Saturday, April 11, 2015

বৈশাখি সাজে নানান-পোশাক


ক্রাইম নি উজ প্রতিনিধি : সাদা-লাল পাড়ের শাড়ির ঐতিহ্য ধরে রেখে বর্ষবরণের পোশাকে এখন এসেছে ভিন্নতা। লাল-সাদার পাশাপাশি বৈশাখ আয়োজনে স্থান করে নিয়েছে আরও কিছু রং।

বাংলা বছরের প্রথম দিন বরণ করে নিতে এদেশের মানুষের প্রস্তুতির শেষ নেই। মেয়েরা সাদা শাড়ি-লাল পাড়ে নিজেকে কতটা আকর্ষণীয় করে তোলা যায় সে প্রস্তুতি শুরু করেছে। পাঞ্জাবিতে নিজেদের ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তুলতে ছেলেরাও পিছিয়ে নেই।
এ বছরের বর্ষ বরণে পোশাকের ধরন নিয়ে দেশীয় ফ্যাশন ঘর ‘সাদা-কালো’র কর্ণধার তাহসীনা শাহীন বলেন, “বৈশাখ হল সাম্প্রদায়িকতা বিহীন একটি উৎসব। এটি বাঙালির একমাত্র প্রাণের উৎসব যেখানে ধর্ম, বর্ণ ভেদাভেদ ছাড়াই সবাই একসঙ্গে জড়ো হয় নতুন একটি বছর বরণ করে নিতে। আর এই দিন বরণ করতে সাদা-লাল রং-ই বেছে নিয়ে থাকে সবাই।”
“প্রতিটি নারীর জন্য শাড়িই হল সব থেকে সুন্দর পোশাক। তবে শাড়ি ছাড়াও এখন অনেকেই ফতুয়া, কুর্তি বা সিঙ্গেল কামিজ বেছে নিচ্ছেন বৈশাখের পোশাক হিসেবে। তাছাড়া সালোয়ার-কামিজ তো আছেই।” বলেন শাহীন।

আর সবার চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশীয় ফ্যাশন ঘরগুলোও সেই অনুযায়ী পোশাকের পসরা সাজিয়েছে তাদের বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে। শুধু নামিদামী ফ্যাশন হাউজগুলোই নয়, ছোটখাটো দোকানগুলোও বৈশাখকে কেন্দ্র করে তাদের আয়োজন সাজিয়েছেন।
বৈশাখের তীব্র রোদ আর গরমের বিষয়টি মাথায় রেখে ফ্যাশন ঘরগুলো পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে সুতি কাপড়ই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। সুতি ছাড়া লিলেন, ক্রেপ জরজেট, সফট জরজেট, হাফ সিল্ক ইত্যাদি কাপড়ও ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকে।
শাহীন জানান, এবারের বৈশাখ বরণের পোশাকে সব থেকে বেশি চলছে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টের পোশাক। ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, বাটিক, সাধারণ প্রিন্ট ইত্যাদি প্রিন্টের জনপ্রিয়তা এবার বেশি। তাছাড়া অ্যাপলিক, হাতের কাজ ইত্যাদি তো আছেই।
শাহিন বলেন, “প্রতিবারই বসন্তের সাজের সঙ্গে মাটির গয়না বেশি পরে থাকেন তরুণীরা। তবে আমার এবার মনে হচ্ছে কাপড়ের গয়না এবার বেশি দেখা যেতে পারে। আর সুতার গয়না, ঝুমকা এগুলো তো থাকছেই। তাছাড়া লাল-সাদার পাশাপাশি এবারের বৈশাখে সবুজ, কমলা, হলুদ ইত্যাদি উজ্জ্বল রংও দেখা যাবে।”
বৈশাখের সাজ

নতুন বাংলা বছরের প্রথম দিনে চাই মনেরমতো সাজ আর মাথায় গোঁজা বেলিফুলের মালা। তীব্র গরম আর ঘামের কথা ভেবে অনেকেই চিন্তিত থাকেন এই দিনের সাজপোশাক নিয়ে। কারণ সাজার পর যদি ঘেমে গিয়ে মেইকআপ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে উৎসবের আনন্দ পুরোটাই মাটি।
তাই এ দিনের সাজ হওয়া চাই হালকা। এ বিষয়ে পরামর্শ দিলেন অ্যারোমা থেরাপিস্ট শিবানী দে।
তিনি বলেন বলেন, “বাংলা নববর্ষ স্বাগত জানাতে প্রাণের এই মেলায় লাল-সাদার প্রাধান্য দিয়ে চলে সাজের পালা। ভিড় জমে ছোট বড় সব শপিং সেন্টারগুলোতেই। পান্তা ইলিশ, লাল-সাদা শাড়ি ও পাঞ্জাবিতে সবাই নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তোলে। শাড়ি আর পছন্দের পোশাকের সঙ্গে নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলতে কিছুটা সাজগোজ তো চাই। ”
দিনের মেইকআপ
শিবানী দে জানান, বৈশাখের দিনের এবং সন্ধ্যার মেইকআপ হবে ভিন্ন।
তিনি বলেন, “এ উৎসবের সাজ-পোশাকে থাকে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। সকালে রোদ থাকায় সাজটা হতে হবে স্নিগ্ধ। গাঢ় মেকআপ এ সময় একেবারেই বেমানান। আর গরমের কারণে সাজ হতে হবে ওয়াটার প্রুফ। যাতে ঘামে সাজ নষ্ট না হয়ে যায়।”

দিনের সাজের ক্ষেত্রে হালকা মেইকআপ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন শিবানী দে।
মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে চাইলে বরফ ঘষে নেওয়া যেতে পারে। এরপর অবশ্যই সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অল্প পরিমাণ ম্যাট ফাউন্ডেশন নিয়ে পুরো মুখে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এর ওপরে সানস্ক্রিনযুক্ত ফেইস পাউডার দিয়ে নিতে হবে, এতে ফাউন্ডেশন ভালোভাবে সেট হবে।
পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে আইশ্যাডো লাগিয়ে নিতে হবে। দিনের সাজে ম্যাট শ্যাডো ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে। আর লক্ষ রাখতে হবে যেন শ্যাডোর প্রতিটি শেইড ভালোভাবে ব্লেন্ড হয়ে যায়।
এদিনে কিছুটা টেনে মোটা করে কাজল বা আইলাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন রংয়ের কাজল পেন্সিল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাইলে বিভিন্ন রংয়ের কাজলও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কাজলটি যেন বেমানান না লাগে।
সবশেষে হালকা করে মাসকারা দিয়ে চোখের সাজ শেষ করতে হবে। আর অবশ্যই ওয়াটার প্রুফ মাসকারা ও আইলাইনার ব্যবহার করতে হবে।
লিপস্টিক লাগানোর আগে প্রথমেই একই রংয়ের লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট সুন্দর করে এঁকে নিয়ে লিপস্টিক দিয়ে ভরাট করে নিতে হবে।
চুলের স্টাইল নির্ভর করবে পোশাকের ওপর। শাড়ির সঙ্গে পুরো চুল একপাশে রেখে খোঁপা করে তাতে বেশি করে বেলিফুলের মালা জড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। যাদের লম্বা চুল তারা লম্বা বেণি করে বেলি ফুলের মালা পেঁচিয়ে নিতে পারে। যাদের চুল ছোট তারা ক্লিপ দিয়ে চুল আটকিয়ে ফুল লাগাতে পারেন।
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে চুল স্ট্রেইট বা কার্ল করে ছেড়ে রাখা যেতে পারে। আবার চাইলে খোঁপা, বেণি বা পনিটেইল ইত্যাদি স্টাইলও করা যেতে পারে। সঙ্গে যোগ করা যায় ফুলের মালা।
কপালে বড় টিপ, হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি, গলায় পুঁতির মালা, অক্সিডাইজ, মুক্তার গয়না আর পায়ে হালকা পায়েল পরলেই বৈশাখি সাজ পূর্ণতা পাবে।
সন্ধ্যার মেইকআপ
সন্ধ্যায় মেইকআপের শুরুতে মুখে একটু বরফ ঘষে নিতে হবে। ফাউন্ডেশন দিয়ে মুখ, গলা, ঘাড়ে ভালো করে ব্ল্যান্ড করে মিশিয়ে নিয়ে মুখের বাড়তি খুঁত ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর ফেইসপাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশন বসিয়ে নিতে হবে।

পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে চোখে আইশ্যাডো লাগাতে হবে। রাতের সাজে চোখে গাঢ় মেইকআপ বেশি মানানসই। পোশাকের রংয়ে বা সম্পূর্ণ ভিন্ন রং কন্ট্রাস্ট আই শ্যাডোর সঙ্গে নীল, সবুজ, সোনালি বা রূপালি যে কোনো রংয়ের আইলাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাপড়িতে ঘন করে কয়েক কোট মাশকারা লাগিয়ে নেওয়া যাবে। চোখের মেইকআপ গাঢ় হলে ন্যাচারাল, বাদামি, পিচ অথবা গোলাপি রংয়ের লিপস্টিক লাগালে ভালো লাগবে।
গালের চিক বোনের উপর কিছুটা ব্লাশ লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রেও ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। কপালের আকার অনুযায়ী ছোট বা বড় টিপ পরা যেতে পারে।
সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুল বেঁধে নেওয়া যেতে পারে। আর ছেড়ে রাখতে চাইলে আয়রন, ব্লোডাই, স্পাইরাল ইত্যাদি স্টাইল করা যাবে। চুল বড় হলে লম্বা বেণি বা খোঁপা করে বিভিন্ন ফুল গুঁজে দেওয়া যেতে পারে।
বড় কানের দুল পরলে গলায় কিছু না পরলেও চলবে। তবে হাত ভরে পরা যায় বিভিন্ন রংয়ের চুড়ি।
বৈশাখের আগের প্রস্তুতি

দুই তিন দিন আগে থেকে ফেইশল, স্কিন পলিশ, মেনিকিওর, পেডিকিওর করে নিলে ভালো। চুলের জন্য প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করুন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ফ্রেস দেখাবে আর চুল ও ঝলমল করবে।
সব শেষে শিবানী দে কিছু সাধারণ বিষয় লক্ষ রাখার পরামর্শ দিলেন।

আগের রাতেই সব প্রসাধনী সামগ্রী জোগাড় করে হাতের কাছে রাখা উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠেই গোসল করে তৈরি হতে হবে। যেহেতু বাইরে তীব্র গরম তাই ফাউন্ডেশন বা প্যান কেক যাই ব্যবহার করা হোক সেটা যেন ওয়াটার প্রুফ হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অবশ্যই মেইকআপের আগে সানস্ক্রিন লোশন ও সানস্ক্রিনযুক্ত পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
মুখে, গলায়, ঘাড়ে, পিঠে ও হাতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে। আর সঙ্গে একটি রঙিন ছাতা, ছোটপাখা ও এক বোতল পানি রাখা উচিত।

Friday, April 10, 2015

বিয়ে করলেন জাতীয় দলের স্ট্রাইকার ওয়াহেদ

Wedding-Walima-Ceremony-Md-Wahed-Ahmed-Shehnaaz-SaliquePriya-at-Sunsire-Community-Centre-Pathantula-Sylhet-520150410005653 
 ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সিলেটের ছেলে ওয়াহেদ আহমেদ অবশেষে বিয়ে করলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে ওয়াহেদ আহমেদের সঙ্গে লন্ডন প্রবাসী শেহনাজ আহমেদ প্রিয়ার আংটি বদল হয়েছিল মাস ছয়েক আগে। গতকাল (বুধবার) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিয়াকে ঘরে তুলেছেন ওয়াহেদ।
সিলেট শহরের সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে সম্পন্ন হয়েছে ওয়াহেদ-প্রিয়ার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ওয়াহেদ-প্রিয়ার চার হাত এক করে দেয়ার নেপথ্যে ছিল ফেসবুক। এক কথায় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিই তাদের বিয়ের ‘ঘটক’। ফেসবুকেই তাদের পরিচয়। তারপর ভালোলাগা, ভালোবাসা এবং যার পরিণতি পরস্পরকে জীবনসঙ্গী করে নেয়া।
প্রিয়ার জন্ম ইংল্যান্ডে। তবে তার বাপ-দাদার বাড়ী ওয়াহেদেরই বাড়ীর পাশে-সিলেটের তাজপুরে। গত বছর জুনে প্রিয়া বাংলাদেশে এলে সিলেট শহরের একটি রেস্তোরাঁয় দু’জনের প্রথম সাক্ষাত হয়। আনুষ্ঠানিকতা সারতে গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশে এসেছেন লন্ডনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা করা শেহনাজ আহমেদ প্রিয়া। নতুন জীবন শুরু করে সবার দোয়া চেয়েছেন ওয়াহেদ।

ওয়াহেদের বিয়েতে তার নিকটজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই। তবে বর্তমানে বি-লীগের খেলা চলার কারনে সতীর্থ অনেকেই যোগ দিতে পারেননি তার বিয়েতে।

আজব এক ভাসমান গ্রাম

গ্রামটি ভাসমান, তবে এমন এক জায়গা যেখানে কেউ ডাঙায় পা দেয় না।  জলের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগত।  যেখানকার বাসিন্দারা কখনো ডাঙায় পা দেননি।

গ্রামের নাম সান্তাদু।  চীনের নিঙদে শহর থেকে ৩০ কিমি দূরে গ্রামটি।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের এই গ্রামটা জাপানি বোমার আঘাতে একেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছিল।

গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল গ্রাম।  কিন্তু জীবন ভারী অদ্ভুত, সৃষ্টিও ভারী অবাক করা।  ধ্বংসের মধ্যেও তৈরি হলো আশ্চর্য এক গ্রাম, যা শুধু ভেসে থাকে জলের ওপর।

বাঁশ, ফেলে দেয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন গ্রাম গড়লেন বাসিন্দারা।  গ্রামে কাঠের তৈরি অনেক বাড়ি আছে, রেস্তোরাঁ আছে, একটা থানাও আছে।  কিন্তু সবগুলোই শুধু ভেসে থাকে।  কাঠের বাড়িগুলোর মধ্যে এমনভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে যে, ভেসে থাকাটা সহজ হয়।

মাছ ধরাই গ্রামের বাসিন্দাদের মূল জীবিকা।  প্রকৃতিও একেবারে ঢেলে দিয়েছে এই গ্রামকে।  চিংড়ি, কুচো চিংড়ি, গলদা চিংড়ি থেকে শুরু করে নানা ধরনের মাছ আছে এই গ্রামের জলের তলায়।

এখান থেকেই পাওয়া যায় চীনের সেরা 'সি ফুড'।  মনের আনন্দে এখানকার বাসিন্দারা দিনভর মাছ ধরে বেড়ান।  আর রাতে ভাসমান গ্রামে চলে উত্‍সব। তখন দূর থেকে ভারী অদ্ভূত দেখায় এই গ্রামকে।

