাগা, ভালোবাসা এবং যার পরিণতি পরস্পরকে জীবনসঙ্গী করে নেয়া।
প্রিয়ার জন্ম ইংল্যান্ডে। তবে তার বাপ-দাদার বাড়ী ওয়াহেদেরই বাড়ীর পাশে-সিলেটের তাজপুরে। গত বছর জুনে প্রিয়া বাংলাদেশে এলে সিলেট শহরের একটি রেস্তোরাঁয় দু’জনের প্রথম সাক্ষাত হয়। আনুষ্ঠানিকতা সারতে গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশে এসেছেন লন্ডনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা করা শেহনাজ আহমেদ প্রিয়া। নতুন জীবন শুরু করে সবার দোয়া চেয়েছেন ওয়াহেদ।

ওয়াহেদের বিয়েতে তার নিকটজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই। তবে বর্তমানে বি-লীগের খেলা চলার কারনে সতীর্থ অনেকেই যোগ দিতে পারেননি তার বিয়েতে।

আজব এক ভাসমান গ্রাম

গ্রামটি ভাসমান, তবে এমন এক জায়গা যেখানে কেউ ডাঙায় পা দেয় না।  জলের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগত।  যেখানকার বাসিন্দারা কখনো ডাঙায় পা দেননি।

গ্রামের নাম সান্তাদু।  চীনের নিঙদে শহর থেকে ৩০ কিমি দূরে গ্রামটি।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের এই গ্রামটা জাপানি বোমার আঘাতে একেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছিল।

গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল গ্রাম।  কিন্তু জীবন ভারী অদ্ভুত, সৃষ্টিও ভারী অবাক করা।  ধ্বংসের মধ্যেও তৈরি হলো আশ্চর্য এক গ্রাম, যা শুধু ভেসে থাকে জলের ওপর।

বাঁশ, ফেলে দেয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন গ্রাম গড়লেন বাসিন্দারা।  গ্রামে কাঠের তৈরি অনেক বাড়ি আছে, রেস্তোরাঁ আছে, একটা থানাও আছে।  কিন্তু সবগুলোই শুধু ভেসে থাকে।  কাঠের বাড়িগুলোর মধ্যে এমনভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে যে, ভেসে থাকাটা সহজ হয়।

মাছ ধরাই গ্রামের বাসিন্দাদের মূল জীবিকা।  প্রকৃতিও একেবারে ঢেলে দিয়েছে এই গ্রামকে।  চিংড়ি, কুচো চিংড়ি, গলদা চিংড়ি থেকে শুরু করে নানা ধরনের মাছ আছে এই গ্রামের জলের তলায়।

এখান থেকেই পাওয়া যায় চীনের সেরা 'সি ফুড'।  মনের আনন্দে এখানকার বাসিন্দারা দিনভর মাছ ধরে বেড়ান।  আর রাতে ভাসমান গ্রামে চলে উত্‍সব। তখন দূর থেকে ভারী অদ্ভূত দেখায় এই গ্রামকে।

মনে হয় যেন প্রতিকূলতাকে অন্ধকারে রেখে আলোয় ভেসে চলছে উত্‍সব। প্রকৃতির রোষানলে মানুষকে পড়তে হয় মাঝেমধ্যেই।  তবু তার মোকাবেলা করেই বেঁচে থাকে মানুষ।  যেমন বেঁচে আছে সান্তাদু গ্রাম।  বেঁচে আছে ভেসে থেকেই।  আছে বেঁচে থাকার পণ নিয়ে কিছু মানুষের চোয়ালচাপা লড়াই ।

Monday, April 6, 2015

সৌদি আরবে ৩২ ফুট লম্বা কঙ্কাল পাওয়া গেল

ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : সৌদি আরবে ৩২ ফুট লম্বা কঙ্কাল পাওয়াগেল। যেটি কুরআনে বর্ণিত আদ  জাতির অস্তিত্বের প্রমান সৌদি আরবে রব-উল-খালিতে প্রপ্ত ১0মিটার বা ৩১.৮০ ফুট ... লম্বা কঙ্কালটি পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আদ জাতির কোনো ব্যক্তির বলে মনে করছে সে দেশের আলেম সমাজ।২০০৪ সালে বহ...ুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি "আরামকো" গ্যাস অনুসন্ধানেরসময় কঙ্কালটি ওই এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমানগুলো খোজ পায়। জায়গাটি আবিস্কারের পরপরই সেখানে যাওয়ার উপর নিষ েধাজ্ঞা আরোপ করলেও সম্পতি সৌদি সামরিক বাহিনী বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেই দুলর্ভ ছবিগুলো একটু দেখুন। সৌদি আরবের আলেমদেরমতে ওই প্রান্তরে পাওয়া নমুনাগুলো আদ জাতির ধ্বংসাবশেষ। পবিত্র কুরআনে এবং অন্যান সূত্রেবলা হয়েছে আদ জাতির লোকেরা ছিল খুবই লম্বা বিশাল ও অত্যান্ত শক্তিশালী । তারা এক হাতে বড় বড় বৃক্ষ উপড়েফেলতে পারত। আধুনিক ইতিহাসে যেখানে দীঘতম মানুষটির দৈঘ্য পাওয়া যাচ্ছে ৯ ফুট(২.৭৪ মিটার)। সেখানে প্রায় ৩২ ফুট লম্বা মানুষের কঙ্কাল পাওয়া নাশ্চিত ভাবে পবিত্র কুরআনের সত্যতার প্রমাধবাহী। পবিত্র কুরআনের সূরা শু'আরায় এই হুদ জাতিকে নিয়ে অনেক আয়াত নাযিল হয়েছে আল্লাহ কুরআনে বলেন "আল্লাহ এত বিশাল আকৃতির মানুষ আরকখনো পাঠাননি "এই মুহূর্তে যারা অনলাইন আছেন সবাই লাইক দিয়ে শেয়ার করুণ এবং আপনাদের বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিন