Sunday, March 15, 2015

গরমের দিনে উপকারী যে খাবার

গরমের দিনে উপকারী যে খাবার
খাবার ছাড়া আমরা অচল, বেঁচে থাকা অসম্ভব। খাবারই আমাদের কর্মক্ষম রাখে। গরমের দিনে আমরা একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি, একটানা বেশি কাজ করা সম্ভব হয় না। গরমে কর্মক্ষমতা ও এনার্জি বাড়ানোর জন্য দরকার বিশেষ ধরনের খাদ্য। এছাড়াও শক্তিসমৃদ্ধ খাবার নানা রোগ প্রতিরোধ ও উপশমে সাহায্য করে। বিশেষ করে তাজা ফল ও সবজি খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব।

  
                           জেনে নিন কিছু খাবারের উপকারিতা -
  • আমাদের শরীরের ৮০ ভাগই পানি। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানির চাহিদা মেটাতে পানির পাশাপাশি নিয়মিত ফল খান। কারণ ফলের প্রায় ৮০ ভাগ পানি। ব্রেন সতেজ ও সক্রিয় রাখার জন্য ফলকে বলা হয় ব্রেইন ফুয়েল। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খাদ্য তালিকায় থাকলে হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফল খেলে ডিপ্রেশনও কমে। এ কারণে ফলকে অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্টও বলা হয়। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যাচারাল সুগার ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ফলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে কোনো ফ্যাট না থাকায় এটা একটি নিরাপদ খাদ্য।
  • শুকনো ফল যেমন ডুমুর, খেজুর, শুকনো খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। এসব শুকনো ফলে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ন্যাচারাল সুগার যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এসবে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। শুকনো খেজুরে রয়েছে প্রচুর এনার্জি যা কর্মক্ষমতা বাড়ায়। শুকনো ফলে কোনো ফ্যাট নেই।
  • সালাদ, সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করে, কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের সমাহার। আয়রন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে খুবই উপকারী।
  • বাদাম ও বীজসহ খাবারে রয়েছে প্রোটিন ও ন্যাচারাল ফ্যাট। ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩, ওমেগা-৬, জিঙ্কে সমৃদ্ধ এইসব খাবার। তাই খাদ্য তালিকায় তিল, কুমড়ার বিচি রাখুন।
  • প্রতিদিন দুই লিটার পরিমাণ অর্থাত্‍ ৮-১০ গ্লাস পানি খান। পুরো শারীরিক প্রক্রিয়া ভালো থাকবে। সঠিক পরিমাণে পানি খেলে শরীরের জোড়গুলি সচল থাকে এবং সহজে ঠান্ডা লাগে কম। খাবার সহজে হজম হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কম হয়। ঠিকমতো পানি খেলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও উজ্জ্বল। পানি ক্লান্তি কাটায়। পানি মাথাব্যথা ও ইনফেকশন প্রতিরোধেও সহায়তা করে। পানি খেলে রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় থাকে, শরীর থেকে ক্ষতিকারক কেমিক্যালস ও বর্জ্যপদার্থ বেরিয়ে যায়।
  • লাল আলু, মিষ্টি আলু, বীটের মতো মূলসহ খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার অল্প খেলেই পেট ভরে যায়। এদের খোসাতেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এছাড়াও এসবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।
  • শস্যজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিনবি কমপ্লেক্স, মিনারেল, ফাইবার রয়েছে। ফল ও সবজির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই জাতীয় খাবার। শস্যজাতীয় খাবার হার্টের সমস্যা, ওবিসিটি, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
শরীরের চাহিদা ঠিকঠাক মতো পূরণ হলে তবেই শরীর সুস্থ থাকে এবং কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। গরমের সময় যেহেতু তুলনামূলক ভাবে বেশি এনার্জি ব্যয় হয় তাই এই সময়ে খাবারও খান এনার্জিতে ভরপুর।

0 comments:

Post a Comment

Welcome