মনে হয় যেন প্রতিকূলতাকে অন্ধকারে রেখে আলোয় ভেসে চলছে উত্‍সব। প্রকৃতির রোষানলে মানুষকে পড়তে হয় মাঝেমধ্যেই।  তবু তার মোকাবেলা করেই বেঁচে থাকে মানুষ।  যেমন বেঁচে আছে সান্তাদু গ্রাম।  বেঁচে আছে ভেসে থেকেই।  আছে বেঁচে থাকার পণ নিয়ে কিছু মানুষের চোয়ালচাপা লড়াই ।

Monday, April 6, 2015

সৌদি আরবে ৩২ ফুট লম্বা কঙ্কাল পাওয়া গেল

ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : সৌদি আরবে ৩২ ফুট লম্বা কঙ্কাল পাওয়াগেল। যেটি কুরআনে বর্ণিত আদ  জাতির অস্তিত্বের প্রমান সৌদি আরবে রব-উল-খালিতে প্রপ্ত ১0মিটার বা ৩১.৮০ ফুট ... লম্বা কঙ্কালটি পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আদ জাতির কোনো ব্যক্তির বলে মনে করছে সে দেশের আলেম সমাজ।২০০৪ সালে বহ...ুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি "আরামকো" গ্যাস অনুসন্ধানেরসময় কঙ্কালটি ওই এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমানগুলো খোজ পায়। জায়গাটি আবিস্কারের পরপরই সেখানে যাওয়ার উপর নিষ েধাজ্ঞা আরোপ করলেও সম্পতি সৌদি সামরিক বাহিনী বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেই দুলর্ভ ছবিগুলো একটু দেখুন। সৌদি আরবের আলেমদেরমতে ওই প্রান্তরে পাওয়া নমুনাগুলো আদ জাতির ধ্বংসাবশেষ। পবিত্র কুরআনে এবং অন্যান সূত্রেবলা হয়েছে আদ জাতির লোকেরা ছিল খুবই লম্বা বিশাল ও অত্যান্ত শক্তিশালী । তারা এক হাতে বড় বড় বৃক্ষ উপড়েফেলতে পারত। আধুনিক ইতিহাসে যেখানে দীঘতম মানুষটির দৈঘ্য পাওয়া যাচ্ছে ৯ ফুট(২.৭৪ মিটার)। সেখানে প্রায় ৩২ ফুট লম্বা মানুষের কঙ্কাল পাওয়া নাশ্চিত ভাবে পবিত্র কুরআনের সত্যতার প্রমাধবাহী। পবিত্র কুরআনের সূরা শু'আরায় এই হুদ জাতিকে নিয়ে অনেক আয়াত নাযিল হয়েছে আল্লাহ কুরআনে বলেন "আল্লাহ এত বিশাল আকৃতির মানুষ আরকখনো পাঠাননি "এই মুহূর্তে যারা অনলাইন আছেন সবাই লাইক দিয়ে শেয়ার করুণ এবং আপনাদের বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিন

Saturday, April 4, 2015

নগ্ন ছবি প্রকাশ করে ১৮ বছরের কারাদণ্ড

নগ্ন ছবি প্রকাশ করে ১৮ বছরের কারাদণ্ড
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : বিনা অনুমতিতে নারী-পুরুষের নগ্ন ছবি প্রকাশ এবং তা নিয়ে চাঁদাবাজির অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে এক তরুণের ১৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

দেশটির ইতিহাসে এ ধরনের সাইবার অপরাধে এমন শাস্তির ঘটনা এই প্রথম। শুক্রবার যুগান্তকারী এই মামলার রায় দেয় সান ডিয়েগোর একটি আদালত।

খবর এএফপির।

২৮ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম কেভিন বোলায়ের্ট। একটি 'রিভেঞ্জ পর্ন' ওয়েবসাইটসহ একাধিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হাজারো নারী-পুরুষের নগ্ন ছবি প্রকাশ এবং সেসব সরিয়ে নিতে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন তিনি।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে ‘ইউগটপোস্টেড ডটকম’ নামের ওয়েবসাইটটি চালু করেন কেভিন। এই সাইটে নারী ও পুরুষদের প্রায় ১০ হাজার নগ্ন ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। এসব ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে কারও অনুমতি নেওয়া হয়নি।

এ ধরনের অন্যান্য সাইটে পাত্র-পাত্রীদের নাম-ধাম প্রকাশ করা না হলেও কেভিনের সাইটটিতে ছবির সঙ্গে পুরো নাম ও বয়সও প্রকাশ করা হতো। এমনকি পাত্র-পাত্রীরা কোন এলাকায় বসবাস করেন তাও উল্লেখ করা হতো। দেওয়া হতো ফেসবুক প্রোফাইলের লিংকও।

‘ইউগটপোস্টেড ডটকম’ সাইটটির পাশাপাশি 'চেঞ্জমাইরেপুটেশন ডটকম' নামে আরেকটি ওয়েবসাইট চালাতেন কেভিন। নগ্ন ছবি প্রকাশের শিকার হয়েছেন এমন নারী-পুরুষদের সেসব ছবি সরিয়ে ফেলতে সহায়তা করার টোপ দেওয়া হতো দ্বিতীয় ওয়েবসাইটটিতে।

'ইউগটপোস্টেড' থেকে ছবি সরিয়ে ফেলার জন্য প্রত্যেকে ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৫০ ডলার করে আদায় করতেন কেভিন। মানুষের কাছ থেকে এভাবে হাজার হাজার ডলার আদায় করে নিয়েছেন তিনি।

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কামালা হ্যারিস বলেছেন, সাইবার-হয়রানির কোনো ওয়েবসাইট পরিচালনার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ব্যক্তির বিচারের ঘটনা এটাই প্রথম।

তিনি আরও বলেন, 'এই সাজা এটা স্পষ্ট করেছে যে, অনলাইনে কাউকে হয়রানি করে মুনাফা করতে চাইলে ভয়াবহ পরিণতি হবে'। আমরা চোখ-কান খোলা রাখব ও তদন্ত চালিয়ে যাব এবং যারা এসব ঘৃণ্য কাজ করছেন তাদের বিচার করব।’

সম্প্রতি বেশ কয়েকজন হলিউড তারকাসহ অনেক সেলিব্রেটিদের নগ্ন ছবি অনলাইনে প্রকাশ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। গত মাসে হোয়াইট হাউসের সাবেক ইন্টার্ন মনিকা লিওনিস্কি টেড সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তৃতায় সাইবার নিপীড়নের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হন।

বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে দুনিয়াজুড়ে যে তোলপাড় হয়েছিল সেটাকে সাইবার হয়রানির অন্যতম প্রথম বড় ঘটনা এবং নিজেকে এর অন্যতম প্রথম শিকার হিসেবে উল্লেখ করেন মনিকা।

বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেট অন্যের লজ্জা নিয়ে আমাদের আনন্দ পেতে এবং ব্যবসা করতে শিখিয়েছে।

বগুড়ায় ঝড়ের তাণ্ডবে পৃথক ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় ঝড়ের তাণ্ডবে পৃথক ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : শনিবার সন্ধ্যা ও রাতে বগুড়ায় ঝড়ের তাণ্ডবে পৃথক ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার রাধানগর গ্রামে ফান্না মিয়া (৩২) নামের এক ব্যক্তির মাথার ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়লে মারা যান।

ফান্না মিয়া ঝড়ের সময় ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে তার মাথায় পড়ে। এতে তার মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ফান্না মিয়ার বাবার নাম লুৎফর রহমান।

এদিকে ঝড়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থাকা ইট পড়ে একই উপজেলার বামনিয়ার আকন্দ গ্রামের পায়েল (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। তার বাবার নাম বাবলু মিয়া।

