Friday, February 27, 2015

পৃথিবীর দ্রুততম, তেজস্বী ও মারাত্মক বিষধর সাপ হলো ব্ল্যাক মামবা

পৃথিবীর দ্রুততম, তেজস্বী ও মারাত্মক বিষধর সাপ হলো ব্ল্যাক মামবা

পৃথিবীর দ্রুততম, তেজস্বী ও মারাত্মক বিষধর সাপ হলো ব্ল্যাক মামবা। এরা যখন ভয় পায়, তখন প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে।অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর জন্য এদের দায়ী করা হয়ে থাকে। আফ্রিকার পুরাণে এদের নিয়ে অনেক অতিরঞ্জিত গল্প রয়েছে। এসকল কারণে ব্ল্যাক মামবাকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী সাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকার শক্ত ও পাথুড়ে পাহাড়ি অঞ্চলে ব্ল্যাক মামবার বসবাস। এটা আফ্রিকার দীর্ঘতম সাপ, যা লম্বায় গড়ে ৮.২ ফুটেরও (২.৫ মিটার) বেশি হয়ে থাকে। কখনো কখনো ১৪ ফুট (৪.৫ মিটার) দীর্ঘ ব্ল্যাক মামবার দেখাও পাওয়া যায়। ব্ল্যাক মামবা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন সাপ। এদের গতিবেগ ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার বা ১২.৫ মাইল।
এদের নাম ব্ল্যাক মামবা হওয়ার কারণ কিন্তু এদের চামড়ার রঙ না। কারণ, এদের গায়ের রঙ জলপাই কিংবা ধূসর হয়ে থাকে। ক্ষিপ্ত হয়ে এরা যখন তাদের মুখ হা করে, তখন এদের মুখের ভিতরের অংশ দেখা যায়, যা কালো। এ কারণেই এদের নাম ব্ল্যাক মামবা।

ব্ল্যাক মামবা মূলত লাজুক। যখন এরা কোনো প্রাণীর সামনে পড়ে যায় তখন পালানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সে যাই হোক, এরা যখন কোণঠাসা হয়ে পড়ে, তখন এরা মাটি থেকে নিজেদের শরীরের তিনভাগ পর‌্যন্ত উচুতে তুলে ফণা বের করে ও হা করে আর হিশ হিশ শব্দ করে থাকে। কাউকে আক্রমণ করার সময় ব্ল্যাক মামবা অধিকাংশ সাপের মতো একবার ছোবল দেয় না। এরা খুব দ্রুত একের পর এক ছোবল দিতেই থাকে, আর প্রতিবার প্রচুর পরিমাণে বিষ ছড়িয়ে দেয়। ব্ল্যাক মামবার বিষ খুবই ভয়ংকর। যদিও কিছুদিন পূর্বে এর অ্যান্টিডোট আবিষ্কার হয়েছে, কিন্তু তা এখনো মামবা প্রধান এলাকাগুলোতে পাওয়া যায় না।

ব্ল্যাক মামবার জন্য বিশেষ কোনো সংরক্ষণ এলাকা এখন নেই। কিন্তু এসব এলাকায় মানুষের অনধিকার প্রবেশ এদের অস্তিত্বকে শুধু হুমকির মুখেই ফেলবে না মানুষকে এক ভয়ংকর মৃত্যুর সামনেও দাঁড় করিয়ে দেবে। সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী

0 comments:

Post a Comment

Welcome