ফান্না মিয়া ও পায়েলের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান।

এ দিকে সদর উপজেলার বউ বাজার এলাকায় ঝড়ের সময় দেয়াল ধসে হাসিরন বেগম (৩৫) নামের এক নারী ও অজ্ঞাত এক শিশু মারা গেছে। এ ছাড়াও একই উপজেলার পালশা গ্রামে পলাশ (১৫) নামের আরেক কিশোরেরও মৃত্যু হয়েছে। তার বাবার নাম-আয়নুল হক।

স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সময় দেয়াল ধসে হাসিরন ও ওই শিশু গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে স্থানীয় শারমিন ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।

হাসিরন ও শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ক্লিনিকের ডাক্তার শাজাহান আলী। এ ছাড়া সারিয়াকান্দিতে সুজন নামের এক চা বিক্রেতা ঝড়ের কবলে পড়ে মারা যান।

এছাড়াও ধুনট উপজেলার জোর শিমুল গ্রামে টিনের আঘাতে আফজাল হোসেন নামে একজন মারা গেছেন। আফজাল ঝড়ের সময় একটি দোকারে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ সময় আরেকটি দোকান ঘরের চালের টিন উড়ে এসে তার মাথায় আঘাত হানে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ ছাড়াও ঝড়ের সময় বিভিন্নভাবে সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নে ১০ ও শাজাহানপুর উপজেলায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ঝড়ে ওই এলাকার প্রায় ৫০টি কাঁচা বাড়ি ধসে গেছে বলেও জানা যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের দুই পাশে ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে অবরোধ সৃষ্টি হওয়ায় ধীর গতিতে যান চলাচল করছে।

অন্যদিকে নাটোর-বগুড়া সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে ফসেলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা যায়।

Wednesday, April 1, 2015

প্রবেশ পত্র না আশায় পরীক্ষা দিতে পারছে না ৫১ পরীক্ষার্থী

প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ: ঝিনাইদহঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মাহতাবউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের এবার ৫১ জন এইচ এস সি পরীক্ষার্থী প্রবেশ পত্র না আশায় তারা পরীক্ষা দিতে পারছে না।
প্রতি বছরই এই একই ধরণের ঘটনা ঘটে মাহতাবউদ্দীন ডিগ্রী কলেজে। ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে কলেজের শিক্ষক ও কেরাণীরা।
একে অন্যের দোষ দিয়ে পারপেয়ে যায়। কিন্তু ছাত্রদের কী হবে ? এটা কী কলেজ না অন্য কিছু ? সাধারণ ছাত্রদের কোন গুরুত্ব দেয় না শিক্ষক ও কেরাণীরা। অভিভাবক মহল অভিযোগ করে বলেন, আর কত অনিয়ম হবে এই কলেজে।

সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকেও ঘুষ নেয় কলেজ কর্তপহ্ম। ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে না পারলে কী হবে তাদের ভবিষ্যত। এই করুন অবস্থা দেখার কি কেউ নেই ?

Tuesday, March 31, 2015

উত্যক্ত করায় মাদ্রাসা ছাত্রের কারাদণ্ড


উত্যক্ত করায় মাদ্রাসা ছাত্রের কারাদণ্ড
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি: অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় মো. শাহেদ আহমদ (২১) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অাটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের আয়েশা কামিল মাদ্রাসা থেকে তাকে অাটক করা হয়।

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত শাহেদ সদর উপজেলার টুমচর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) শ্রেণীর ছাত্র ও পৌরসভার আবিবনগর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।

এ ব্যাপারে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল উদ্দিন জানান, মো. শাহেদ সদর উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের আয়েশা কামিল মাদ্রাসায় গিয়ে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে সোমবার বিকেলে উত্যক্ত করে। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার কর্মচারীরা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করেন। এ সময় অপরাধ প্রমাণিত হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান শাহেদ আহমদকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মাদ্রাসাছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ ও প্রকাশ্যে উত্যক্ত করায় তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, দণ্ডপ্রাপ্তকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাল্যবিয়ের আসরে​ পুলিশ, বরের চম্পট


বাল্যবিয়ের আসরে​ পুলিশ, বরের চম্পট

প্রতিনিধি ক্রাইম নিউজ : দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকে বিয়ে করতে এসে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুতা, টুপি ফেলে বর জাহাঙ্গীর আলম (২০) দৌড়ে পালিয়েছেন। উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বিয়ের আসর থেকে বরের তিন ভগ্নিপতিকে আটক করেছে। পরে মুচলেকা নিয়ে রাতেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বরের ভগ্নিপতি নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁদের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর গ্রামে। তাঁর শ্যালক জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পার্বতীপুরের কাজীপাড়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ের (১২) বিয়ে ঠিক হয়। সন্ধ্যার পর বরসহ তাঁরা মোট ছয়জন বরযাত্রী মেয়ের বাড়িতে আসেন। কিন্তু কে বা কাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিয়ে পড়ানোর আগ মুহূর্তে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। হঠাৎ পুলিশ দেখে ভড়কে গিয়ে বর দৌড়ে পালান।

পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ দেখে বর, বরের বাবা এবং মেয়ের বাবা পালিয়ে যান। তবে বরের তিন ভগ্নিপতিকে আটক করা হয়। শ্যালকের সঙ্গে কোনো শিশুকন্যার বাল্যবিবাহ হতে দেবেন না মর্মে লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মেয়ের বাড়ির অন্য লোকজনকেও একই আইনি বিধান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

মঙ্গলবার মার্চ ৩১, ২০১৫, ০৫:৫৬ পিএম.

সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায়  ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ার জের ধরে বিপাশা (১১) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বিপাশা লক্ষীপুর গ্রামের ফরিদ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসী জানায়, বিপাশার সঙ্গে একই ক্লাশের ছাত্র বড়াইগ্রাম রেজুর মোড়ের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের ছেলে বাঁধনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২/৩ দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বাঁধনের বাবা ছেলেকে মারপিট করে তার স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।

অন্যদিকে এ ঘটনায় পঞ্চম শেণির প্রেমিকা বিপাশা স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষপান করে। পরে আবার সে স্কুলে গেলে মাঠে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপাশা মারা যায়।  বিপাশার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ইংরেজীতে ‘বি’ লেখা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

মঙ্গলবার মার্চ ৩১, ২০১৫, ০৫:৫৬ পিএম.


"সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ার জের ধরে বিপাশা (১১) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বিপাশা লক্ষীপুর গ্রামের ফরিদ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসী জানায়, বিপাশার সঙ্গে একই ক্লাশের ছাত্র বড়াইগ্রাম রেজুর মোড়ের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের ছেলে বাঁধনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২/৩ দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বাঁধনের বাবা ছেলেকে মারপিট করে তার স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।

অন্যদিকে এ ঘটনায় পঞ্চম শেণির প্রেমিকা বিপাশা স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষপান করে। পরে আবার সে স্কুলে গেলে মাঠে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপাশা মারা যায়।  বিপাশার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ইংরেজীতে ‘বি’ লেখা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
নাটোরের বড়াইগ্রামে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ার বিপাশা (১১) নামের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বিপাশা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের ফরিদ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। নিহতের সহপাঠি ও এলাকাবাসী জানায়, স্কুল ছাত্রী বিপাশার সঙ্গে একই শ্রেণীর ছাত্র বড়াইগ্রাম রেজুর মোড়ের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের ছেলে বাধনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কয়েক দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বাধনের বাবা ছেলেকে মারপিট করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
মঙ্গলবার বিপাশা স্কুলে গিয়ে সহপাঠি প্রেমিক বাধনের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ক্ষোভে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষপান করে। বিষপান করে বিপাশা আবার স্কুলে গেলে স্কুল মাঠেই অচেতন হয়ে পড়ে যায়।
এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মৃত বিপাশার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে বাধনের নামের আদ্যাক্ষর ‘বি’ লেখা রয়েছে। এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, “এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।”
সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ায়  ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

ক্রাইম ‍নিউজ প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেয়ার জের ধরে বিপাশা (১১) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বিপাশা লক্ষীপুর গ্রামের ফরিদ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

নিহতের সহপাঠী ও এলাকাবাসী জানায়, বিপাশার সঙ্গে একই ক্লাশের ছাত্র বড়াইগ্রাম রেজুর মোড়ের ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের ছেলে বাঁধনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২/৩ দিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বাঁধনের বাবা ছেলেকে মারপিট করে তার স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় পঞ্চম শেণির প্রেমিকা বিপাশা স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বিষপান করে। পরে আবার সে স্কুলে গেলে মাঠে অচেতন হয়ে পড়ে যায়। এ সময় শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপাশা মারা যায়।  বিপাশার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ইংরেজীতে ‘বি’ লেখা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

Sunday, March 29, 2015

ফেসবুকের নতুন ফিচার ‘অন দিস ডে’

ফেসবুকে নতুন ফিচার আসছেফেসবুকে নতুন ফিচার আসছেঅতীতের স্মরণীয় দিন-ক্ষণ বা সেদিনের স্মৃতি অনেকেই ভুলে যান। এখন থেকে ফেসবুক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে কোন দিন কী ঘটেছিল সেই কথা। স্মৃতি রোমন্থন করার জন্য ‘অন দিস ডে’ নামে বিশেষ একটি ফিচার উন্মুক্ত করছে ফেসবুক। দীর্ঘদিন ধরে এই ফিচারটি নিয়ে পরীক্ষা চালানোর পর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পাঠানো প্রতিক্রিয়া নিয়ে এই ফিচারটি তৈরি করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুকের পণ্য ব্যবস্থাপক জোনাথন ঘেলার এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আজ আমরা অন দিস ডে নামের ফিচার উন্মুক্ত করছি যাতে ফেসবুকে বিগত সময়ে পোস্ট করা, শেয়ার করা বা ট্যাগ করা বিষয় আবার নতুন করে দেখা যাবে। কেবল ব্যবহারকারী এই পেজটি দেখতে পারবেন। নির্দিষ্ট দিনের স্ট্যাটাস আপডেট, ছবি, পোস্ট বা শেয়ার করা বিষয়গুলো দেখা যাবে।

মেয়েরা খেলাধুলায় কম আসে কেন?

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের একটি মুহূর্ত। ছবি: শামসুল হক 
মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরাই জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় অংশ নেন বেশি। স্বপ্ন থাকে খেলার দক্ষতা দিয়ে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করবেন। কিন্তু সবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। আর্থিক অনিশ্চয়তাই খেলাধুলায় নারীদের কম আসার প্রধান কারণ। একটি গবেষণা থেকে এই তথ্যই উঠে এসেছে।
গিনেস বুকে নাম তুলে জোবেরা রহমান লিনু তো ইতিহাসই তৈরি করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে ভালোভাবেই তুলে ধরছেন সালমা খাতুনেরা। নারী ক্রীড়াবিদদের হাত ধরে বাংলাদেশ কম সাফল্য পায়নি। কিন্তু এখনো খেলাধুলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ কম। কেন? সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এর কারণগুলো বেরিয়ে এসেছে।
জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় অংশ নেওয়া নারীদের ৮৩ শতাংশই আসেন মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। তাঁদের স্বপ্ন থাকে, খেলায় দক্ষতা দিয়ে চাকরি পেয়ে পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা। তবে তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন। বাকিরা তেমন চাকরি বা আর্থিক কোনো নিশ্চয়তা পাননি। আর্থিক এই অনিশ্চয়তাই খেলাধুলায় নারীদের কম আসার প্রধান কারণ।
‘যেসব কারণে বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাধার সম্মুখীন: একটি সামাজিক সমীক্ষা’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আশরাফ উদ্দিন আহমেদ তাঁর এমফিল পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে গবেষণাটি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নারীরা খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত থাকলে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব। এর মাধ্যমে শিক্ষার হার, নেতৃত্বগুণ বাড়ানো ও ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটানো যাবে। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন হতে পারে।
মেয়েরা আসছে। তবে গতিটা ধীর। এমনটাই মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। বললেন, ‘উচ্চশিক্ষা ও ক্রীড়া—দুটো ক্ষেত্রই ব্যয়বহুল। আবার খেলাধুলায় আর্থিক নিশ্চয়তা থাকে না, তাই হয়তো পরিবার নিরুৎসাহিত করে মেয়েটাকে। তাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, মেয়েদের পেছনে কোনো বিনিয়োগ করলে তার ফল ভালো হয়।’ এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তারা পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে।
‘আরেকটা কথা অনেকে বলেন, মেয়েরা শারীরিকভাবে অত সক্ষম নয়। এটা অর্থহীন কথা। মেয়েদের শরীর ও মনের জোর কতটা, তা একজন মেয়ে যখন মা হয়, তখনই বোঝা যায়। ফলে পরিবারের কোনো মেয়ে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হলে তাকে উৎসাহিত করতে হবে। ছোটবেলা থেকে সংস্কৃতিচর্চার মতো, খেলাধুলার চর্চা করা উচিত।’ বললেন রাশেদা কে চৌধূরী।
বিভিন্ন ক্রীড়ায় জাতীয় পর্যায়ে খেলছেন এমন ১০০ নারীর মধ্যে জরিপ চালিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এঁদের অর্ধেক ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি ইত্যাদি এবং বাকি অর্ধেক দাবা, টেনিস, ব্যাডমিন্টন, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার ইত্যাদি ক্রীড়ায় জড়িত।
জরিপে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের ২৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন ২৩ জন। ৬৩ জনের পরিবারের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার কম। ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মাসিক আয় ২০ জনের পরিবারের। এঁদের ৪৬ শতাংশই দিনে কমপক্ষে দু-তিন ঘণ্টা অনুশীলন করেন। তবে তাঁদের জন্য সাধারণ পুষ্টিসম্পন্ন খাবার কেনা কষ্টসাধ্য। অংশগ্রহণকারীদের ৬৩ শতাংশই প্রথমে খেলতে আসেন কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়া। এ জন্য তাঁরা প্রশিক্ষণের উপযুক্ত স্থানের সংকট, ঘরের কাজে সময় দেওয়া ও নিরাপত্তাহীনতাকে দায়ী করেন।
খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে নিয়ে নারীদের এগিয়ে না আসার কয়েকটি কারণ গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান কারণ আর্থিক অনিশ্চয়তা। এর পাশাপাশি মৌলিক চাহিদার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা, লিঙ্গবৈষম্য, পরিবারের বিরোধিতা, নারীদের বিশেষায়িত ক্লাব না থাকা, নিয়মিত টুর্নামেন্ট না হওয়া এবং অনুশীলনের জায়গার অভাবকে চিহ্নিত করেছেন ক্রীড়াবিদেরা। গবেষণায় বলা হয়েছে, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা নারী খেলোয়াড়দের বেশির ভাগেরই লক্ষ্য থাকে, আনসার ভিডিপি, পুলিশ, বিজেএমসি—এমন সার্ভিস টিমে খেলা, যাতে তাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে পারেন এবং ভালো প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেকে আরও দক্ষ করতে পারেন। কিন্তু সারা দেশে জাতীয় পর্যায়ে হাজারেরও বেশি নারী খেলোয়াড়ের মাত্র ৩৪ শতাংশই এমন চাকরি করছেন।
নারী ক্রীড়াবিদদের পাওয়া এই চাকরিতে মাসিক বেতন সাড়ে ছয় থেকে নয় হাজার টাকা। কারও চাকরিই স্থায়ী নয়। জাতীয় পর্যায়ে ৫০টি স্বর্ণপদক পাওয়া খেলোয়াড়ের চাকরিও স্থায়ী হয়নি। এমনকি ২৫ বছর চাকরি করার পরও তা স্থায়ী না হননি এমন খেলোয়াড়ও আছেন। নারী খেলোয়াড়দের পরিবার মনে করে, খেলাধুলায় জড়ানো মেয়ের বিয়ে নিয়ে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হবে। তবে তাঁরা চাকরি পেলে পরিবারের সমর্থন পান।
জরিপে অংশ নেওয়া নারী খেলোয়াড়দের ৫৩ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা তাঁদের মেয়েকে খেলাধুলায় উৎসাহ দেবেন। বাকি ৪৭ শতাংশ বলেছেন, আর্থিক অনিশ্চয়তা, কম আয় ও কম সম্মানের কারণে তাঁরা নিজেদের মেয়েকে এই জগতে আনবেন না।
আন্তঃস্কুল ফুটবলের একটি ম্যাচে জয়ের পর ভিকারুন​নিসা নূন স্কুল দলদেশের দ্রুততম মানবী নাজমুন নাহার বিউটি বলেন, ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে সরকার যেমন সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছে, অ্যাথলেটিকসেও তেমনটা দরকার। অনেক মেয়েরই খেলাধুলায় আগ্রহ আছে। সামাজিক সমস্যাগুলো এখন আগের তুলনায় কমেছে। তবে আর্থিক সমস্যার কারণে মেয়েরা খেলাধুলার জগতে আসতে পারেন না।
১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে ১১ বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বিউটি বলেন, অ্যাথলেটিকসের মতো একক খেলায় কষ্ট বেশি। এসব খেলায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরাই আসেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা চাকরি নিয়ে ক্লাবগুলোতে খেলেন, তাঁদের বেতন খুব কম। তাঁরা পড়াশোনাও করেন। এত কষ্টের তুলনায় তাঁরা কিছুই পান না।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্রীড়াক্ষেত্রে নারী খেলোয়াড়দের যে পরিমাণ ত্যাগ, তার বদলে যথেষ্ট সম্মান ও মর্যাদা তাঁরা পান না। তবে বৈষম্যের বেড়াজালেও তাঁরা সাফল্য দেখাচ্ছেন। মেয়েদের জন্য তেমন টুর্নামেন্ট নেই, ক্লাবও নেই। প্রতিটি থানা ও জেলা পর্যায়ে মেয়েদের টুর্নামেন্ট করা প্রয়োজন। যেসব মেয়ে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত, চাকরিক্ষেত্রে তাঁদের জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখা দরকার।
৪৪ শতাংশ নারী খেলোয়াড় মনে করেন, শুধু নারী হওয়ার কারণে তাঁদের সামাজিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, অনুশীলনে যাওয়ার সময়ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সমালোচনা শুনতে হয়। বাকিরা বলেছেন, প্রথম দিকে তাঁরাও এমন সমস্যায় পড়েছেন। ক্যাম্পে যোগ দিতে ঢাকায় এলে প্রতিবেশীরাও অপবাদ দিতেন।
গবেষণায় বলা হয়, খেলাধুলায় সরকারি বরাদ্দ নিয়ে ৬০ শতাংশ নারী খেলোয়াড়ই অসন্তুষ্ট। তবে এটি মানতে নারাজ সাবেক ব্যাডমিন্টন তারকা, বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার ডানা। তিনি বলেন, সরকারি যা বরাদ্দ, তা তো খরচই হয় না। স্কুল পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরে খেলাধুলার মাঠ নেই, দখল হয়ে গেছে। গ্রাম পর্যায়ে খেলাধুলাই নেই। বাবা-মায়েরা অনাগ্রহী হয়ে উঠছেন, বাচ্চারা ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। পড়াশোনা হয়ে গেছে কোচিংনির্ভর। ফলে তারা খেলার সময় পায় না।
এত সমস্যার পরও খেলাধুলায় মেয়েদের আগ্রহ রয়েছে। যেমন, ২০১২ সালের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল। সরকারি উদ্যোগে এ টুর্নামেন্টে ৬০ হাজার ৮০১টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হয়ে ১০ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থী অংশ নেয়। গবেষণার সুপারিশে বলা হয়েছে, খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ক্লাবগুলোর জন্য নারী দল রাখাটা বাধ্যতামূলক করা যায়। নারী খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়াতে বিদ্যালয়ের বড় ভূমিকা নিতে হবে। কারণ, বিদ্যালয়েই মেয়েদের সহজে খেলায় সম্পৃক্ত করা যায়। মেয়েদের জন্য জেলায় আলাদা প্রতিষ্ঠানও খুব জরুরি।
এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে সচেতনতামূলক কাজ করতে হবে। যেসব মেয়ে খেলাধুলায় ভালো করছে, তাদের সামনে এনে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। নারী প্রশিক্ষক বাড়াতে হবে। মেয়েদের খেলাধুলায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পৃষ্ঠপোষকতার আওতায় আনতে হবে। নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। তবেই মেয়েরা খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হবে।

প্রযুক্তিতে মেয়েদের এগিয়ে নিতে চান


ফারাহ নাযীফা। ​ছবি: খালেদ সরকার

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বা আইসিটির সুবর্ণ সময় এখন। বাংলাদেশও এগোচ্ছে প্রযুক্তিতে। কিন্তু এই উন্নতি যেন পূর্ণতা পাচ্ছে না। কারণ দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক যে নারী তাঁরা পিছিয়ে আছেন প্রযুক্তিক্ষেত্রে। প্রযুক্তি শিক্ষা কিংবা কর্মক্ষেত্রে তাঁদের অবদান বেশ কম। এ চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা প্রযুক্তি-দুনিয়াতেই এমন। নারীদের প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষায় এগিয়ে নিতে চান ফারাহ নাযীফা। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গুগল ডেভেলপার্স গ্রুপের (জিডিজি) মাধ্যমে তাই তিনি নারীদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে উইমেন টেকমেকার্স সম্প্রতি যে দুজনকে প্রধান (লিড) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গুগল, ফারাহ তাঁদের একজন। আরেকজন দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাখশান্দা রুখাম।
ফারাহ জানান, শুধু প্রোগ্রামাররাই কিন্তু সফটওয়্যার উন্নয়নে ভালো করে। তাই শুধু পাস করার জন্য পড়লেই চলবে না। দক্ষ হতে হবে প্রোগ্রামিংয়ে। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে মেয়েদের ভয় দূর করে তাঁদের এগিয়ে আসার কথা বললেন ফারাহ। ভুল হতেই পারে, তবে থেমে থাকা চলবে না। ফারাহ নিজেও নিয়মিত প্রোগ্রামিং করেন।
দেশব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরব্যাপী নানা আয়োজনে মেয়েদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করতে চান ফারাহ। মেয়েদের মধ্যে যথেষ্ট মেধা আছে, দরকার শুধু তাঁদের সঠিক রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া। ফারাহ বলেন, ‘প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় তালিকার ওপরের দিকে সবাই ছেলে। অথচ সেখানে মেয়েদের থাকাটাও জরুরি। আমি তাই উদ্বুদ্ধ করতে চাই, একই সঙ্গে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করতে চাই। কিংবা সেটা হতে পারে মোবাইল অ্যাপ তৈরি বা অন্য কিছু।’
গত মাসে উইমেন টেকমেকার্স লিড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী ফারাহ নাযীফা ২০১২ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন। গুগল ডেভেলপার্স গ্রুপ (জিডিজি), ঢাকার সঙ্গে কাজ করে আসছেন অনেক দিন ধরে। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জিডিজির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আয়োজক হিসেবে ছিলেন, গুগলের ডেভ ফেস্টগুলোতে কাজ করেছেন তিনি। ফারাহ বললেন, ‘উইমেন টেকমেকার্স লিড হওয়ার আগে আমি “কমিউনিটি লিড” হিসেবে কাজ করেছি। দীর্ঘদিন ধরে এই ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করেছি বলেই হয়তো আমাকে লিড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
ফারাহ নাযীফার বাড়ি কুমিল্লায় হলেও তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বাবা মো. এনায়েত করিম সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। মা ফাতেমা আক্তার ঢাকা প্রিপারেটরি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়নের অধ্যাপিকা। ফারাহ লন্ডন গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ২০০৮ সালে ও-লেভেল এবং ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ২০১০ সালে এ-লেভেল সম্পন্ন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশোনা শেষ করে অধ্যাপনা করতে চান তিনি। তার আগে স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি করার ইচ্ছা আছে বলে জানালেন। বললেন, ‘এখনো যদিও অনেকটা বাকি। তত দিনে কী হবে এখনই বলতে পারছি না। তবে পেশা হিসেবে শিক্ষকতা গ্রহণ করলে আমি আরও অনেককে প্রযুক্তিতে আগ্রহী করে তুলতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’

Monday, March 23, 2015

ধর্ষণ আতঙ্কে জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্র নিষিদ্ধ


"ধর্ষণ আতঙ্কে জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্র নিষিদ্ধ

ধর্ষণ আতঙ্কে জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্র নিষিদ্ধ ভারতে ধর্ষণ কিংবা যৌন হেনস্থার খবর এখন সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এবার অভিযুক্ত হওয়ার আগেই তার খেসারত দিতে হল জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করা ভারতীয় এক ছাত্রের।

লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য বৈধভাবেই আবেদন করেন ওই ছাত্র। কিছুদিন পরেই একটা ই-মেইল পান যেখানে তাকে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে সাম্প্রতিক সময় ভারতীয় কর্তৃক একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাকে।

লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক অ্যানেট বেক কিসিঞ্জার ওই ভারতীয় ছাত্রকে ই মেইলে লিখেছেন,"দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোন ভারতীয় ছাত্রের আবেদন গ্রহণ করছি না। ভারতে ধর্ষণজনিত সমস্যার কথা আমরা প্রচুর শুনেছি। এই ধরণের সংস্কৃতি আমরা একেবারেই সমর্থন করি না। আমাদের গ্রুপে অনেক ছাত্রী রয়েছে। সুতরাং এই কার্যকলাপেক আমরা একেবারেই সমর্থন করি না।"

ভারতীয় হিসাবে হেনস্থা এখানেই শেষ নয়। মেইলে আরও বলা হয়,"জার্মানির বহু মহিলা অধ্যাপক ভারতের ধর্ষণ সংস্কৃতির জন্যই ভারতীয় কোন ছাত্র ভর্তি না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপের ফিমেল অ্যাসোসিয়েশনও।"

মেইল পাওয়ার পর পাল্টা মেল করলে ওই অধ্যাপক আরও বলেন,"এই সিদ্ধান্ত কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য। সকল ভারতীয়র জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা সমানভাবে প্রযোজ্য।"" ধর্ষণ আতঙ্কে জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্র নিষিদ্ধ ভারতে ধর্ষণ কিংবা যৌন হেনস্থার খবর এখন সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এবার অভিযুক্ত হওয়ার আগেই তার খেসারত দিতে হল জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করা ভারতীয় এক ছাত্রের।
লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য বৈধভাবেই আবেদন করেন ওই ছাত্র। কিছুদিন পরেই একটা ই-মেইল পান যেখানে তাকে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে সাম্প্রতিক সময় ভারতীয় কর্তৃক একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাকে।
লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক অ্যানেট বেক কিসিঞ্জার ওই ভারতীয় ছাত্রকে ই মেইলে লিখেছেন,"দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোন ভারতীয় ছাত্রের আবেদন গ্রহণ করছি না। ভারতে ধর্ষণজনিত সমস্যার কথা আমরা প্রচুর শুনেছি। এই ধরণের সংস্কৃতি আমরা একেবারেই সমর্থন করি না। আমাদের গ্রুপে অনেক ছাত্রী রয়েছে। সুতরাং এই কার্যকলাপেক আমরা একেবারেই সমর্থন করি না।"
ভারতীয় হিসাবে হেনস্থা এখানেই শেষ নয়। মেইলে আরও বলা হয়,"জার্মানির বহু মহিলা অধ্যাপক ভারতের ধর্ষণ সংস্কৃতির জন্যই ভারতীয় কোন ছাত্র ভর্তি না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপের ফিমেল অ্যাসোসিয়েশনও।"
মেইল পাওয়ার পর পাল্টা মেল করলে ওই অধ্যাপক আরও বলেন,"এই সিদ্ধান্ত কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য। সকল ভারতীয়র জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা সমানভাবে প্রযোজ্য।"

Sunday, March 22, 2015

ফেঁসে গেল 'নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প'


ফেঁসে গেল 'নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প'
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : ছবির নায়ক-নায়িকাদের কারণে পিছিয়ে গিয়েছে 'নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প' ছবির শুটিং। ছবির নায়িকা শিমলার সঙ্গে নায়ক মামুনের শিডিউল মিলছে না। আর এ কারণে ফেঁসে গেলেন পরিচালক।

পরিচালক জানান, '১৬ মার্চ থেকে ছবিটির শেষ লটের শুটিং শুরু করার কথা ছিল। সবকিছু ঠিক থাকলেও নায়ক মামুনের সঙ্গে শিমলার শিডিউল না মেলায় বেশ বিপদেই পড়লাম। সে কারণে শুটিং পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। আগামী ২রা এপ্রিল থেকে ছবিটির শুটিং শুরু করবো।’

রুবেল আনুশ পরিচালিত 'নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প' ছবির শুটিং শুরু হয় গত বছরের আগস্ট মাস থেকে। ছবিটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন 'ম্যাডাম ফুলি' খ্যাত চিত্রনায়িকা শিমলা ও 'ঘেটুপুত্র কমলা' খ্যাত মামুন।

তৃতীয় বিয়ে করছেন রুমানা!


তৃতীয় বিয়ে করছেন রুমানা!
বিডিলাইভ ডেস্ক: প্রথমে মডেলিংয়ে হিসেবে পরিচিতি। মডেলিংয়ে সফলতার ফলশ্রুতিতে পদার্পণ ঘটে নাটকে। এরপর ফিল্মে নিজের ক্যারিয়ারের আরও খানিকটা সাফল্য পালক ছড়াতে গিয়েও ধাক্কা খেলেন তিনি। ফিল্ম পলিটিক্সে পড়ে কেন্দ্রিয় চরিত্র পাননি বলেই চলে।

তাই চলচ্চিত্রে খুব একটা সুবিধা না করতে পেরে না পারছিলেন পুরোপুরি চলচ্চিত্রে ফিরতে, না পারছিলেন আবার পুরোদমে নাটকে ফিরতে। তাই এই উভয় সঙ্কটে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন অনেক আগেই দেশের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

এর আগে বিনোদন প্রতিদিনে প্রকাশ করা হয়েছিল দেশের একাধিক পড়তি তারকা এখন আমেরিকায় অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী নিবাস গড়ছেন। মোনালিসা সেখানে একটি কসমেটিক্স কোম্পানির সেলস গার্ল হিসেবে কাজ করছেন।

তবে এসব পুরোনো খবরের ভেতরে নতুন খবর হলো রুমানা বিয়ে করেছেন। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। পাত্রের নাম এলিন। এলিনের দ্বিতীয় সংসার। তিনি একটি সুইটমিট কোম্পানির ব্যবসা করেন। জ্যাকশন হাইটসে ছেলের বাড়িতেই অনানুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন তারা। তবে দেশে ফেরা নিয়ে নানা দোটানায় থাকা রুমানা তার এই বিয়ের খবরটি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।

তাই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোনো স্ব-ঘোষিত বার্তা চোখে পড়েনি। এ প্রসঙ্গে রুমানা আমেরিকা থেকে ভাইবারে বলেন, 'অন্য কোনোকিছুর জন্য কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে না। শুধু বিয়ে আর ডিভোর্সের খবরই আমার সবাই ছাপে। একজন শিল্পী হিসেবে এই অভিমান তো আমারও থাকতে পারে। আমি অভিনয় থেকে দূরে এর কারণ আমার কাছে আছে। আর যেহেতু আমি ডিভোর্স তাই জীবনে নতুন সিদ্ধান্ত নিতেই পারি।

তবে সেই খবর আমি নিজেই সমস্ত মিডিয়াকে জানাতে চাই।’ এদিকে রুমানার খুব কাছের এবং বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী এলিন দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় ব্যবসা করছেন। রুমানার সাথে তার আগের পরিচয় থাকলেও এবারের সফরেই শখ্য গড়ে ওঠে। এবং এলিনের নিকটাত্মীয়ই রুমানার সাথে বিয়ের বিষয়টি মিডিয়াকে জানান।

উল্লেখ্য, রুমানার বড়ভাই দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় সেটেলড। রুমানা আমেরিকায় তার ভাইয়ের বাড়িতেই রয়েছেন। পাশাপাশি নিউইয়র্কের বাঙালি কমিউনিটির ফ্যাশন হাউজ ভাসাবীর কিছু মডেলশুটও করেছেন। তাই এবারের বিয়ের ঘটনায় মোনালিসার পর রুমানারও আমেরিকায় স্থায়ীভাবে থাকার বিষয়টি চুড়ান্ত হলো এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

গাজীপুরে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী হত্যা


গাজীপুরে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রী হত্যা
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুর্বৃত্তরা এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। এসময় তার ফুপুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহত ফুপুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জায়গীর গ্রামে নিজ ঘরে রিনা তার ভাতিজি মাহফুজাকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে হানা দিয়ে মাহফুজাকে ধর্ষণ করে। পরে মাহফুজাকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় তার ফুপু রিনাকেও মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সকালে এলাকাবাসী ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয় এবং আহত রিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত মাহফুজা চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে জায়গীর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে। রিনার (৩৪) স্বামী সাইদ গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে পোশাক কারখানায় কাজ করে। একা নিরাপত্তাহীনতার কারণে রাতে বাড়ীতে ভাতিজি মাহফুজাকে নিয়ে একসাথে থাকতেন তিনি।

কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে ও কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

দেবরের প্রেম নিয়ে সংঘর্ষে আহত ভাবীর মৃত্যু


দেবরের প্রেম নিয়ে সংঘর্ষে আহত ভাবীর মৃত্যু
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি: দেবরের প্রেম নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হওয়ার দুদিন পর আজ রোববার ভোর রাতে মারা গেছেন ভাবী সোনাভান বেগম (৫৪)।

খবর পেয়ে রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী বিশ্বনাথপুর আইড়ামারী গ্রামের ফরজেন আলীর ছেলে সোহবুল ইসলামের (২২) সাথে একই এলাকার এরফান আলী চৌকিদারের মেয়ে আখতারা খাতুনের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দুজনের পরিবার এই সম্পর্কে মেনে নেয়নি।

এর জের ধরে গত ২০ মার্চ শুক্রবার সকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে সোহবুলের ভাবী সোনাভান বেগম, প্রেমিকা আখতারা খাতুন ও মর্জিনাসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে আখতারা খাতুন ও মর্জিনাকে শিবগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিজ বাড়িতে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়া সোনাভান বেগম আজ রোববার ভোররাত ৫টার দিকে মারা যান। ১২টার দিকে শিবগঞ্জ থানার এসআই করিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

শিবগঞ্জ থানার ওসি ময়নুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

‘উন্মত্ত’ যুবকের হাতে বাবা-মা খুন, আহত ৩


‘উন্মত্ত’ যুবকের হাতে বাবা-মা খুন, আহত ৩
ক্রাইম নিউজ প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে উন্মত্ত এক যুবকের হাতে খুন হয়েছেন বাবা ও মা। এছাড়া তাকে আটকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন দুই পুলিশ ও অপর এক পুলিশের স্ত্রী।

রোববার দুপুর ৩টার দিকে শহরের পুরাতন ক্যাম্প মহল্লার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবকটি তার মাকে গলাকেটে ও মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহতরা হলেন- শহরের পুরাতন ক্যাম্প মহল্লার মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান (৬৮) ও তার স্ত্রী রীনা পারভীন (৬০)।

উন্মত্ত ওই যুবকের মঞ্জুরুল হাসান শান্ত (৩০)। তিনি পঞ্চগড় চিনিকলের আখ উন্নয়ন কর্মকর্তা। পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে মঞ্জুরুল হাসান তার মা রীনা পারভীনকে গলাকেটে হত্যা করেন। পরে বাবা মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমানকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় প্রতিবেশি এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী তাকে আটকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে ওই যুবক।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালায় যুবকটি। এতে পঞ্চগড় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হক গুরুতর আহত হন। অন্যদের এলোপাতাড়ি কোপাতে গিয়ে মঞ্জুরুল হাসান নিজেও আহত হন।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, পরিবারের লোকজন মঞ্জুরুল হাসান শান্তকে মানসিক রোগী বলে দাবি করেছেন।

Sunday, March 15, 2015

নরসিংদীতে একসঙ্গে আত্মহত্যা করলো প্রেমিক-প্রেমিকা

নরসিংদীতে একসঙ্গে আত্মহত্যা করলো প্রেমিক-প্রেমিকা
নরসিংদীর রায়পুরায় প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাউদপাড়া এলাকার একটি গাছ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো, সেলুন কর্মচারী সুখলাল বর্মণ ও স্থানীয় মণিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিকা রানী বর্মণ। এলাকাবাসী জানায়, সাউদপাড়ার বাসিন্দা সুখলাল বর্মণের সঙ্গে প্রতিবেশী মনিকা রানী বর্মণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তারা দু’জন নিখোঁজ হয়। পরে আত্মীয় স্বজনরা অনেক খোঁজা করেও তাদের কোনও সন্ধান পাননি। আজ (শুক্রবার) সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় লোকজন বাড়ির পাশের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের লাশ দেখতে পেয়ে ওই দু’জনের পরিবারের লোকজনকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহত মনিকার বড় বোন অনিতা রানী বর্মণ বলেন, ‘তাদের সম্পর্কের কথা আমরা জানতাম না। জানলে হয়তো এ ঘটনা ঘটত না।’ রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান জানান, প্রাথমিক সুরতহাল অনুযায়ী এটা আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।